🌾বাঁচার লড়াই🌾
✍️সেঅতি কর্মকার✍️
বিংশ শতক হাজির দেখি
একবিংশের দ্বারে
লকডাউন আর আম্ফান নিয়ে
করোনা ফুঁসছে ঘাড়ে
নেই চলাচল,নেই ট্রেনপথ
লকডাউনের জেরে
গাছের ডালে জড়িয়ে প্রেমে
তার গিয়েছে ছিঁড়ে
মুঠোফোনটা মৃত আজ
তড়িৎবিহীন দিনে
তড়িৎ যদি থেকেও যায়,অকেজো
নেটওয়ার্ক বিনে
।
স্বজন-বন্ধুর খোঁজ নেই যে
চিন্তা ঘুম কাড়ে
বিংশ শতক হাজির দেখি
একবিংশর দ্বারে
টিনের চালা গিয়েছে উড়ে
আকাশ দেখা যায়
মাটির উঠান গিয়েছে ধুয়ে
দেখেই কান্না পায়
সাধের বাগানে যাওবা ছিল
আম কাঁঠালের ঝাঁক
হাওয়ার তোড়ে কাব্যনীড়ে
স্বপ্ন তোলা থাক
পাতার ঝাঁকে আঁকে বাঁকে
পা ফেলা যে দায়
বৃক্ষমাঝে আটকে পড়ে
জীবন বুঝি যায়।
নেই ইনভার্টার, নেই লম্ফ
এখন মোমের বাতি
চারটে দিনের বাঁচার লড়াই
যেন আঁধার রাতি।
বিকেলবেলায় ঐ দেখা যায়
দূরে ঘুড়ি ওড়ে
বিংশ শতক হাজির দেখি
একবিংশর দ্বারে
সন্ধ্যে হতে জ্বলে না আলো
অলিগলির কোণে
কোথাও যেন পৌঁছে গেছি
আদিম যুগের কোলে
অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই
সামনে চলার পথ
রাত জোনাকি রাস্তা দেখায়
মনুষ্যজীবন শ্লথ
তার ঘরেতে যেটুকু ছিল
কানা-কড়ি যত
লকডাউন আর আম্ফানেতে
খসেছে জলের মত
জলের অভাব? নাইবা বললাম
মানুষ হা-হা করে
বিংশ শতক হাজির দেখি
একবিংশর দ্বারে
মুঠোফোন নেই,টি.ভিও নেই
কেমনে মানুষ বাঁচে ?
লকডাউনে মুখ দেখা যায়
আয়না ভাঙা কাঁচে।
সচেতন যারা ঘরে ফিরেছে
একটি মোমের আলোয়
গল্প কিংবা গানের লড়াই
দুঃখ-কষ্ট বিলোয়
বিংশ শতক হাজির দেখি
একবিংশের দ্বারে
লকডাউন আর আম্ফান নিয়ে
করোনা ফুঁসছে ঘাড়ে
একটা জীবন দেখলো কি কি
ভাবতে থাকি বসে¡
স্বপ্ন যা মা বুনলো মানুষ
সবই গেল ধসে
দুহাজার কুড়ি সাল না তো
অভিশাপের ডালি
বিধ্বস্ত তো করেই দিলে
ঢেলেই দিলে কালি।
প্রমাণ আমি খুঁজে বেড়াই
পাইনা কোনো যুক্তি,
প্রকৃতির কাছে আজও অসহায়
নেই মানুষের মুক্তি।
প্রার্থনা আমার একটি শুধু
শক্তি দিও শত
জাতি আবার উঠুক জেগে
ফুটুক ভোরের মত।
বিংশ শতক হারিয়ে যাক
আদিম যুগের ভিড়ে
করোনা আর আম্ফান হোক
বন্দি নিজের ঘরে।।