রত্না মনে-মনে বিপুলের উপর খুব রেগে যায় কারণ তাকেই খালি পিল খেতে হয়, বিপুলও তো প্রোটেকশন নিতে পারে। এমনিতে সিজার হয়েছে। পেট ঝুলেছে। এবার তাতে চর্বি জমতে-জমতে পেট আকারে বেঢপ হয়ে উঠছে। এখন রত্না অল্প একটু হাঁটলে হাঁপিয়ে যায়। না জানি পিলের প্রভাবে আর কী-কী রোগ শরীরে ইতিমধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।
এখন মধ্যরাত। দু-জনে পাশাপাশি। বিপুল, রত্নাকে স্পর্শ করতেই বলে
– আচ্ছা আমি সবসময় পিল খাবো কেন। তুমিও তো প্রোটেকশন নিতে পারো। আমার একটু রেস্ট হয়। পেটটা দেখেছো একবার!
বিপুল ঠিক আছে বলে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে।
জানালা খোলা। পূর্ণিমার গোল চাঁদ। রত্নার মনে হয় ওই চাঁদটি এই পৃথিবীর পিল যার জ্যোৎস্নাপ্লাবিত স্পর্শে পৃথিবীর মেদ বেড়ে যায়। আচ্ছা পৃথিবীর কী অভিমান হয়! এখন ঘন কালো মেঘের চাদর পৃথিবী আর চাঁদের মাঝে চলে আসে, ভালো লাগবে কী দু-জনের? কী বুঝে রত্না জানালার পর্দা টেনে দিয়ে বিপুলের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জ্বলে থাকা ঘরের নীল বাল্ব সেও এক পিল যার প্রভাবে দুটি প্রাণের তপ্তশ্বাসের মেদ বাড়ছে ক্রমশ …