৪টি কবিতা : মোহর ভট্টাচার্য্য ( ভারত)
—————————–
অবিশ্রান্ত আকাশ
মোহর ভট্টাচার্য্য
দুচোখে অবিশ্রান্ত আকাশ ধরা আছে,
বুকের চারপাশে একরাশ আগুন।
লেলিহান নয়,
মেয়েটা একদৃষ্টে তাকায় সূর্যের পেছনের অন্ধকারের দিকে।
চারাগাছ পুঁতি গোপনে,
উদ্দিষ্ট রক্ত চারপাশে মানুষের মতো ছেটানো থাকে।
দেওয়ালে ভীষণ একা একটা জীবনের ছবি আঁকা,
আকাশের বুকে ক্লোরোফিল ঢেলে সবুজ করতে চেয়েছিলে।
সৌরলোকে বৃষ্টি নেমে রাত তৈরী করে।
————————–
উষ্ণ রক্তপাত
মোহর ভট্টাচার্য্য
তোমার দীর্ঘশ্বাসের বুকে উষ্ণ রক্তপাত দেখি,
জন্মের পরবর্তী অংশে আমার অস্তিত্ব ধরা দেয়।
মাঝরাতে একটা শব্দের ঘোরে ঘুম ভেঙে যায়,
তুমি কোথাও নিজের জীবন সাজাবে ঠিক।
ঠিকানা বদলায় অনুভূতিরা,
সূর্যসীমায় আগুন ঢালা অন্ধকার,
বৃষ্টিতে ভেজা পরমায়ু এসে দরজায় দাঁড়ায়।
আমি ভালো থাকি, নিভৃতে, নির্জনে, একা।
সঙ্গী কোরোনা কোনোদিন।
—————————
দীর্ঘছায়ার পাশাপাশি হাঁটি আমি,
মোহর ভট্টাচার্য্য
তোমার দীর্ঘশ্বাসের পাশাপাশি হাঁটি আমি,
কোনো অকারণ গন্ধে ফিরে উৎস দেখি।
তুমি হাঁটো পাশাপাশি ভাবনা হয়ে,
মানসিক আলো পড়ে চারদিক।
আজকে তোমার পছন্দের ডাহুক পাখি ডেকেছিল,
দিয়ে যাওয়া ঠিকানা খামবন্দী আজও।
সুবর্ণরেখায় নৌকো ভাসানো হয় খেয়ালে,
পার্শ্ববর্তী জীবন দাগ কাটে সমুদ্রতটে।
————————-
নিঃশ্বাসও বিরতি নেয়
মোহর ভট্টাচার্য্য
মাঝে মাঝে নিঃশ্বাসও বিরতি নেয়,
পাহাড়ের বুকের পাথর স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে থাকে।
একদিন মাটিমাখা অন্ধকারে নেমে আসবে সে,
ধূমকেতুর শরীরে বহমান বৃষ্টি।
আমাদের সমাজের শরীরে সারারাত জল ঢালে একদল মানুষ,
হাজার বছরের নির্জনতা একত্রিত হয়।
নিজের সাথে বোঝাপড়ায় শুধু সময় নষ্ট।
————————-
————————-
মোহর ভট্টাচার্য্য ( Mohor Bhattacharyya, poetess ) গাজোল, মালদা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। অনার্স, এম. এ, (ইতিহাস )। “আমার কবিতা” নামে একক বই বেরিয়েছে চারুপাঠ প্রকাশনী থেকে।
——————————