কবিতা – রকবাজ **
চিন্ময় মহান্তী
ও দাদা বলি যাচ্ছো কোথায়? আহা কথাটাতো শুনে যাও
আরে যাও যাও তোমার তো অফিস আছে
লাল টুকটুকে বৌ — না মানে বৌদি আছে
ও হো হো হো রাগ করছো কেন দাদা আমারও তো —
না বলছি কি আমারো তো রকে কিছু খোরাক চাই
বলছি এবার একটু ডায়েট করো মালপোয়ার সাইজ তো
পাঁচ টাকার থেকে বেড়ে দশ টাকার হয়ে গেছে ইদানিং।
পোড়া বিড়ি হলে হাফ হাফ সিগারেট হলে সিকি ভাগে
চোখ বুজে সুখটান লিকার চা এর গল্প ওটা রাতে বলবো
রোজ নীলাঞ্জনার নীল আঁচলে এক একটা নাপূরণ স্বপ্ন
দাদা তুমি ওসব বুঝবে না যাও যাও অফিস করো ।
সিনেমা হলে ছটা – ন’ টার শো তারপর বাপের বকুনি
গুলি ডান্ডা খেলা আজ কাল আর চলেনা দাদা মান্ধাতা
লেপটপ কিম্বা স্মার্ট ফোনে পাব্জি আরো কতো কি ।
রাত-ভোর দেড় জিবির মাথা চিবিয়ে সুরঞ্জনার টিকটুক সুর
আধো ঘুম চোখে জেগে মায়ের রাঙা চোখের ভাষা
পড়তে পারিনা এটা বলবো না তবে না পড়ার ভান আরকি ।
গন্ডে দুটি গিলে নিয়েই এই রক আর তোমাদের ফ্লাট করা
বুঝলে দাদা ? আমারো ইচ্ছে হয় জানো আমারো ইচ্ছে হয়
তোমার মতো ডান দিকে অফিসের ব্যাগ ঝোলাতে
হুমম ভীষণ ইচ্ছে হয় ! বাদ দাও দাদা আমার কথা
যাও যাও তোমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে , আমার তো –
কোনো তাড়া নেই ! দুপুর হলেই দীঘিতে ডুব মেরে
একপেট মোটা ভাত খেয়ে তাস পেটা তারপর —
তারপর আবার কি নীলাঞ্জনার নীল আঁচলে নাপূরণ স্বপ্ন
কিম্বা সুরঞ্জনার দেড় জিবির টিকটুক সুর গেলা ।
আমার ব্যাথা আমি জানি আর জানে পড়ার আমার
অতি বন্ধু আমার একান্ত আপন জন মোড়ের এই রক ।
দাদা বৌদিকে গিয়ে বলোনা যেন রকবাজটা বড্ড জ্বালায়
আর যদি বলবে তো বলো আমার কি যায় আসে
যাওয়ারো কিছু নেই থাকারো কিছু নেই আছে হতাশা
একবুক হতাশা ।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে চেষ্টা করলে ফল মেলে আর বলোনা
দাদা ওসব শুনতে ভালো লাগে কাজে কিস্যু না ।
হাজারে একটা তাও আবার ফোলা পকেটের বাড়াবাড়ি
চেষ্টা আর কষ্ট তখন হামাগুড়ি দেয় অভাবের আঁচলে ,
বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে যদি সৎ কীটে কাটা হয়
কিন্তু সেই বা কোথায় ? লোভের রেডিয়েশনে বিলুপ্তপ্রায়
জীবাশ্মে কখনো প্রাণের সঞ্চার হয় না মৃত প্রাণের স্মারক !
আরে যাওনা দাদা তোমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে
কি শুনছো এই রকবাজের বখাটে কথাবার্তা ।
আরে যাও যাও তোমার তো অফিস আছে
লাল টুকটুকে বৌ — না মানে বৌদি আছে
ও হো হো হো রাগ করছো কেন দাদা আমারও তো —
না বলছি কি আমারো তো রকে কিছু খোরাক চাই
বলছি এবার একটু ডায়েট করো মালপোয়ার সাইজ তো
পাঁচ টাকার থেকে বেড়ে দশ টাকার হয়ে গেছে ইদানিং।
পোড়া বিড়ি হলে হাফ হাফ সিগারেট হলে সিকি ভাগে
চোখ বুজে সুখটান লিকার চা এর গল্প ওটা রাতে বলবো
রোজ নীলাঞ্জনার নীল আঁচলে এক একটা নাপূরণ স্বপ্ন
দাদা তুমি ওসব বুঝবে না যাও যাও অফিস করো ।
সিনেমা হলে ছটা – ন’ টার শো তারপর বাপের বকুনি
গুলি ডান্ডা খেলা আজ কাল আর চলেনা দাদা মান্ধাতা
লেপটপ কিম্বা স্মার্ট ফোনে পাব্জি আরো কতো কি ।
রাত-ভোর দেড় জিবির মাথা চিবিয়ে সুরঞ্জনার টিকটুক সুর
আধো ঘুম চোখে জেগে মায়ের রাঙা চোখের ভাষা
পড়তে পারিনা এটা বলবো না তবে না পড়ার ভান আরকি ।
গন্ডে দুটি গিলে নিয়েই এই রক আর তোমাদের ফ্লাট করা
বুঝলে দাদা ? আমারো ইচ্ছে হয় জানো আমারো ইচ্ছে হয়
তোমার মতো ডান দিকে অফিসের ব্যাগ ঝোলাতে
হুমম ভীষণ ইচ্ছে হয় ! বাদ দাও দাদা আমার কথা
যাও যাও তোমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে , আমার তো –
কোনো তাড়া নেই ! দুপুর হলেই দীঘিতে ডুব মেরে
একপেট মোটা ভাত খেয়ে তাস পেটা তারপর —
তারপর আবার কি নীলাঞ্জনার নীল আঁচলে নাপূরণ স্বপ্ন
কিম্বা সুরঞ্জনার দেড় জিবির টিকটুক সুর গেলা ।
আমার ব্যাথা আমি জানি আর জানে পড়ার আমার
অতি বন্ধু আমার একান্ত আপন জন মোড়ের এই রক ।
দাদা বৌদিকে গিয়ে বলোনা যেন রকবাজটা বড্ড জ্বালায়
আর যদি বলবে তো বলো আমার কি যায় আসে
যাওয়ারো কিছু নেই থাকারো কিছু নেই আছে হতাশা
একবুক হতাশা ।
কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে চেষ্টা করলে ফল মেলে আর বলোনা
দাদা ওসব শুনতে ভালো লাগে কাজে কিস্যু না ।
হাজারে একটা তাও আবার ফোলা পকেটের বাড়াবাড়ি
চেষ্টা আর কষ্ট তখন হামাগুড়ি দেয় অভাবের আঁচলে ,
বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে যদি সৎ কীটে কাটা হয়
কিন্তু সেই বা কোথায় ? লোভের রেডিয়েশনে বিলুপ্তপ্রায়
জীবাশ্মে কখনো প্রাণের সঞ্চার হয় না মৃত প্রাণের স্মারক !
আরে যাওনা দাদা তোমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে
কি শুনছো এই রকবাজের বখাটে কথাবার্তা ।