Spread the love

                        *সতর্কতা*
                         লিলি সেন
                           ………….
করোনা সতর্কতা বেজে ওঠে
মোবাইলের রিংটোনে—
আমি যুবতী কন্যা বুকে আগলে ভয়ে কাঁপি,
রিং টোন কেন হয় না ধর্ষকদের সতর্কতার?
রিংটোনে কেন বাজে না থানার নম্বর?
মনে মনে প্রশ্নটা কুরে কুরে খায়,
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি
দুঃস্থ সমাজ ব্যবস্থায়।

আমি মুর্খ হাভাতে—
বাজারে পোকা চাল কিনতে যাই;
ফুটিফাটা ট্যাঁক—
নুন কিনতে দুটো টাকা চাই।
বলোনা তুমি—
সে টাকা কোথায় গেলে পাই?
পেট বড়ো বেয়াদব—
কেবল করে খাই খাই।
মোবাইলে কেন দেয় না সেই নম্বর?
আমার তো একরত্তি ছেলেটাই সম্বল।
বড্ডো খিদে; বড্ডো খিদে…..
যেন গোটা পৃথিবীটাই চলে যাবে পেটে।
রাত যত গভীর হয়—
শুনশান হয় রাস্তা-ঘাট,
শুনশান কই? শুনশান ক ওওওই?
শুনতে থাকি ফিস্ ফাস আওয়াজ!
আর পা টিপে টিপে চলার শব্দ স্পষ্টতই।
চোখে ঘুম আসে না
দুরু দুরু বুক কাঁপে,
কিজানি কার কিভাবে বুঝি
আবার সর্বনাশ হবে!
কে দেবে বাঁচার আশ্বাস?
কাকে কিভাবে করব বিশ্বাস!
রিংটোনে কেন বাজে না কোন নম্বর?
হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি টাই সম্বল।

করোনা সতর্কতা ধুয়ে কি জল খাব?
আমার তো পেটের তাগিদ
আমি বাইরে যাব।
আমার পেট গেছে পিঠে ঠেকে
বোঝা বয়ে শিরদাঁড়া গেছে বেঁকে,
আমার ঘরে যুবতী কন্যা
দুচোখের জলে গঙ্গা-যমুনা।
আমার সম্মুখে বেকার ছেলে
কোথায় গেলে ভিক্ষে নয়
একটা চাকুরি মেলে?
কেন রিংটোনে বাজেনা সেই নম্বর?
আমার তো বুভুক্ষ পেটটাই সম্বল।।
__________________
             

One thought on “সতর্কতা – লিলি সেন”
  1. খুব বাস্তবোচিত লেখনী। ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *