জীবন নদী
**********
নীরেশ দেবনাথ
**************
বাইতে গিয়ে জীবন নদী
বৈঠা ভেঙ্গে যায় গো যদি
কেমন করে হবো তা পার
বুঝতে যে তা পারি না আর।
তরীটি জরাজীর্ণ এখন
ডুবতে পারে যখন তখন।
চারিধারে তাকিয়ে দেখি
কেউ কোথাও নেই যে একি!
ঈশান কোণে উঠলে হাওয়া
সাঙ্গ হবে নৌকা বাওয়া,
জীর্ণ তরী তার ভগ্ন হাল
একটুখানি হলেই বেচাল
ডুবতে তো আর কিছুই বাকি
থাকবে না আর ঢাকাঢাকি।
জীবন ভরে বেচা – কেনা
রইলো কিছু লেনা – দেনা।
এখন আর বিকছে নাকো কিছু
চলাই সার সবার পিছু পিছু।
হিসাব যদি দেখতে আমি চাই
হাতে দেখি কিছুই বাকি নাই।
শূন্য হাতেই বসে আছি পারে
আপনমনে ডাকছি বিধতারে।
পাপ – পুণ্যের হিসাব নিয়ে কষে
শেষ খেয়ার আশায় আছি বসে।
জীবন নদীর এই পারেতে আমি;
জানিনা কোথায় বসে অন্তর্যামী
হাসেন শুধুই একান্ত গোপনে
তৈরি রেখে খেয়া তরী নির্জনে।
মাঝি এসে ডাক দিলেই তবে
খেয়া তরীতে উঠে বসতে হবে
ছেড়ে দিয়ে সব কিছুরই ভার
শুধুই কেবল স্মরণ নেয়া তাঁর।
———————————————-
কবি পরিচিতি :
কবি নীরেশ দেবনাথ : ছোট্ট করে আমার পরিচয়:
নাম: নীরেশ দেবনাথ ।
বর্তমান নিবাস : পুনে ।
লেখাপড়া : স্নাতক ।
পেশা : সেবা নিবৃত্ত ।
বয়স : ৭২+
পছন্দ : পুরনো দিনের গান, ছন্দোবদ্ধ কবিতা, ছোটোগল্প ।
সময় যাপন : অতীত স্মৃতি চারণ ।
ভবিষ্যতের আশা : সকলের মঙ্গল কামনা ।
অঙ্গীকার : মৃত্যুর পারে দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার কাজে লাগানো ।
ইচ্ছা : করো ক্ষতি না করা ।
আশা : সবার ভালোবাসা পাওয়া ।