জীবন জলের সন্ধান
দীপঙ্কর বর্মন
(রচনা 2005 সালের 3রা Feb)
সময় ছুটেছে সময়ের তালে নদীর স্রোতের প্রায়,
মানুষ পড়েছে মরণের ফাঁদে সমাজ কি তার দায়?
জীবন চলেছে জীবনের গাঙে, জীবন পাবে কি হায়!
জীবনের মানে জীবন না হলে অকারণ ভাবা হয়।
শয়তান আজ রাজা রূপে আছে দানবেরা মাথা নাড়ে,
সচেতন সব মানুষেরা পাছে মাথাচাড়া দিয়ে বাড়ে।
গরীব যে প্রজা গরীবের রাজা, গরীবের হবে বলে,
সু-আসনে গেলে উচাটনে দোলে গরীবেই রাখে কলে।
মানুষের গড়া সমাজেতে যে বা দানবের রূপে চরে,
গরীবের গৃহ জুচ্চুরি করে গরীবেই দুখী করে।
অকারণে তারা বলি হতে থাকে বাবুদের কোপাানলে,
সে কারণে সারা সমাজের আজ হল দশা থালেমূলে।
দিকে দিকে যারা জাল বিস্তারে গুটিকয় হবে তারা,
ঝোপ বুঝে তারা কোপ মারে থেকে, জাল ফেলে করে সারা।
নেই ঘরে আজ ডাল রুটি ভাত, নেই কোনো কাজ ঘরে,
বেকারের দল চাকরীর তরে দিন গোণে আর মরে।
গরীবের হাঁচি, একগাল মাছি,গরীবেরা চায় কাজ!
শুনে পায় হাসি,কি হবে উপায়, মাথায় পড়লো বাজ।
পণ্য হয়েছে দুনিয়াটা আজ, পণ্যযে ভালোবাসা,
পিতামাতা আর সন্তান ভাবে কাদের জন্যে বাঁচা?
শিক্ষার আজ অবনতি দেখো, স্বাস্থ্যের ছবি এক-ই,
মূল্যের দেখো ব্যবসায়ী ভাব,-সে তো পণ্যের ছবি।
ভগ্ন দেখো এ সমাজের সেতু মরিচা ধরেছে হায়!
রুগ্ন রোগীরা কি ভাবে পারাবে, জীবন যাবে কি তায়?
বাঁচতে হলে এ সমাজের বুকে, লড়তে হবেগো দলে,
গড়ে তোলো সবে সুসমাজ ভবে, সকলের মনবলে।
ঐ শোনা যায় জোয়ারের টানে কলকলি বাজে গান,
সত্যের সাজে মুক্তির খোঁজে, শোনো বলি পেতে কান।
জীবনের নদী ভরে ওঠে দেখো, হবেনাতো হলে ম্লান’
জীবনের মানে খুঁজে পেতে হলে আগে করো সবে স্নান।
জীবনের স্বাদ খুঁজে নেগো পাবে,যে নদীর টানে বয়,
যে নদীতে আছে জীবনের চাবি, এ সমাজ ভালো হয়।
হিন্দুতে নয়,মুসলিমে নয় জিন-শিখ-খ্রিষ্টানে,
খুঁজে নাও যত সমাজের ‘পরে যে সমাজ বিজ্ঞানে।
ভেদাভেদে নয় বিদ্বেষে নয়,নয় ধর্মীয় কাজে,
মানবতার শীর্ষে যে রয়, সে হয় মানব সাজে