সনাতন ভারত, বিশ্ব কবিতা
( ৩৯৩ পংক্তি কবিতা )
——————————-
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
|| এই ইংরেজি বিশ্লেষণের নিচে কবিতা ||
|| কবিতার মাঝে-মাঝে একাধিক বিজ্ঞাপন বা সাদা অংশ আসতে পারে, সেগুলি টপকে নিচ অবধি নেমে কবিতাটা পড়বেন। সব চেয়ে ভালো হয়, আগে কবিতার শেষ অবধি দেখে নিন পুরোটা টেনে। তারপর বুঝবেন কতটা আছে। তারপর পড়ুন। ||
[ It is a research Bengali poem like “Sanatan Bharat, Biswa Kabita” i.e. “Sanatana India as well as World in poem”, written by Ridendick Mitro, delivering that (1) Sanatana means eternal religion. (2) Many kinds of trusts and situational religions occupied India. But it does not mean Sanatana religion was disqualified. Mainly such kinds of greedy and critical people made the national and foreign people misunderstand about it. As per social disorders and due to the indifferent mindedness of the honest wise people, such numbers of ignorant, in such cases educated critical people held administration and then it belonged to bad motivation. (3) Such kinds of purchased people displayed that Indians are demon lineage, but they were advanced. Gods are foreigners. They were bad and immoral.
In this process they want to disorder the beautifying senses, nice habits, honest bravery, power of perfect judgement and unique thoughts psychologically in the people to fullfill their bad wishes. It’s a bigger network behind tha wall.
The poet proves it logically. (4) The day is coming, all the people would declare they all are Sanatana, cause that they would glorify themselves with their past, and they would come back to their Sanatana identity. (5) Sanatana India created and produced exceptional thoughts and habits. To disobey it such foreign sources and foreign made home agents fooled Indians. This for, Indians changed its Sanatana structure in most cases. (6) India said since past “Bosudhoibo Kutumbakam” i.e. World is my family. ]
—————————-
সনাতন ভারত, বিশ্ব কবিতা
( ৩৯৩ পংক্তি )
—————————-
ঋদেনদিক মিত্রো ( কলকাতা, ভারত )
কারা আমাকে কী দেবে আদর্শ,
আমার রক্তে রয়েছে ভারতবর্ষ।
কে বলেছিল ভারতীয়রা
অনার্যদের অংশ,
কেউ বলেছিল ভারতীয়রা
সব কাফেরের বংশ।
সেই অনার্য ও কাফেরের
সাজানো সুখের দেশে,
যারা এসে করে ধংশ, ফুর্তি,
নির্মম অক্লেশে।
তাদেরকে ভাবি পথ-দ্রষ্টা
নিজেদের ভেবে ইতর,
আমাদের পূবপুরুষেরা নাকি
অসভ্যতার শিখর,
আমরা কতটা বোকা সেজে গিয়ে
নিজেদের ছোট করে —
অপমানকারিদেরকে নিয়েই
জীবনেতে থাকি ধরে!
কাদের বুঝানো আদেশেই মেতে
নিজেদের করি বিঘ্ন,
নিজের পূর্ব ভাইবোনদের
করে শুধু নিশ্চিহ্ন।
এই কথাটুকু বুঝবার মতো
দেয় না ভাবার শক্তি,
প্রতি মূহুর্তে মাতিয়ে করায়
তাদের দিকেই ভক্তি।
সভ্যতা মানে দেওয়া আর নেওয়া,
বিবিধ রকম জাতের,
তাই বলে কি আমাদের সব
পূর্বপুরুষ কাফের।
নাকি আমরা সব অনার্য
কাদের কী সব আইনে,
বোকা থাকাটা কি পরম ধর্ম
আমাদের প্রতিদিনে?
তবে আমাদের গৃহীত ধর্ম,
সংস্কৃতিটা কী তা-ই,
পূর্বপুরুষদিগকে কেবলি
নিয়ত ইতর বলাই।
যে-সব পূর্বপুরুষেরা মিলে
গড়েছিল সভ্যতা,
কত রকমের ধাক্কা খেয়ে যে
দিয়েছে অভিজ্ঞতা,
কত যুগযুগ মেহনতি করে
ভরিয়েছে জ্ঞান, বিদ্যায়,
তারা অনার্য, কাফের হবে
কোনো যুক্তিতে হায়।
আমাদের দেশে যারা সব এসে
নিয়েছে সকল রকম,
আমাদের নিয়ে তারা হলো না কি
ধর্মেতে সনাতন?
আমাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধন,
সেই সাথে ভিটেমাটি —
কেড়ে নিয়ে বলে, “তোরাই কাফের,
অনার্য রূপ জাতি।
এমন করেই বুঝিয়ে দিয়েছে,
কেউ বা দেখালো ভয়,
তাতেই আমরা ভ্রমে পড়ে গিয়ে
তাদের দিয়েছি জয়।
তাদের ধর্মগ্রন্থকে ছুঁয়ে
আমরা বলছি হেঁকে —
সনাতনকেই ঘৃণা করলাম
পরের ধর্ম পেতে।
তারা আমাদের দেশের খাদ্যে,
বস্ত্রেই থাকে বাড়তে,
তারাই আমাদের বলেছিল
সনাতন রূপ ছাড়তে।
এটাও সত্য, সব ক্ষেত্রেই
ছিলনা তো চাপ, ভয়,
সনাতনে ছিল অনেক খারাপ
লোকের অভ্যুদয়,
তারাও করেছে নানা রকমের
জটিলতা বিস্তার,
তখনি অনেক মানুষ চেয়েছে
জ্বালা থেকে নিস্তার!
তখন তারাও বাধ্য হয়েছে
আপাত রেহাই পেতে,
নিয়েছে অন্য ধর্মের ছাপ
পরিস্থিতিটা মেপে।
বহু জনগন, বহু ভাষাভাষী,
সামাল দিতে কে পারতো,
সেই সময়েও জ্ঞানের অভাব, ও
বাঁচার তাগিদে স্বার্থ।
প্রাচীন এবং মধ্য যুগের
শিক্ষা ও যানবাহন,
বিচ্ছিন্ন সমাজ এবং
সবার জীবন যাপন।
তাই এসেছিল অনেক রকম
ভ্রম আর অন্যায়,
নানা রকমের ঘটনার পথে
অনেক কিছুই বদলায়।
কিন্তু সেটা তো পরিস্থিতির
সাপেক্ষে ঘরছাড়া,
মূল পরিচয়ে সব সনাতন,
মানব জন্ম দ্বারা।
সনাতন ছেড়ে অন্য ধর্মে
গেলে যদি হতো শান্তি,
সেখানেও কেন দাঙ্গা ও লুট,
এত অপরাধ, ভ্রান্তি।
আসল জিনিস একই মানুষ
আমাদের পরিচয়ে,
যারা জ্ঞানী, সৎ, ও সৎ সাহসী,
তারা থেকে নির্ভয়ে —
দেশ, পৃথিবীকে বদলাই এসো,
মানুষের পরিচয়ে,
সেটাই তখন আধুনিকতর
সনাতন যাবে হয়ে।
এই সত্যটা বলতে চাইছি,
কাউকে দুঃখ নয়,
সবার উপরে অভেদ সত্যে
সনাতন পরিচয়।
ধর্ম বদলে সুখ যদি পেলে,
জ্বালা কেন হাড়ে-হাড়ে?
এই আলো বোধ দেয় সনাতন
গভীর অন্ধকারে।
নিজের সুদূর ইতিহাসকে
নিরপেক্ষতা দিয়ে
বিচার করছি অকপটভাবে
যে জ্ঞান, সাহস নিয়ে —
সেইটাই হল সনাতন রূপ,
আত্মসমালোচনা,
এই সুখ পাওয়া প্রাণের গর্ব,
দেহে সুখ প্রতি কণা।
অহংকার তো করছি না আমি,
ইতিহাসটাই বলছি,
সকলেই মহাবিশ্বের প্রাণ,
নানা পরিচয়ে চলছি।
সব পরিচয় এক হয়ে যায়
যে-পরিচয়ে মিশে,
সেই পরিচয় হলো সনাতন,
পৃথিবীর দশদিশে।
ধর্ম বলেই কোনো ভেদ নেই,
এটাই ধর্ম সনাতন,
বাইরে আমরা যেভাবেই সাজি,
হৃদয়ে এক রকম।
সব ধর্মের পরিচয় ফেলে
নিজেকে মানুষ বলি,
এর নাম হলো আমি সনাতন,
মুক্ত হয়েই চলি।
বহু রকমের ধর্ম আছে কি?
সেগুলি নয় তো ধর্ম,
দেশ, কাল ভেদে নানা অভ্যেস
বেঁচে থাকবার জন্য।
সনাতন মানে, যুক্তি ধরলে
হবে না ধর্ম ছাড়া,
সনাতন মানে এগিয়েই চলো
নতুন জ্ঞানের দ্বারা।
নতুন জ্ঞানের পরিচয় মানে
নতুন ধর্ম নয়,
নতুন চিন্তা মানে সনাতন,
ক্রমাগত বিষ্ময়।
নানার জাতির নানান ধারায়
আমরাও গেছি মিলে,
বহু বিচিত্র রক্ত এবং
চিন্তনে অনাবিলে।
এই মিশ্রনও সনাতন প্রথা,
বুদ্ধি বিচারে মাপি,
সারাটা পৃথিবী এক হয়ে হোক
একটি মানব জাতি।
ধর্ম মানে, নিজে থেকে ভাবো
মুক্ত জ্ঞানের শিক্ষায়,
ধর্ম মানে বাধ্য হবে না
কারো চাপে বা মিথ্যায়।
কারা নেশা করে নাচছে কোথায়
কোন্ পুজা মন্ডপে,
কারা কাকে ধরে লুট করে নিলো
প্রকাশ্য রাজপথে,
বিচারে দোষীর প্রমাণ লোপাট,
বিচারক হলো কেনা,
কেউ বা বিলাসে করে ফেলেছে
অকাতর টাকা দেনা,
এইসব কেন কলংক দেবে
সনাতনি সজ্জায়,
নানান গোপন কারণে এসব
ভুল স্বভাবের কব্জায়।
সুপ্রাচীন যুগ থেকে ভারতীয়
ক্রমানুসারেই সভ্য,
কত জ্ঞান আর চিন্তার পথে
আমরাই অনবদ্য,
মহাবিশ্বের কত রূপ, গুণ,
এসব আমরা ভেবেছি,
প্রাণের সত্যে কত কী সত্য,
এইসব নিয়ে জেগেছি,
কে কোত্থেকে এসে দেবে বলো
আমাদেরকে জ্ঞান,
যারা ঋষি হয়ে গুহা, জঙ্গলে
করেছি যে কত ধ্যান,
তাদের শেখাবে ত্যাগ তীতিক্ষা,
দিতে চায় পরামর্শ,
আমার রক্তে রয়েছে ভারতবর্ষ।
কারা বলেছে ভারতবর্ষ
রাক্ষসদের ছিল,
সেই মতো সব তথ্য বানিয়ে
গল্প ছড়িয়ে দিল,
এর মানে হল ভারতীয়দের
রাক্ষস বলে দিয়ে —
এদের আর্য বুদ্ধিকে ধরে
নিচে দেবে লুটিয়ে,
সেই মতো এরা ধরেছে দালাল
হাজার-হাজার জন,
ভারতকে যারা নষ্ট করতে
হাসি রূপে দুষমন।
ভারতের মাঝে তারা ভারতীয়,
কিন্তু জটিল পন্থি,
নিজেদের জেদ বজায় রাখতে
বহুভাবে ষড়যন্ত্রী।
“রাক্ষস জাত” পরিচয় মেনে
নিলে কোনো পরিচয়,
তুমি নাকি পাবে অনেক সুযোগ,
তাতেই তোমার জয়।
কত সুন্দর চৌকস পথে
মানুষকে ছোট বানিয়ে,
বংশধারার উচ্চ গতিকে
দিয়ে যায় নিচে নামিয়ে।
আমি ভারতীয়, তাই তো আর্য,
রন্ধ্রে-রন্ধ্রে হর্ষ,
যে-দেশেই থাকি, আমি তো ভারতবর্ষ।
বেদ, গীতা, উপনিষদ ও পুরাণ,
ভারতে হয়েছে লেখা,
সুপ্রাচীন সব উন্নত ভাষা
ভারতে গিয়েছে দেখা,
ভারতেই হল মহাকাব্য —
অমোঘ সত্য আলো,
যুগযুগ ধরে সারা বিশ্বকে
চিন্তনে চমকালো।
মহাকাব্যের কাহিনীতে আছে
কতখানি সত্যতা,
তার আগে বুঝি এর ভিতরের
উপলব্ধির কথা।
আনাড়িয়ানায় কারা করে চলে
মহাকাব্যকে অপমান,
মহাকাব্যই শিখিয়েছিল তো
কল্পনা দিয়ে অবদান।
কত পুঁথি আর কতকি সৃষ্টি
পুড়ে আর ভেঙে শেষ,
দেশি ও বিদেশি লোভী শাশকেরা
ধ্বংস করেছে দেশ।
আরো কত মহাকাব্যগুলি যে
হয়ে গেছে নষ্ট,
আগ্রাসীদের আক্রমনে
কত কিছু হল ভ্রষ্ট,
কিংবা নালন্দার ধ্বংশ
নব্বই লাখ গ্রন্থ —
ধ্বংশ হয়েছে আক্রমনে
ইতিহাস জানো তো,
কত রকমের কত ধর্ম ও
কত রকমের জাতি,
এই পৃথিবীর ক্ষতি করে গেছে,
শুধু কি ভারতে নাকি?
এসব তথ্য যৎ সামান্য
অসংখ্য সব ক্ষতি —
যুগযুগ ধরে ভারতবর্ষে
এনেছিল দুর্গতি,
ভারতকে কেউ তুচ্ছ ভাবাবে,
কাদের সে পরামর্শ,
আমার রক্তে রয়েছে ভারতবর্ষ।
অসীমতাকে নিয়ে প্রথমেই
ভেবেছে ভারত মাটি,
যাকে পিছাতে এসেছে কত যে
বিচিত্র জাতজাতি,
ভারতে সমাজ, চিন্তা ও জ্ঞান,
এইসব যদি ঘৃণ্য,
এই সমাজের দানাপানি খেয়ে
কেন হলে বিস্তৃর্ণ,
এই মাটিতেই যে-পরিচয়
সেটা ছিল সনাতন,
বিশ্বের সব মানব জাতীর
একই দেহ ও মন,
তাই সকলের উৎস সূত্র
থেকে আসে ধর্ম,
সেই উৎসের নাম সনাতন
সারা পৃথিবীর জন্য।
সনাতন নামে জ্ঞান ও সততা
নিয়ে সময়ের ধারায়
নতুন-নতুন চিন্তনে চলা
সংযোজনের দ্বারায়,
অপৌত্তলিক যে-সনাতন,
পৌত্তলিকও তা-ই,
অদেখা ও দেখা মিশিয়ে জগৎ,
চিরন্তনেই যাই।
চিরন্তনের মানে সনাতন,
না বুঝলেই দুঃখ,
এই সত্যকে যারা বোঝেনা,
তারা হয়ে আছে মুর্খ।
মুর্খতা আনে জেদ, অজ্ঞতা,
রেসারেশি ভয়ানক,
মানুষ যখনি দানব হচ্ছে —
বেড়ে যায় দাঁত, নখ,
সেই দাঁত, নখ বের করে তারা
হিংসায় উন্মত্ত,
এটাই নাকি স্বধর্ম রক্ষা,
ধংশে বীরত্ব।
কারণ নানান ভূগোল এবং
ইতিহাসগত কারণে —
ভুল বুঝানো হয়ে এসেছিল
সত্যম্ সনাতনে,
সেই সনাতন পরিচয় হল
আমারই তো ঔৎকর্ষ,
আমার ধর্ম, আমার ভারতবর্ষ।
কতটা উচ্চ ভারতবর্ষ,
তাই যুগযুগ ধরে —
এসেছিল কত বিদেশীর দল
কত মেহনতি করে,
কোন্ ধর্ম, জাত গোত্রের
মাঝে আমাদের টেনে
নিয়েছে এবং আরো নিতে চায়
তাদের ইচ্ছে মেনে।
তারা করেছিল কৌশল দিয়ে
চাপ আর নিপীড়ন,
আমাদের মাঝে একত্রে হবে
একদিন জাগরণ,
তখন আমরা সবাই জানবো —
এক ধর্মের বলেই মানবো,
সে কী সুখ রোমহর্ষ,
আমরা সবাই মিলেই ভারতবর্ষ।
যে-মাটিরই জ্ঞানের জগৎ
পৃথিবী থেকেই পুজ্য,
সে-মাটির জ্ঞানকে কারা করে
অপমানিত ও উহ্য?
বিরাট দেশের অনেক রকম
স্বভাবের লোকেরা,
তাদের কারোর কোনোও স্বভাব
হয়েছিল ব্যেঁকাট্যেরা,
সেটা তো সমাজ সভ্যতারই
বিবর্তনের ঢং,
সেই জন্য কেন ছোট হবে
পরিচয় সনাতন।
এসো তো সবাই ফিরে যাই সেই
প্রাচীন ভারতবর্ষে,
সেই সব ঋষি, পন্ডিতগন,
যাঁদেরই তো ভাবাদর্শে —
আমরা ছিলাম, আজোও রয়েছি
গোপন রক্ত প্রবাহে,
সেই পরিচয় অমান্য করে
কোন্ পরিচয়-মোহে —
সনাতনি মুখে কালি মাখিয়ে
হবো কার পন্য,
জাগো, জাগো, তুমি ভারত, বিশ্ব,
সনাতনে হই ধন্য।
জন্মান্তর সত্য যদি,
সনাতনে যেন জন্মাই,
যদি কোনো ভুলে হেঁটে যাই আমি,
সনাতন ফিরে চাই।
আবার নতুন করেই বলছি,
কেউ ভুল বুঝবে না,
পৃথিবীটা পৃথিবীর, নয় কোনো
ধর্ম জাতের কেনা।
এই তথ্যই হল সনাতন,
বিশ্বে বাঁচার ধারা,
সকলের চোখে একই আকাশ,
সূর্য, গ্রহ ও তারা।
অনন্ত এই মহাবিশ্বে
যেখানেই করো বাস,
মুক্ত চিন্তা, দিশাহীন বোধ
নিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস।
সেইটাই হল সনাতন ধারা,
মানেটা চিরন্তন,
আমি এ-মানব অনন্ত স্রোত
চিন্তার স্পন্দন।
ভিন্ন জীবন ধারার চর্চা
নিয়ে ছিল নানা কর্ম,
সেইগুলি ছিল বিচিত্র রূপে
এক-এক নামের ধর্ম।
তাঁদের মাঝের নানা সংস্কৃতি
দিয়েছে নানান আলো,
বিশ্বের মাঝে মানুষ স্বত্তা
বিবেকের স্তরে ভালো।
এই সত্যই হল সনাতন,
সনাতন মানে চলা,
দিগন্ত হতে দিগন্তরে
বিশ্বের কথা বলা।
সনাতন মানে অনন্ত হতে
আমি অনন্ত সুখ,
অনন্ত জ্ঞানে আছে যত ধারা,
দেখি সেই সব রূপ।
হে ভারত, তুমি ভেঙে হয়ে গেছ
মাটি ও ধর্মে ভিন্ন,
ভুয়া জাতপাতে বিকৃত হয়ে
সে-গর্ব বিচ্ছিন্ন,
সেই গর্বই ফিরে আসবে,
কে সেই শক্তি জাগালো,
সনাতন ছিল প্রাণের সত্যে,
মহা চেতনার আলো।
চোখের মুক্তি সনাতনে হয়,
দেখবার স্বাধীনতা,
প্রাণের মুক্তি সনাতনে হয়,
শেখবার স্বাধীনতা,
জয়ের মুক্তি সনাতনে হয়,
আচরণে সম্ভ্রম,
ভারতের মাটি থেকে এসেছে
বসুধৈব কুটুম্বকম্।
ভোরের ঘাসেতে শিশিরে পড়েছে
সূর্যালোকের শঙ্খ,
এই তো ধর্ম সনাতন,
কত সুখ অফুরন্ত!
———————————
( রচনা : ১৭, ১৮, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪)
About the poet:–
ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro ) , পেশায় ইংরেজি ও বাংলাভাষায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিষ্ট। স্প্যানিস ভাষা শিখে সম্প্রতি এই ভাষাতেও কলম ধরা শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
———————————–
বি-দ্রঃ —
যে কোনো চিন্তাশীল মানুষ তাঁর চিন্তা প্রকাশ করেন তাঁর সৃষ্টিতে। আপাত দৃষ্টিতে সেটা প্রকাশ করার যোগ্য বিবেচনা করলে সংবাদ বা সাহিত্য বা শিল্প মাধ্যম সেটা প্রকাশ করে, সেই সৃষ্টির ভালোমন্দ দিক জনগনের দ্বারা আলোচিত হবার জন্য। তাই যে কোনো সৃষ্টি প্রকাশের পর সেটার সব দায় দায়িত্ব স্রষ্টা ও জনগনের মধ্যে, কোনো প্রকাশ মাধ্যম নয়। বিকল্প যুক্তির লেখাও কেউ অন্য কোথাও বের করতে পারেন, সেখানেও আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কারণ, আলোচনা ও সমালোচনার পথে আমরা আরো এগিয়ে যাই। এটাই সভ্যতা ও শিক্ষার পরিচয়। সেই মানসিকতা নিয়েই পাঠক-পাঠিকা দেখবেন একজন স্রষ্টার সৃষ্টি। বিকল্প পথে কোনো সৃষ্টির মূল্যায়ন হতে পারে না। কারণ, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে বয়ে নিয়ে নিশ্চয় লাখ-লাখ বাড়িতে ঢুকে দেখাতে পারেন না।
— সম্পাদক