শিরোনাম– ” ভয় ডিঙিয়ে জয় “
কলমে– বিমান প্রামানিক
মাড়গ্রাম,, মুর্শিদাবাদ
অনেক দিনের গল্প শুনে মনে জাগে ভাবনা কত,
তাই তো ভাবি দেখবো গিয়ে জায়গাটিকে মনের মতো।
যে শোনে সেই নিষেধ করে, ভুতুরে এক পরিবেশ,
তাই তো মনে আশা জাগে যাবোই যাবো বেশ।
পাড়ায় পাড়ায় খবর ছড়ায় চাঁদল্যাতে নাকি বাচ্চার কান্না শোনা যায়,
আমার মনে আশা জাগে, এর সত্যতা করতে যাচাই।
আমি আর এক সহচরে এক নির্দিষ্ট দিনে প্রস্তুত হই যাওয়ার,
গাঁয়ের মানুষ শুনে নিষেধ করে যাসনে খবরদার।
গতবারের কালীপুজোর দিন করি উপক্রম যাবার,
অমাবস্যার দিন শনিবার ছিল তাই আপত্তি বাবার।
সহযোগী বছর ষোলোর আর এক ছেলের পিছু হাটে,
তার মায়ের কথায় “সত্যিই জায়গাটা ভালো নয় মোটেই”।
বিজ্ঞানের ছাত্রটিই ছিল আমার একমাত্র সহচর,
তার মায়ের ছিল না আপত্তি কোনো, ছিল তৎপর।
গ্রাম পেড়িয়ে মাঠের আল পথে এগিয়ে চলি দুজনে,
আনন্দেতে কৌতূহলে এক ঘন্টার হাটার পরে পৌছালাম কাছে।
ঝোপ ঝাড়ে ঘেরা সেই গহন পুকুর পাড়, চারিদিক নির্জন,
দিনের বেলায় হলেও তবু যেন গা করে ছমছম।
চলার গতি যায় যে এবার কমে আমি বলি তুই চল আগে,
কেন জানি না আমার মনে একটুকু ভয় জাগে।
উঁচু মাটির ঢিবির উপর দাঁড়িয়ে দেখি মাথা উঁচিয়ে,
কে যেন আচমকাই ঐ গাছের নিচে উঠল চেঁচিয়ে।
“কে তোরা? কোথায় এসেছিস? কি করবি এখানে? “
দেখছি না তো তাকে, ডাকলো কে আর এখানে।
ওপাশ ঘুরে পিছিয়ে এসে ধানের জমির আলে নেমে
একটু ঘুরে গেলাম আবার একটু সংকোচ মনে।
ঠিক সেখানেই কে একজন জমিতে রয়েছে কর্মরত
তার কাছেই গিয়ে দাঁড়ায়, কথা বলি কত শত।
সেই ঝোপ ঝাড়, সেখানে নেই সুর্যের ছাপ, তাপ,
সেখান হতে দেখি গ্রাম পানে এসেছি কোথায়? এ কোন অভিশাপ?
বাড়ি থেকে আসে ফোন, বন্ধুদেরও, খবরের তৎপরতায়,
ভয়ার্ত এক জায়গা এসেছি তাই তারাও ছিল চিন্তায়।
অবশেষে ফিরি বাড়ি সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত্রিতে কালীপুজা।
ভৌতিক জায়গটিকে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি রয়ে গেছে আজও।