নন্দীদের দোলের মেলা
অঞ্জলি দেনন্দী, মম
নন্দীদের সদরে শালগ্রাম,
আকারে সে শীলা, গোল।
……দোল দোল দোল…..
দোলে আর দোলে….
খুব ভোরে – আকাশ যখন
আলোর আঁখি খোলে।
চৈতন্যবাটি – নন্দীদের গ্রাম।
বিকাল হয় যখন
নন্দীদের দোলের মেলা
জমিয়ে বসে তখন।
হরেক সামান।
খুব বেশি নয় দাম।
ঘুগনি গরম গরম গরম।
ফুলুরি, নরম নরম নরম।
লুচি, আলুর দম।
পাঁপড়, করমর করমর করমর।
ছোলা ভাজা, কর কর কর।
বোঁদে আর জিলিপি।
বাঁশি, পি পি পি…….
মাটির পুতুল, খেলনা।
খুন্তি, হাতা, চাকি আর বেলনা।
বাটি, গ্লাস, করা আর হাঁড়ি।
কুলো, ঝুড়ি, গামছা, শাড়ি।
বালতি, গামলা, বোতল, খেলনা গাড়ি,
কাপ, ডিস, চামচ, নয় আদৌ ভারী।
প্লাস্টিকের জিনিস কত কত কত।
ব্যাট, বল, কলম আর খাতা।
আর আছে রঙিন ছাতা।
আয় আয় আয় সকলে চলে!
নন্দীরা আহ্বান জানায় দোলে।
খুশি হ মেলা দেখে!
মজা কর আবির মেখে!
বন্ধু, আত্মীয় স্বজন, দাদু, ঠাম্মা,
নাতি, নাতনী, বাবা, মা।
সবাই মিলে মেলায় আসা।
দোল মানে তো শুধুই ভালবাসা।
বনেদী নন্দী বাড়ি।
বহু শত বছর ধরে চলছে দোল তারই।
হুগলী জেলায়, দামোদরের ধারে।
ওরে ও মানুষ, দোল খেলতে যা রে!