Spread the love

💓এসো নিজেকে বাঁচাতে শিখি💓

✍️সোনালী মুখার্জি✍️
. . . . . . . .
বাবা ও বাবা ?তুমি তো বলেছিলে.. ক্লাস ফাইভ থেকে সিক্স উঠলে ..ভালো রেজাল্ট করলে ..আমি যা চাইবো তাই দেবে ? নন্দিনী বলে তার বাবাকে l

বাবা …হ্যাঁ বল কি চাই তোর ?

নন্দিনী ..বাবা আমি ক্যারাটে ক্লাসে ভর্তি হতে চাই l ভালো করে শিখতে চাই l

বাবা۔۔۔ সেকিরে ?ওসব করে কি হবে.. নাচ শেখ ۔۔ গান শেখ ۔۔আমাদের মতো ঘরে এসব কি কোন কাজে আসে মা ? এসব বড়লোকের ব্যাপার ..

নন্দিনী.. না বাবা ..এখন তো স্কুলেও۔ শেখাচ্ছে l  সব এইট  নাইনের  দিদি রা শিখছে l ও বাবা ..আমি শিখব ..তুমি আমায় ভর্তি করো না গো ۔۔



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

নন্দিনী এসব ওর বাবাকে বলতে বলতে নন্দিনীর মাও ঘরে ঢুকলেন۔۔ সব শুনে বললেন۔۔ মেয়ে তো ঠিকই বলেছে l  দেখছো না   চারিদিকের  পরিস্থিতি?  নাচ গান শেখার আগে প্রত্যেকটি মেয়েকে আগে নিজেকে রক্ষা করা শিখতে হবে l  সমাজে মানুষের থেকে জানোয়ারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে আজ.. তাই মেয়েদেরকেও  লক্ষ্মী  হবার  থেকে মা দুর্গা কালী হয়ে উঠতে হবে আগে l যাইহোক নন্দিনীর মা  ওর বাবাকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে নন্দিনীর ভর্তির ব্যবস্থা করল l

দেখতে দেখতে বছর পাঁচেক কেটে গেল l  এখন নন্দিনী ۔ ক্যারেটে  ব্ল্যাকবেল্ট l এবারে ক্লাস টুয়েলভ এর পরীক্ষা দেবে l পড়তেও যেতে হয় সাইকেলে করে অনেকটাই l ফিরতেও বেশ রাত হয় l

আজ কালীপুজোর আগেরদিন l ম্যাথস  এর ক্লাসটা করে বের হতে একটু দেরিই হয়ে গেল ওর আজ  l প্রায় সাড়ে আটটা বাজে l  অন্যদিন  আটটাতে ই বেরিয়ে পড়ে۔۔ প্রায় আধঘন্টা সাইকেলে যেতে হবে l বেরিয়ে ভাবলো এক কাজ করি..আজ   বাঁধের  রাস্তাটা  দিয়ে চলে যাই l  মিনিট কুড়ির মধ্যে পৌঁছে যাবো l   ওটা ভেবে ও ওই রাস্তায় সাইকেলের মুখটা ঘুরিয়ে প্যাডেলে চাপ দিল l



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খানিকটা যাবার পর হঠাৎ দেখতে পেলো চারটি ছেলে বসে বসে তাস খেলছে একটা টিম টিমে আলো জ্বেলে l  বুকের ভেতরটা হঠাৎ অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠল. মনে হলো ঠিক হলো না এই রাস্তায় এসে۔۔ তবু আর  কিছু না ভেবে ও জোরে প্যাডেল করে দিল l
তবুও শেষ রক্ষা করতে পারল না l  ওর সাইকেলের হ্যান্ডেল টা ধরে ফেলেছে একটা ছেলে.. বাধ্য হয়ে দাঁড়ালো ও l  বললো.. কি চাই ?
একটা ছেলে বলল ..তোমাকে সুন্দরী ?
ওরা চারজন ওকে ঘিরে ফেলল l সঙ্গে সঙ্গে ও ওর  কর্তব্য ঠিক করে ফেলল l  ওর পাশে থাকা ছেলেটাকে সজোরে লাথি মারলো একটা l হঠাৎ এত জোরে লাথি ছেলেটা সামলাতে পারলোনা ছিটকে নিচে পড়ে গেল۔۔۔ ওরাও হঠাৎ হতচকিত হয়ে গেলো۔۔ এই সুযোগে নন্দিনী সাইকেলটা পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে নিজেকে তৈরি করে নেয় l  ওকে যে জিততেই হবে l  প্রায় সাথে সাথেই তিনটে ছেলে ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে.. কিন্তু অদ্ভুত দক্ষতায় নন্দিনী প্রায় দশ  মিনিটেই ওদের একেবারে কাবু করে ফেলে l
খানিকটা পড়েই ও বুঝে যায় যে ওদের আর চলন শক্তি নেই۔۔নন্দিনী  নিজের মনে অদম্য সাহস আর আত্মশক্তি  ফিরে পায় l সাইকেলে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে তাড়াতাড়ি যায়.. এবং বাবা-মাকে সব টা খুলে বলে l সঙ্গে সঙ্গে ওর বাবা পুলিশে ফোন করেন এবং দৌড়ে যান 



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনাস্থলে۔۔ এসে দেখে তখনও তারা কাতরাচ্ছে l উঠে যাবার শক্তি কারো নেই.. এরপর নন্দিনীকে নিয়ে সকলে ধন্য ধন্য করতে লাগলো ..আর সরকার থেকেও সাহসিকতার জন্য ওকে পুরস্কৃত করা হলো l  ওকে দেখে আরো কিছু মেয়ে নিজেরাই  আত্মরক্ষার্থে এমন ক্যারাটে তাইকোন্ডো এইসব মার্শাল আর্ট এ  ভর্তি হতে লাগলো l কিছু মেয়ে  অন্তত এটুকু বুঝতে পারল۔۔ নিজের সম্মান বাঁচাতে নিজেকেই তৈরি হতে হবে۔۔ নিজেকেই লড়াই করতে হবে l l
. . . . . .  সমাপ্ত  . . . . .



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *