চিরশাশ্বত
প্রবীর কুমার চৌধুরী
ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র প্রকাশ পেলেই শ্রেণী গড়ে ওঠে।
লোকাচারেপান্ডিত্য, মৌলিক চিন্তা, মননশীলতা – তার ফলেই সৃষ্টি হয় শ্রেণীসংগ্রাম।
জ্ঞানী-গুণী, ধর্ম প্রচারক, দেশনেতা, চিকিৎসক, কবি,সাহিত্যিক –
এঁরাই সর্বোত্তম একেকটি শ্রেণী।
সকলের নীচে কাদের অবস্থান ?
কাদের ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে সকল শ্রেণী ও স্তর ?
নিত্য যন্ত্রণায় জর্জরিত, নিপীড়িত, দলিত অল্পপ্রাণ-
সারাটাজীবন মুখপানে করুণার দৃষ্টি হেনে যত অভাজন,
ওদের কাধেঁ পা রেখেই বৃত্তবানের সিঁড়ির পর সিঁড়ি আরোহণ।
নীরব অরণ্য, উত্তাল তরঙ্গ, নিষ্পাপ মাটি, পাথরানু বালি- চিরকালীন যারা মুক ও বধির ,
কোনদিন এরা কথা বলেনি,প্রতিবাদে নাই ,
পৃথিবীর সর্ব দেশেই এদের অস্তিত্ব,নিস্তরঙ্গ জলবৎ।
কোনদিন মাথা তোলেনা, চিরকাল পায়ের তলায় –
নীরবে অবস্থান, কিন্তু বিত্তের মহামূল্যবান হাতিয়ার।
যদিও চিরকালীন নিপীড়িত, দারিদ্র্য অসহনীয়, তবুও-
সততার ফল্গুধারায় আচ্ছন্ন প্রবাহমান মিছিলের গণদেবতা,
সাম্যবাদী, গণতান্ত্রিক মহাবিচারক মহাকালের কোলেই
পরমানন্দে বিলীন হয় ওই মানুষ দেবতা।