শরীর যন্ত্রণা
********
জন্মেঞ্জয় মণ্ডল
ভোরের উজ্জ্বল সূর্যালোকের শিখায়,
ভেসে উঠেছে এক নারীর শরীর।
অঙ্গে বস্ত্রের আচ্ছাদন নেই-নগ্নপ্রায়
এক ছবি,বিশ-বর্ষীয়ার।
কাল রাতের গভীর অন্ধকারে-
দীপ নিভেছে তার নব যৌবনের,
একবিংশের নির্বোধ পূরুষের শিকারে,
দেহ থেকে নির্গত হয়েছে প্রানের।
নারীর সমস্ত লাজুকতা লুপ্ত হয়েছে –
তার নির্লজ্জ উলঙ্গতায়।
নির্লজ্জতা সমস্ত শরীর জুড়ে এসেছে –
বুক-মুখ-চোখের তারায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তার শরীরের সমস্ত লাবণ্যকে
নিঃশেষ করেছে আগুন।
শেষ করেছে হাসি আর কান্নাকে,
ক্ষমাহীন দীর্ঘ শোষণ।
একবিংশের শিক্ষা আর সমাজ,
উলঙ্গ করেছে তাকে।
স্তিমিত করেছে জীবনের স্বাদ-লাজ,
নিহত করেছে আশাকে।
শুধু বাঁচতে চেয়েছিলো সে
বুকভরা হাসি গান নিয়ে,
রাতের অন্ধকারে মরতে হলো শেষে
অসভ্যতার যন্ত্রণা পেয়ে।
তার সমস্ত শরীর জুড়ে যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ।
নৃসংশ অত্যাচারের যন্ত্রণা,
নিথর দেহের ভঙ্গিমায় বাঁচার ক্ষীণ আভাস-
সুখ দূঃখময় জীবনের বন্দনা।
নিশ্চল দেহের দিকে তাকিয়ে
নিস্পলক মানুষের ভীড়।
অজস্র সাংবাদিক ফিরছে খবর নিয়ে,
ক্যামেরা বন্দী করে শরীর।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভীড়তো অসংখ্যের,কিন্তু প্রতিবাদ-
নির্ভয় নারী জীবনের জন্য
ক-জন মানুষ জানাতে পারে প্রতিবাদ –
রক্ত-চক্ষুর ভয়ে না হয়ে বিপন্ন?
সমাজ বড় অসহায় আজ সমাজের জন্য,
অবিচারটা বুঝেও উপায় নেই,
হিংস্রতার বলে মানুষ যেন বন্য-
মনুষ্যত্বের লেশ মাত্র নেই।
তবুও লড়তে হবে আমাদের প্রত্যেককে,
দুর্বল মানুষের তাগিদে।
জীবন দিতে হবে সমাজের অভিষেক,
মানবের সাথে দানবের বিবাদে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});