সার্কাস
— কলমে : সুপর্ণা বোস–
এই বিশাল পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে
লাফিয়ে চলেছে ওরা।
এক রিং থেকে আর এক রিং–
আলোর ঝিকমিক।
কোনটাতে বড় বা কোনটাতে ছোট,
নিজের অস্তিত্ব প্রমানের
নিষ্ফল চেষ্টা।
হয়তো বা বেখেয়ালে ,
অচিরেই পতিত হবে নিরেট ভূতলে ।
কোন অমোঘ নিয়তির মতো,
লোকের আঙুল হেলনে
নেচে চলেছে মানুষ , শিশু।
সভ্যতার আলোর উজ্জ্বলতায়,
ঘুচে গেছে মানুষ ও পশুর ভেদাভেদ।
ক্ষিদের উলঙ্গ আহ্বানে,
মনুষ্যত্ব যেন শ্বশানের জ্বলন্ত চিতা।
আপনজনের মৃত্যুঘন্টাও
থামাতে পারে না তাদের–
রঙচঙে পোশাকে ,
চোখের জল ঢেকে
জনতার চাহিদায় এগিয়ে চলা।
ক্যানভাসে আঁকা চরিত্ররা
কথা বলে কোন মায়াজালে ।
ঘূণে ধরা জীবন —
চরিত্রগুলো অশরীরীর মতো,
ঘোরাফেরা করে
সার্কাসের খেলাঘরে।
কতগুলো নির্জীব শরীর,
অমাবস্যার ছায়ায় ঢেকেছে
ভাঙাচোরা বিষন্ন মন —
থামলে যে চলবে না,
আকাশের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে
ছুটে আসে সেই কন্ঠ —
“The show must go on “..
____________________________
কবি পরিচিতি:
কবি সুপর্ণা বোস
বর্তমানে তিনি কলকাতাবাসী। তিনি কবি পেইন্টার, ক্রাফ্ট আর্টিস্ট, বাচিক শিল্পী । আরও বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত আছেন।
পিতা: স্বর্গীয় কবি সুধীন পাল,
মাতা: স্বর্গীয় দীপিকা পাল।
বাসস্থান: 24 পরগনা (উ),
কলকাতা: 700074, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
শিক্ষা :পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট এবং কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা।
পেশা: পেশা বলতে প্রথমতঃ হল লেখা (কবিতা, অনুগল্প, নিবন্ধ ইত্যাদি), ছবি আঁকা, আবৃত্তি করা, ক্রাফ্ট এর কাজ, বুটিক সেলাই ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। দশ বছর বয়স থেকে আঁকা শেখা শুরু।তারপর বহুদিন আঁকার স্কুলে শিক্ষকতা করেন। 1990 সালে একাডেমিতে ছবির প্রদর্শনী করেন। আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রথম বই : শঙ্খচিলের ডানায়, 2022 সালে।
দ্বিতীয় বই: জীবনের জলছবি, 2023 সালে।
সম্মান প্রাপ্তি : বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা থেকে অতিথি সম্মাননা, “সুদেব সরকার স্মৃতি স্মারক”, গ্রন্থসাথী ও অর্পন পত্রিকার সম্মাননা, বিকল্প নির্মাণ পত্রিকার স্মারক –এই সব প্রাপ্তি ঘটে।
আরও কিছু সামাজিক কাজের
সঙ্গে যুক্ত। “সারমেয় ” নামের এক সেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, যারা পথ পশুদের নিয়ে কাজ করে। সমাজের কল্যানে কিছু করার ইচ্ছা আছে ।