শিশির এলেও তুমি নেই
বটু কৃষ্ণ হালদার
জানো নিতা,
এখন মূল্যবোধের আকাশ খুব ছোট
সম্পর্ক গুলো টাকার ওজনে দাঁড়ি পাল্লায় মাপা হচ্ছে
আর ভালোবাসা বেঁচে আছে অভিনয়ের কাঁধে ভর করে।
তবুও তুমি আর আমি ভালো বেসেছিলাম
ঘন্টার পর ঘন্টা,দিনের পর দিন হেঁটে যেতাম ইছামতির তীর ধরে
নদীর তীর জুড়ে ছিল বুনো বাবলা,হাবড়ি,কেওড়া, হলুদ জংলি ফুল
ঝরে পড়া কত অজানা ফুল বিছিয়ে থাকতো হিরে,মানিকের মত
সবুজ গাছগাছালি আর বাতাসের ঢেউ
সেখানে এখন কংক্রিটের জঙ্গলে স্তব্ধ হয়েছে পাখিদের ডাক।
এখন শীত নামে মেপে মেপে ঘাসেদের গায়ে
শেষ ভোরে কুয়াশায় জেগে থাকে চাঁদ
দূর থেকে ভেসে আসে না মাদলের সুর
মাঠের নিস্তব্ধতা, আলপথ জুড়ে ছোটাছুটি করে ইঁদুরের দল
কুয়াশার চাদর সরিয়ে খুঁজে বেড়াই তোমার মুখ।
শ্মশান পাখি আজ ও কুয়াশা মাখে শরীরে
শুকনো নাড়া,খড় জ্বালিয়ে আগুন পোহায় বাউলের দল
যে গান গেয়ে তারা ভিক্ষা করে,সেই সুর শুধু তোমায় খোঁজে।
সরষে খেতে মৌমাছিরা এসে গান করে
নাম না জানা কত পাখি এসে বসে,শিমুল গাছে
সীমান্ত জুড়ে এখনো শিশিরের ঢেউ পসরা সাজায়
কুয়াশার চাদর সরিয়ে দেখি তুমি নেই।