**আজকের অবনীরা **
“”””সুপর্ণা বোস””””
অবনী, বাড়ি আছো?
হাঁক পাড়ে সেদিনের হরেন।
অবসর জীবনের ঘাসের মখমলে–
সমবয়সীদের নির্ভেজাল কুজন।
বটের শিকড়ের মতো,
অবনীদের শিরাওঠা হাতগুলো সমকালীন।
বাঁধানো দাঁতে,
হাসির আড়ালে বাঁচার আগুন
অবনীরা জানে, কোন একদিন
ছায়াগুলোও বিলীন হবে,
নক্ষত্রলোকের নীলিমায়।
শেষ বেলায় পড়ে পাওয়া
চোদ্দ আনা সময়টাকে,
আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধতে চায়
রাশিকৃত আবেগের ঢেউ দিয়ে
ওদের ফেলে আসা
গহণ স্মৃতি,
যেন চতুর্দশীর চাঁদ।
চশমার ঝাপসা কাঁচে
অস্পষ্ট অতীত।
নববধূ সংসারে,
অবনীদের ঝুলে ভরা অস্তিত্ব –
ক্রমেক্রমে এগিয়ে চলেছে
অনন্ত শয়নের পথে।
আজও কোনো কোনোও হরেন হঠাৎই ডাক পাড়ে,
“অবনী, বাড়ি আছো?”
দড়জার ওপাড়ের
ছিটকে আসা স্বর বলে ওঠে,
“সে আছে নিরাপদ আশ্রয়ে”।
অবনীরা আজ চকচকে
রংবাহার বৃদ্ধাশ্রমে।
_________________________
সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি:
বর্তমানে সুপর্ণা বোস কলকাতাবাসী। তিনি কবি,পেইন্টার, ক্রাফ্ট আর্টিস্ট, বাচিক শিল্পী । আরও বিভিন্, কাজে নিয়োজিত আছেন।
পিতা: স্বর্গীয় কবি সুধীন পাল, মাতা: স্বর্গীয় দীপিকা পাল।
বাসস্থান: ২৪ পরগনা (উ),
কলকাতা: ৭০০০৭৪, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
শিক্ষা :পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট এবং কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা।
পেশা: পেশা বলতে প্রথমতঃ হল লেখা (কবিতা, অনুগল্প, নিবন্ধ ইত্যাদি), ছবি আঁকা, আবৃত্তি করা, ক্রাফ্ট এর কাজ,বুটিক সেলাই ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। দশ বছর বয়েস থেকে আঁকা শেখা শুরু।তারপর বহুদিন আঁকার স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালে একাডেমিতে ছবির প্রদর্শনী করেন। আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রথম বই : শঙ্খচিলের ডানায় ,২০২২ সালে।
দ্বিতীয় বই: জীবনের জলছবি, ২০২৩ সালে।
সম্মান প্রাপ্তি : বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা থেকে অতিথি সম্মাননা, “সুদেব সরকার স্মৃতি স্মারক”,গ্রন্থসাথী ও অর্পন পত্রিকার সম্মাননা, বিকল্প নির্মাণ পত্রিকার স্মারক –এই সব প্রাপ্তি ঘটে।
আরও কিছু সামাজিক কাজের
সঙ্গে যুক্ত। “সারমেয় ” নামের এক সেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, যারা পথ পশুদের নিয়ে কাজ করে। সমাজের কল্যানে কিছু করার ইচ্ছা আছে ।