ঊর্মিমালা,
দাদা, বৌদি, পরিবার এর আরো অনেকে, শিক্ষক।
আমি ঐ মাষটারিতে, পাকাপোক্ত নাম লেখাই নি।
সঙগসারের ভাঙ্গন আমি দেখেছি, বোন ভাই, সব ঠাই ঠাই, একান্নবর্তী পরিবার ছিন্ন ভিন্ন, কোলাহল নেই। নেই মায়া মমতা। হিঙসা , রেষারেষি র মধ্যে বিরাজমান, সম্পর্কে র ভাঙ্গন।
সব ঘর ভাঙগছে,
থানথান,রানরান। ভালোবাসা হীন, এই ভাঙ্গন মর্মাহত করে। একটা গুমোট কষ্ট।
এত ভাঙ্গন, হৃদয় টাকে চুরমার করে দেয়। হৃদয়ের ভাঙ্গন, তছনছ করে জীবন, যৌবন। মানুষ মরে।
ঊর্মিমালা, বিষ, দড়ী,ছিন্ন ভিন্ন, রক্তাক্ত দেহ মাটিতে লুটায়। তাতে কার কি এসে যায়।
ভাঙ্গন বড়ো খারাপ। ঝড়, একটা ঝড়, একটা গাছ, ভেঙে উপড়ে দেয়। পাখি ডানা ঝাপটে লুটিয়ে পড়ে, আবার বাচে।।
ভাঙ্গন শুধু চলতেই থাকে, জগৎ জুড়ে।
বাবা, মায়ের ভাঙ্গন এ ছেলেটিকে আমি দেখেছি, পথে, তখন আমি ছোটো, ভাঙ্গন ওকে ঘরছাড়া করেছিলো। খিদে, আকাল, সে বছর, কোথাকার ছেলে কোথায়, বাড়ী, ঘর ছেড়ে হারিয়ে গেছে, এখানে ওখানে হাবু গাইতো। পিঠে একটা লাঠি দিয়ে মারতো বাড়ি, বলতো, তোদের বাড়ী মা গো আমি ঘুরে বেড়ায়, একটুকু ফ্যান দেমা,খেয়ে পালাই।
ভাঙ্গন পাড় ভাঙ্গার মতো, কত কি ভাঙগে , আমি রোজ দেখি, আমার চোখের সামনে ভাঙ্গন, আমাকে নিষচুপ,বোবা করে দেয়। রোজ বলতে চায়, ভাঙ্গন রোধ করার কথা।
সবাই চায় ইচ্ছে করে ভাঙ্গন, জুড়তে চায়না,,,,,,,
ঊর্মিমালা, কেউ আর আমার কথা গুলো শুনতে চায়না। অতীতের ভাঙ্গনের পর আজও শিক্ষা নিতে চায়না, নিজেকে শোধরাতে ও চায়না।। তাই ভাঙ্গন আমার চারপাশে।। হাহাকার, অন্যায়।।