তৈমুর খানের তিনটি কবিতা
১
ভোর ভোর
______________
ভোর ভোর দৃষ্টিশক্তি ফিরে এল
দেখার ভেতর দেখা
দেখতে দেখতে রাঙাচোখ
মেঘের কোলে দুলছে রোদ
রোদের ভাষা বোঝে না এই নরলোক
দেহের ভেতর দাহ
শূন্য জুড়ে কার বসতি
বোঝে না তা কেহ
জল ঢেলে উবুড় কলসি
বেজে উঠতে চাইছে
যদি কেউ বাজাতে পারে
দ্বিধা এসে প্রাচীর তুলছে
প্রাচীরের ছিদ্রে উপকথার বাস
পিকনিক থেকে উড়ে যেতেই
হাঁসটির শেষ হল পরবাস
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২
মানুষ পোড়ার গন্ধ
____________________
ধন্য ধন্য করছে সবাই
আমার নেই কো ধন্যবাদ
সাম্প্রদায়িক এদিক ওদিক
মাইকে কী সব বলছে
শুনতে শুনতে ছোট একটা পৃথিবী
গড়ে যাচ্ছে
আমি স্বপ্ন দেখতে দেখতে
ভয়ঙ্কর
মানুষ পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি
ধোঁয়ার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে
চিৎকার
আলোর বিশ্বাসের কাছে কে যাবে আর ?
আমার মাথার কাছে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে
উদ্বাস্তু মানুষের ভিড়
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৩
মুগ্ধবতী হারিয়ে গেছে ভিড়ে
_________________________________________
কত কথা, কথার নদী বয়ে যাচ্ছে নীরবের দিকে
কথা তবু স্তব্ধতার, কথাহীন গড়াচ্ছে শতক
কোন্ ধর্ম এসেছে রাস্তায়?
তার কাছে যাবে না কথা
মুগ্ধবতী হারিয়ে গেছে ভিড়ে
কথার ভিড়ে ঘুরছে অভিশাপ
অচেনা জাদু, ভুলের সম্মোহন
তাঁবুর ভেতর যে কেউ রাজকুমারী
ভোরের ঐশ্বর্যে উজ্জ্বল নিতম্ব
যদিও নাভি পর্যন্ত তাকিয়ে থাকি
আরও নিচে ভারসাম্যহীন
কোথাও বিকল্প রশ্মি
পোশাকের বিশ্রম্ভ স্বরলিপি
ছলনায় উন্মুখ সঙ্গম
বিচ্যুত বিশ্বাস থেকে বর্ম খুলে ফেলি
নিঃস্ব হই
যদিও নিশান নেই কোনও
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});