প্রবন্ধ – *ঈশ্বরচন্দ্র*
শেষ পর্ব –
✍️ *শৌভিক*
ঠাকুর্দার রসিকতার উত্তরাধিকার –
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের সময় তাঁর বাবা পাশের গ্রামের হাটে গিয়েছিলেন। ছেলেকে খবর দিতে আনন্দে ঠাকুর্দা ও চলে গেলেন সেই দিকে। ছেলের সাথে দেখা হওয়ার পর বলেছিলেন যে, তাঁদের একটি এঁড়ে বাছুর হয়েছে। সেই সময় তাঁদের বাড়িতে একটি গরু ছিল তারও দু’একদিনের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা ছিল ! বিদ্যাসাগরের বাবা সে কথা বিশ্বাস করে বাড়িতে ঢুকেই গোয়াল ঘরের দিকে ছুটেছিলেন। তখন বিদ্যাসাগরের দাদু আসল কথা জানান তাঁকে। পরে একবার ঈশ্বরচন্দ্র বলেছিলেন, “পিতামহদেব পরিহাস করে আমায় এঁড়ে বাছুর বলিয়াছিলেন। তিনি সাক্ষাৎ ঋষি ছিলেন। তাহার পরিহাস বাক্যও বিফল হইবার নহে। আমি যে ক্রমেই এঁড়ে গরু অপেক্ষাও একগুয়ে হইয়া উঠিতেছিলাম তাহা বাল্যকাল হইতেই আমার আচরণে বিলক্ষণ আবির্ভূত হইত।”
কলেজ ছাত্র ঈশ্বরচন্দ্র –
সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক জয়গোপাল তর্কালঙ্কার বাবু একবার ছাত্রদের বললেন, “গোপালয়ে নমোহস্তু তে” বাক্যটি দিয়ে চতুর্থ চরণ শ্লোক রচনা করতে। রসিকতা করে ঈশ্বরচন্দ্র বলেছিলেন যে, এক গোপাল সকলের সামনেই রয়েছেন, আর এক গােপাল বহু সময় আগে বৃন্দাবনে লীলা করেছিলেন সুতরাং তিনি কোন গোপালের বর্ণনা করবেন জানতে চান সহাস্যে। ছাত্রের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে অধ্যাপক জয়গোপাল মহাশয় খুশি হয়ে বলেছিলেন যে, সে যেন আপাতত বৃন্দাবনের গোপালেরই বর্ণনা করে। আর একবার জয়গোপাল বাবু, সরস্বতী পুজো কেন্দ্রিক শ্লোক লিখতে দিয়েছিলেন এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লিখেছিলেন –
” লুচি কচুরী মতিচুর শোভিতং
জিলিপি সন্দেশ গজা বিরাজিতাম
যস্যাঃ প্ৰসাদনে, ফলারমাপ্নুমঃ
সরস্বতী সা জয়তান্নিরূন্তরম। ”
ঈশ্বরচন্দ্রের বিবাহ –
আমরা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিষয়ে যতই নিরস পন্ডিত মহাশয় বলে ধারনা করি না কেন, তিনি কিন্তু ভীষণ মজার মানুষও ছিলেন অন্তর থেকে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের তখন বিয়ের তোড়জোড় করছেন তাঁর বাবা এবং ঈশ্বরচন্দ্র রাজিও হয়েছেন বিবাহ করতে। তাঁর বয়স তখন মাত্র চোদ্দ বৎসর এবং সংস্কৃত কলেজের ছাত্র। পাত্রী আট বৎসরের মেয়ে দিনময়ী। সে সময়ের রীতি অনুসারে বাসরঘরে প্রবেশ করে নিজের পাত্রী খোঁজার পরীক্ষা দিতে হতো। ঈশ্বরচন্দ্রেরও সেই পরীক্ষা হয়েছিল। ছাঁদনাতলায় মুখ ঢাকা সেই একবার দেখার পর এত মেয়ে মহিলার মধ্যে নিজের বৌকে খুঁজে নেওয়া কঠিন কিন্তু বুদ্ধিতে যে তিনি চিরকালই অদ্বিতীয় ছিলেন। তিনি একটি সুন্দরী ফর্সা মেয়ের হাত ধরে বলেন যে এই মেয়েই তার বৌ ! মেয়েটি মিনতি করতে থাকে আর বলতে থাকে যে সে ওনার বৌ নয়। এদিকে ঈশ্বরচন্দ্রও তার হাত ধরে রাখেন শক্ত করে। এই হট্টগোল শুনে বাড়ির লোক জন তাঁর স্ত্রী কে হাজির করার পর উনি নিমন্ত্রণ রাখতে আসা মেয়েটির হাত ছাড়েন। তাঁর বিয়ের এই গল্প তিনি নিজে এক বন্ধুর বিয়ের আসরে শুনিয়েছিলেন।
বিধবা বিবাহ –
১৮৫৬ সালের ২৬শে জুলাই বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয় এবং ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়, কলকাতায় রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১২ নং, সুকিয়া স্ট্রীটের বাড়িতে। সেই বিবাহ বাবদ বিদ্যাসাগর মহাশয় তখনকার সময়ে প্রায় ১০,০০০ টাকা ব্যায় করেছিলেন। নিমন্ত্রিতের তালিকায় রাখা হয়েছিল সমাজের নানা গণ্যমান্য সহ প্রায় ৮০০ জন কে। বিপুল ভিড় সামলাতে এবং বিধবা বিবাহ বিরোধীদের দ্বারা গোলমেলের আশঙ্কায় তৎকালীন ইংরেজ প্রশাসনকে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল সে দিন।
ঈশ্বরচন্দ্রের বিশেষ বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন এই ঐতিহাসিক বিয়ের জন্য। পাত্র – শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ভট্টাচার্য্য। তাঁর বাবা ছিলেন সংস্কৃত কলেজের একজন কৃতি ছাত্র ও পরে অধ্যাপক হন ওই কলেজেই সাহিত্য শ্রেণীর অধ্যাপনা। পাত্রী – কালীমতি দেবী। বয়স মাত্র ১০ বছর। কালীমতি, বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার অন্তর্গত পলাশডাঙা গ্রামের স্বর্গীয় ব্রহ্মানন্দ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা। মাত্র চার বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে দু বছর পরই ছয় বছর বয়সে কালীমতি বিধবা হয়েছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের কঠোর চারিত্রিক দৃঢ়তা আর কঠিন সংকল্পের কাছে পরাজিত হয়েছিল তখন কার বিধবা বিবাহ বিরোধী গোঁড়া সমাজ ব্যবস্থা৷ ১৮৫০ সাল থেকে প্রবল লড়াই করেছেন বিধবা বিবাহের পক্ষে, অকাতরে অর্থ খরচ করেছিলেন, সেই সময়ের হিসাবে খরচ করেছেন প্রায় আশি হাজার টাকারও বেশি। নিন্দা, অত্যাচার সহ্য করেছেন দিনের পর দিন এবং অনেকেই বিধবা বিবাহের নামে তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে মিথ্যা কথা বলে। তিনি ঠকেছেনও প্রচুর মানুষের কাছে। সেই কারণেই একসময় প্রচণ্ড মনকষ্ট নিয়ে দুঃখে তিনি বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘‘আমাদের দেশের লোক এত অসার ও অপদার্থ বলিয়া পূর্বে জানিলে আমি কখনই বিধবা বিবাহ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতাম না।’’
শেষ জীবন –
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শেষ জীবন মোটেই সুখে কাটেনি। জ্যেষ্ঠ সন্তান, একমাত্র পুত্র নারায়ণচন্দ্রের আচরণে ভীষণভাবে রাগ করে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৭২ সালে তাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করেন। কিছু দিন পরেই মারা যান স্ত্রী দীনময়ী দেবী। নিঃসঙ্গ বিদ্যাসাগর একটু নির্জনতার জন্য দারুন ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন। নানা বিরূপ অভিজ্ঞতার ঘাত – প্রতিঘাতে শহুরে জীবনের পরিসরে বীতশ্রদ্ধ তিনি গ্রামের গার্হস্থ্য দৈনন্দিনেও অনেক রকম কষ্ট আর অশান্তি ভোগ করে ছিলেন।পরিবারের ও চারপাশের মানুষ জন যখন ভীষণ ভাবে প্রতিকূল হয়ে উঠেছিল, সেই সময় তিনি অনেক দূরে শান্তির খোঁজে বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কার্মাটাঁড়ে স্টেশনের কাছে পাঁচশো টাকায় স্থানীয় এক ইংরেজ মহিলার কাছ থেকে আমবাগান সমেত প্রায় তেরো বিঘা জমি কিনে ছিলেন এবং সেখানেই একটি ছোট বাড়ি তৈরি করেন এবং নাম রাখেন “নন্দনকানন”। সেই বাড়িতে স্কুল চালানোর জন্য মাঝখানে একটি হলঘর, একপাশে শোবার ঘর, অন্যপাশে তাঁর নিজের পড়ার ঘর। বাড়ির প্রধান ফটকের ডান পাশে নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন একটি কিষাণভোগ আমগাছ। বাগান দেখাশোনার জন্য কালী মণ্ডল নামে এক মালিও ছিল সেই সময়। মালিকে দিয়ে বাগানে লাগিয়েছিলেন ভাগলপুরি ল্যাংড়া আমের গাছও। কার্মাটাঁড়ে বসেই তিনি ‘সীতার বনবাস’, ‘বর্ণপরিচয়’-এর তৃতীয় সংস্করণের প্রুফ সংশোধনের কাজ করেছেন। এলাকার আদিবাসীদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে তাঁদের কাছে জীবনদাতা “ঈশ্বর” হয়ে উঠেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র। সহজ সরল আদিবাসী মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন সহজেই। সকালে দলে দলে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ জন বিদ্যাসাগরের কাছে আসতেন ভুট্টা বিক্রি করতে। আর বিদ্যাসাগর সেই ভুট্টা কিনে ঘরে রাখতেন। কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে তাঁরা বিকেলে ঘরে ফেরার পথে প্রায় দিনই খাবার চাইতেন বিদ্যাসাগরের কাছে। ওঁদের থেকে সকালে কিনে রাখা কাঁচা ভুট্টাই পরে উনানের আগুনে সেঁকে ওনাদেরই খাওয়াতেন তিনি যা তাঁর মহানুভবতার এক অসাধারণ উদাহরণ ! সাঁওতাল পরিবারের সঙ্গে তিনি নিজেও ভুট্টা পুড়িয়ে খেতেন। এলাকার আদিবাসীদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে তাঁদের ইষ্টদেবতা হয়ে উঠেছিলেন আগেই বলেছি। দিনের পর দিন সেখানে হরিজন বস্তিতে নিজের হাতে কলেরা রোগীর শুশ্রূষার কাজ করেছেন নিজের শরীর উপেক্ষা করে। তাঁদের সহজ, সরল অনাড়ম্বর জীবনযাত্রার সাথে অনাবিল ভাবে মিশে গিয়ে ছিলেন। প্রতি বছর পুজোর সময়ে তিনি ওই সব হতদরিদ্র মানুষ গুলির জন্য জামাকাপড় চটি জুতা কিনতেন। শীতে কার্মাটাঁড়ে হাড়-কাঁপানো ঠান্ডা। তখন মোটা চাদর কিনে গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণও করতেন। কখনও কলকাতা গেলে তাঁদের জন্য বিভিন্ন রকম ফল মিষ্টি কিনে নিয়ে আসতেন। তাঁর ভাই শম্ভুচন্দ্র একজায়গায় স্মৃতিচারণ করেছেন, ‘‘তিনি প্রাতঃকাল হইতে বেলা দশ ঘটিকা পর্যন্ত সাঁওতাল রোগীদিগকে হোমিওপ্যাথি মতে চিকিৎসা করিতেন এবং পথ্যের জন্য সাগু, বাতাসা, মিছরি প্রভৃতি নিজে প্রদান করিতেন। অপরাহ্নে পীড়িত সাঁওতালদের পর্ণকুটিরে যাইয়া তত্ত্বাবধান করিতেন। তাহাদের কুটিরে যাইলে তাহারা সমাদরপূর্বক বলিত, ‘তুই আসেছিস !’ তাহাদের কথা অগ্রজের বড় ভালো লাগিত।’’ শম্ভুনাথকে বিদ্যাসাগর বলেন, ‘‘বড়লোকের বাটিতে খাওয়া অপেক্ষা এ সকল লোকের কুটিরে খাইতে আমার ভালো লাগে, ইহাদের স্বভাব ভাল, ইহারা কখনো মিথ্যা কথা বলে না। ইত্যাদি কারণে এখানে থাকিতে ভালোবাসি।’’ সাঁওতালদের সাথেই তিনি তাঁর শেষ দিনগুলির একটা বড় অংশ কাটান।
কার্মাটাঁড়ের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের সম্পর্ক ছিল প্রায় ১৭ বছরের। শরীর-স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থার কারণে ১৮৯০ সালেরএর প্রথম থেকে আর কার্মাটাঁড়ে বাস করেননি বিদ্যাসাগর মহাশয়। কার্মাটাঁড় স্টেশনের সঙ্গেও তাঁর অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এক দিন এক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে কুলি, কুলি বলে চিৎকার করছিলেন। বিদ্যাসাগর কুলি সেজে সেই যাত্রীর ব্যাগ আর অন্যান্ন জিনিসপত্র বহন করেছিলেন। পরে সেই যাত্রী ঈশ্বরচন্দ্রের পরিচয় জানতে পেয়ে লজ্জিত হয়েছিলেন। কার্মাটাঁড়ের নাম বিদ্যাসাগরের নামেই নামাঙ্কিত করা হয়েছে পরবর্তীতে এবং
রেল স্টেশনটির নামও তাঁরই নামে রাখা হয়েছে। বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি ও পরিচয় স্টেশনটিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। বেশ কিছুদিন হল “ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর” নামাঙ্কিত স্টেশন সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাঁর জীবনের বিভিন্ন সময়ের তৈলচিত্রের মাধ্যমে। ভারতীয় রেল দপ্তর প্ল্যাটফর্মের প্রাচীরের গায়ে ওনার বিভিন্ন বয়সের ছবি চিত্রিতকরণের মাধ্যমে ওনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কোথাও তিনি ছেলেবেলার ঈশ্বর, কোথাও কার্মাটাঁড়ে আদিবাসীদের দেবতা।
ছেলে নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের সম্পর্ক ভালো ছিল না এবং শেষ দিকে তাঁর ছেলের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওনার মৃত্যুর পরেই নারায়ণচন্দ্র কার্মাটাঁড়ের বাড়ি ও সম্পত্তি বিক্রি করে দেন কলকাতার এক ধনী পরিবারের কাছে। তাঁরা বাড়িটি খুবই অযত্নে ফেলে রেখেছিলেন। ১৯৩৮ সালে বিহার প্রবাসী ও প্রতিষ্ঠিত বাঙালিরা তৈরি করেন ‘বিহার বাঙালি সমিতি’। বিহারের বাঙালি সমিতি সেই সময়, বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষার জন্য উদ্যোগী হয়ে কলকাতার ওই ধনী পরিবারের কাছ থেকে বাড়ি টি কিনে নেয় চব্বিশ হাজার টাকায় এবং ওই সমিতি বিদ্যাসাগরের মা প্রয়াত ভগবতী দেবীর নামে মেয়েদের একটি স্কুল চালু করে। ২০০১ সালে বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড হয়। আলাদা করে তৈরি হয় ওই সময় ‘ঝাড়খণ্ড বাঙালি সমিতি’। ঝাড়খণ্ড সরকারের সামাজিক নিবন্ধীকৃত আইনে ২০১৬-র অক্টোবর মাসে দুই বাঙালি সমিতির সমন্বয়েই তৈরি হয় ১১ সদস্যের ‘বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা সমিতি’। আদি ডিসপেনসারিটি আর না থাকলেও পরবর্তীতে ‘বিদ্যাসাগর হোমিও চিকিৎসালয়’ চালু করা হয়। প্রতি বছর তিনটি অনুষ্ঠান হয় সেখানে। ২৯ সে মার্চ পালিত হয় ‘গুরুদক্ষিণা দিবস’, ২৬ সে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মদিন এবং ২৯ এ জুলাই তাঁর মৃত্যুদিন।
বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাগুরু, ঐতিহাসিক সমাজ সংস্কারক ও সাহিত্যিক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মারা যান ১৮৯১ সালের ২৯ এ জুলাই কলকাতা শহরে তাঁর বাদুড় বাগানের বাসভবনে। আপামর বাঙালি জাতি তথা অবিভক্ত পরাধীন দেশ সে দিন চিরকালের জন্য ঈশ্বর হারা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার –
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – প্রসূন কাঞ্জিলাল
বিদ্যাসাগর – বিহারীলাল সরকার
বিদ্যাসাগর স্মৃতি – বিশ্বনাথ দে
বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ – ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
ঈশ্বরের অন্তিম শ্বাস – দেবারতি মুখোপাধ্যায়
ছায়াপথ পত্রিকা এবং আকাশ ইন্টারনেট
★পরবর্তী সপ্তাহ থেকে – ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ★
লেখক : শৌভিক