আমি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম
কল্পনার বাসরে স্বপ্ন ছিল,
আমি একদিন রোদ্দুর হয়ে,
সকলের মাঝে আলো ছড়াবো,
দেখেছি শিক্ষা ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক
ক্ষেত্রে রাজনৈতিক এমন কি সকল ক্ষেত্রেই যেন
বৈষম্যের পালাটা দিন – দিন ভারী হয়ে যাচ্ছে,
বিস্ময়ের দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি!!
ত্যাগ আর রক্ত সাথে মা- বোনের আত্মত্যাগে,
ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার লাল সূর্যটার ওপরে কি,
অদৃশ্য কোন কালো ছায়ার প্রলেপ পরেছে??
তখন চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে,
একাত্তরের মা জননী তোমার সন্তান কে জাগ্রত করো
হে বঙ্গবন্ধু আরেকটা রণ হুংকার দাও,
জানো ওরা হনুমান সেজে তোমার ছিনিয়ে আনা সূর্যটাকে বোগল চাপা করে মনের আনন্দে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে!!
ভেবেছিলাম আমি রোদ্দুর হয়ে এর অবসান ঘটাবো,
শত আবেগ আর দুঃখের মাঝে প্রকৃতির ডাকে নারীর প্রেমে হৃদয়ের কোনে উঁকি মেরে ছিল এক সময়ে,
বললাম সরে যাও আমি রোদ্দুর হবো,
আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মাথাটা পিঠে ঠেকিয়ে বলল আমিও তোমার সাথে রোদ্দুর হবো
ঘটাবো সকল বৈষম্যের অবসান,
না — করতে পারলাম না।
তাকে সাথে নিয়ে চললাম, চলতে – চলতে হঠাৎ দুরারোগ্য ঘাতক ক্যান্সার বাসা বাধলো শরীরে, মানুষের সাথে প্রকৃতিও যেন আমার রোদ্দুর হওয়ার পথে বাধ সাধলো!!
শুধু বললাম আমার অনাগত সন্তান কে বলো আমি রোদ্দুর হতে চেয়েছিলাম, তুমিও রোদ্দুর হবে।।
সরাবে এই বৈষম্যের পাহাড়।।
***** সমাপ্ত*****