কবিতা : জয়
[ A Bengali poem “Joy” i,e, “Win”, by Ridendick Mitro ]
——————————
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত)
চারপাশে এত আলো,
কে করেছে এই অন্ধকার
এত চমৎকার,
দূর হতে ভেসে এলো কার কন্ঠ —
চেয়ে দেখ্, তোর হাতে বিরাট মশাল,
সে-আলোয় এত জয়ের বিস্তার!
আমি কেঁদে ফেলি,
খেয়াল করিনি তো,
কে তুমি আমায় দিয়েছ এই ক্ষমতা,
অনন্ত সভ্যতায় আলো জ্বালবার অধিকার?
চমৎকার, এত চমৎকার!
কখনো চলতে থাকি পথে,
সময় হয় না আর শেষ,
সফলতা কত দূরে আছে —
সঙ্গীরা ধৈর্য হারিয়ে পরপর হয় নিরুদ্দেশ।
কে যেন হাওয়ায় দাও কন্ঠ,
আমার এই ম্রিয়মাণ চলাকে
করে দাও যেন প্রানবন্ত,
হাঁক দিয়ে বলো — তুই খুঁজছিস জয়,
সফলতা মানে কোনো পদক, খেতাব নয়,
সফলতা মানে হল কেবলি চলতে থাকা,
কত পথ হেঁটেছিস তুই —
তাই তোর সফলতাকে
যায় কি খেতাব দিয়ে মাপা?
কেঁদে ফেলি আমি,
কে তুমি আমায় দিলে এত বড় খেতাব,
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী!
যদি হতাম রাজা,
করি আফসোস,
নিজেরই জন্মকে আমি
দিতে থাকি দোষ।
কে যেন সুদূর থেকে হাঁক দিয়ে বলো–
ওরে, রাজা তোকে আমন্ত্রন করে
মঞ্চে তুলে তোকে দেন শ্রেষ্ঠতার বড় পুরস্কার,
রাজার চেয়ে তুই কম হলি কিসে,
তুই তো সব চেয়ে কাছের বন্ধু, রাজার।
কখনো বা খুঁজে ফিরি অনেক টাকা,
ধনীরা আমায় বলে — গুণী ভিখারী,
এই বলে হো হো করে হেসে ওঠে তারা,
সেই অপমান কি সহ্য করতে পারি?
কে তুমি দূর থেকে আমায় হাঁক দিয়ে বলো —
তুই তো ধনীদের সেরা ধনী ওরে,
তোর গুণ চর্চিত হয় ধনীদের ঘরে-ঘরে।
এবারেও কেঁদে ফেলি আমি,
হই অবাক বিষ্ময়,
আমাকে তুমি ভালোবেসে দাও এত জয়!
কখনো হতাস হয়ে উঠি,
যুদ্ধক্ষেত্রে আমি দিশাহারা হয়ে ছুটি,
আমার রাজ্য গেল হারিয়ে,
কে যেন দূর থেকে আমায় বললে হাঁক দিয়ে —
তোর হাতে পতাকা, দে উড়িয়ে।
পতাকা উড়াই,
উর্ধে উঠে তা জয় করে আকাশ হাওয়া,
তখনই জয়ধ্বনী ওঠে হাজার-হাজার ঘরে,
পতাকা হাতে নিলেই তোমায় হল পাওয়া।
তোমায় প্রশ্ন করি — তুমি কে,
কত দূর থেকে যে এত ভালোবাসো আমায়,
তোমার জন্য আমার দুচোখ থেকে
শুধু জল ঝরে যায়।
বুঝেছি, তুমি তো মহাবিশ্ব অফুরন্ত সীমানা,
আমার জয়ের পতাকা মানে —
তোমাকে ভালোবেসে আমার আকুল কান্না।
———————————–
২০ মার্চ ২০২৪,
———————————-
ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro) পেশায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিস্ট। কলকাতা। ভারত।
————————————