কৃষ্ণধন নাথ
রসাতল
আয়নাতে মুখ দেখে বাঁদর
হাসে খিল খিল,
দাঁড়ি-টাকলু বেরিয়ে হঠাৎ
ছুঁড়তে থাকে ঢিল।
অন্ধভক্ত লেজ নাড়ে
বসে গাছের ডালে,
রামছাগলে গামছা গলে
নাচে ধামসা তালে।
সামনে রেখে আরশি এবার
চামচিকা দেয় উঁকি,
গঙ্গার পারে টানে লাশ
শিয়াল গন্ধ শুঁকি।
তারপরেও গাদ্দারদের
লজ্জা শরম নাই,
গরুর দুধে সোনা খোঁজে
গোবর মাখে গায়।
খুঁজতে থাকি দুনিয়াটার
কোথায় আসল তল,
স্বর্গ-মর্ত্য সব একাকার
শুধুই রসাতল।