কবি পরিচিতি-আমি শান্তা সাহা ৷পিতা অমল কান্তি সাহা মা রেখা সাহা ৷পিতা মাতার একমাত্র সন্তান৷জন্ম কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ গ্রামে ৷স্কুল জীবন সেখানেই, কলেজ কোচবিহার আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল কলেজ, তারপর উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বিষয়-দর্শণ,সাথে বাংলা সাহিত্য৷শখ লেখা, কবিতা পাঠ, গান ও ভ্রমণ ৷ বাবা ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যের এবং কবিতা প্রেমী, জীবনের চলার পথে অনুপ্রেরণা বাবা ৷স্বামী স্বপন কুমার সাহা সরকারী চাকুরিরত, একমাত্র সন্তান কন্যা সংবর্তিকা ৷
কবিতা – অস্তিত্ব
ঐ যে দেখা যায় অসীম আকাশ ,
পাখীদের অনলস আনাগোনা
এসব আমার!
ঐ যে সবুজ বন প্রান্তর ,
মাঝে বয়ে চলা ভেজা সর্পিল পথ
এসবও আমার !
আর ঐ যে দিগন্ত বিস্তৃত নীল পারাবার ,
ভেসে চলা জীবনের রঙীন সাম্পান
এসব.. এসবও আমার!
আর.. আর ঐ যে দূরে গগনচুম্বী মৌন পাহাড়
বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে তার অনন্ত ইতিহাস
এসবও নিশ্চয় আমারই!
খড়কুটো মুখে নিয়ে গোধূলির ম্লান আলোয়
যে মা পাখি ঘরে ফেরে..
সেটুকুই তার?
ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে এসে না দেখা এই ক্লিন্ন পৃথিবীতে
যে মা হাতি তার শাবককে দেখায় মনুষ্যত্বের পরাজয়… রক্তাক্ত জঠরে ধ্বনিত হয় ক্লীবদের কদর্য কাহিনী….
এসব? এসব তবে কার কতটুকু?
যে ব্যাপ্ত চরাচর দেয় সীমাহীন ওড়ার আনন্দ!
যে বনপথ দেখায় ঘরে ফেরার দিশা!
যে পাহাড় ছোঁয় তার অজানা অভিমান!
যে সমুদ্র তার চোখের জলের পরিমাপ জানে …
এসব তবে কিছু নয়!
যুগ যুগ ধরে এসব তবে শুধু ই ক্ষণিকের অঙ্গীকার?
ফেলে আসা বন পথের জংলী গন্ধের মাদকতা? নাকি পৃথিবীর বুকে জমে ওঠা নিঃশব্দ কান্নার গলিত আবর্জনা… অস্তিত্বের দীর্ঘ গুমট অংশ?? #