” লজ্জা”
………শ্রী শতানীক ভট্টাচার্য
তখনো চলেনি চক্রযান,
আঁচ কমায়নি কালাগ্নির উষ্ণ বালুকণা,
রক্তচাপ নামেনি ধমনীর অলিগলি পেরিয়ে হৃদপিন্ডের সরল স্পন্দনে-
তবুও
তখনও মানুষ হিংসা শেখেনি,
হদিস পায়নি ঠান্ডা খুনের গোপন কৌশল!
চর্বি মেশানো পিলসুজের নরম আলোয়
ঠান্ডা মাখা ঘরে —
সে খুঁজেছে শুধুই আগুনের ভালোবাসা!
এক সমুদ্র সময়-পাহাড় পার হয়ে
ঘাঁটি গেড়ে স্বার্থপর জীব,
রক্তাক্ত মনের আদি-প্রবৃত্তির সহবাস!
হাতছানি দেয় ঘাতক মরীচিকা,
চোখ রাঙায় রক্তপিপাসু হায়েনার নিহত বুদ্ধি,
বেঘোরে শ্বাস ছাড়ে সহিষ্ণু প্রাণ-অনু
জিঘাংসার বিষাক্ত তিরে!
ঠকে বিশ্বাস বারুদের ঘ্রাণে!
পরাজিত হয় ফন্দির কুহক জালে!
নিমজ্জমান মনুষত্ব ভয় পায়,
পালিয়ে বেড়ায় ন্যায়….
পোড়া মুখ লজ্জায় মুখ লুকায়
স্রষ্টার আদালতে!