ভারতরত্ন প্রিয়…. হে নেতাজী
__কর্ণধর মণ্ডল (রজতীর্থ)
হে প্রিয় নেতাজী……
তোমায় “ভারত রত্ন”-এ করিলে সম্বোধন!
হয়’তো— কিছুটা মিঠবে বুকের তৃষিত দহন!
স্বাধীনতার বীর-সন্ন্যাসী, বীর সেনানী তুমি!
তোমার তেজস্বী চোখে;
দেখেছিলে আজীবন— স্বাধীন ভারত গড়ার স্বপন।
নিজের জীবন তুচ্ছ করে,
জলাঞ্জলি দিয়েছিলে নিজের ভবিষ্যৎ।
দৃঢ় মুষ্টিতে হাতে নিয়েছিলে শাণিত অস্ত্র,
স্বাধীনতার বীজমন্ত্রে—নিয়ে অঙ্গীকারের শপথ।
অন্যায়ের সাথে তুমি না করে আপোষ,
ন্যায় স্বাধীনতার জন্য তুমি!
সশস্ত্র সংগ্রামের পথ নিজে’ই বেছে নিলে।
স্বাধীনতার সুধা বিলিয়ে দিতে,
ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করে;
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে দিলে!
ভারত মা’য়ের শৃঙ্খল মুক্ত করিতে,
নিজেও যে তুমি!
—এগারো বার কারারুদ্ধ হলে।
তবুও হার মানে’নি,
উন্নত শির নতও করো’নি!
ভারতবাসীকে উদ্বুদ্ধ করে স্বাধীনতার নেশায় মগ্ন করেছিলে।
”তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব!”
সে অগ্নিমন্ত্র আজও মানবের মাঝে নিত্য বাজে,
—মুক্তির বাতি জ্বেলে!
সেই রক্তে রঞ্জিত মাটি, যে আজ সোনার মাটি!
শুধু পায়’নি খুঁজে……
আজও সেই ভারতরত্ন সোনার দামাল ছেলে।
বিদেশের মাটিতেও তোমার বীর গাম্ভীর্য-অগ্নিতেজ;
—দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলো,
জাপানিরা সে তেজস্বীতে হয়ে আলোকিত,
প্রতিবাদী মশাল দু’হাতে ধরেছিলো।
তুমি গড়েছিলে আজাদ-হিন্দ-ফৌজ বাহিনী,
যা ছিলো ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের হাতিয়ার।
দিয়েছিলে নেতৃত্ব— হে বীর সেনা নায়ক!
দু’হাতে নিয়ে শপথে রঞ্জিত শাণিত তলোয়ার।
********************
কলমে : কর্ণধর মণ্ডল (রজতীর্থ)