সম্পর্কের বেড়াজালে
*******************
সম্পর্কের বয়স গিয়ে পৌঁচেছে 7 বছর 11 মাস 13 দিনে। অষ্টমীর সেই অজস্র ভিড়ের স্রোতে আমার হৃদয় জুড়ে প্লাবিত হয়েছিল তোমার ঠোঁটের হাসি। উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো তাক লাগিয়েছিল তোমার দৃষ্টি শক্তির তীক্ষতা। কুলপির বরফও যেন তোমার উষ্মতম স্পর্শে গলে যাচ্ছিলো। সে সব স্মৃতি আজও হৃদয় বীণায় সুর তোলে। আর সেই সুর-ই আমার প্রতিদিনের জীবনীশক্তি। স্কুল,কলেজ তারপর অফিস। এসব ব্যস্ততার চোরাবালি আমাদের গ্রাস করেছে। বেগুনি সন্ধের শেষে রাতের আধঘন্টাই সম্বল। এমনকি অভিমানগুলোকেও শব্দরূপ দেওয়ার আকাঙ্খাও ভূমিস্থ।শুধু ডায়েরির পাতা, ক্লান্ত বালিশ আর বৃষ্টি ভেজা বিকেলই জানে। ধাবমান কালের চঞ্চল বেগ হঠাৎই মন্দিত হয়ে তোমার সাথে এতদিন পর সাক্ষাত। কফি হাউসটা আলোর বাহারিতে যেন জোনাকির কুটীরে পরিণত হয়েছে। তার বাইরে থেকে আসা সমুদ্রহাওয়া আবেগঘন মুহূর্তটাকে আরও পুঞ্জিত করে তুলেছে। মনভ্রমর প্রতি নিমেষে মিশে যেতে চাইছে তোমাতে। অন্তরস্থ শঙ্খচিলের গন্তব্য যেনো মেরুন দ্বীপের স্বপ্ন। রাতের সমীকরণের বিস্তৃতি যদি অসীম হতো তাহলে হয়তো তোমাকে থাকার জন্য জোর করতাম না। পরিশেষে যাবার বেলায় চাহনি যেন বলে-
খরস্রোতা সময়ের ঢেউ উপেক্ষা করে,
বিকিরিত হয়ে থেকে যাও ক্ষণিকের তরে।
মনো পাখি গেয়ে ওঠে – “Aj Jaane Ki Jid Na Karo”
-সপ্তক