শিরোনাম–“স্বর্গ ত্যাগী”
কলমে–বিমান প্রামানিক
মাড়গ্রাম–মুর্শিদাবাদ
ও বাড়ির ছেলেটি আমায় ভালোবেসে
বিয়ে করেছে , আমার প্রতি তাই হিংসে।
আমার বাপ-মায়েরা খুব গরীব বলে,
পারেনি দিতে এতটুকুও যৌতুক হাতে তুলে।
শ্বশুর-শাশুড়ি তাই আজও আমাকে দৃষ্টি কাটে,
বিধবা ননদিও রয়েছে ঘরে তাদের পাশে জোটে।
স্বামী আমার অতি গুনবান, তাই তো মুখটি চুপ,
ননদি-শাশুড়ির সব চালাকিতে এঁটেছে মুখে কুলুপ।
যখনই আমি বাপের বাড়ি আসি, শূন্য হাতে ফিরি,
ননদি আমার তাও কেড়ে নেয় মায়ের দেওয়া ঐ শাড়ি।
এমনি করেই বছর কাটে সংসারে নানান ঝামেলা,
সুখ বলতে পাইনি কিছুই, শুধুই বঞ্চনা, অবহেলা।
পাশের বাড়ির বৌটির কাছে বলি দুটো মনের কথা,
তাতেই আমি শান্তি পাই, জুড়ায় বুকের ব্যাথা।
চাই না ওরা আমার কোলে আসুক মিষ্টি খোকা,
তাই তো ওরা দিচ্ছে শুধু আমার মনে ধোকা ।
একবার তাই ফন্দি এঁটে ননদি আমার করেছে গর্ভ নষ্ট,
মা হওয়া সুখ বুঝবে কি সে ? সে তো সংসার ভ্রষ্ট!
নারী হয়েও আর এক নারীর করেছো যতই গর্ভনাশ,
এটাই আমার স্বর্গ ভাবি, পতি দেবতা, হৃদমন্দিরে বাস।
যতই আমাকে দাও লাঞ্ছনা স্বামীগৃহ মোর স্বর্গ
দূর হতে সেদিন পূজিবে তোমারে চরণে দেবে অর্ঘ্য।
আমি শুধু হাসি , দেখি কে এই বিশ্বের কান্ডারী?
পতি যদি হয় দেবতা , গর্ভে যে তার পূজারী।