স্বামী বিবেকানন্দ আধুনিক বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। মানবতাবাদী,সম্রাজ্যবাদবিরোধী, ধনতন্ত্র বাদ বিরোধী ও ধর্মনিরপেক্ষ তার পক্ষে আপোষ হীন সংগ্রামী।
হিন্দুত্ববাদী, শরিয়তবাদী ও ধনতন্ত্রবাদীরা তাদের নিজেদের স্বার্থে এই মহান বিশ্বদ্রষ্টার কর্ম ও কাজের বিকৃত ব্যাখ্যা করছে।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হিন্দুত্ববাদীরা তাঁকে হিন্দু জাগরণের জনক বলে পরিচিত করিয়ে “হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান” তত্ত্বের ধ্বজা তুলছে এবং এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ কে ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এর ই সূত্র ধরে মুসলিম মৌলবাদীরা তথা শরিয়ৎপন্থীরা স্বামীজিকে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় মৌলবাদী চিন্তাবিদ হিসাবে চিহ্নিত করছেন এবং এদেশের ধর্ধনিরপেক্ষ ঐতিহ্য কে বিপন্ন করছেন।
উভয় প্রবণতাই বিপদজনক।এর পাশাপাশি, “শূদ্র”শ্রেণীর অর্থাৎ শ্রমজীবী মানুষের মুখে র গ্রাসকে কেড়ে যে ধনীক সম্প্রদায় তাদের পুঁজির বহর বাড়াচ্ছে, তারা হঠাৎ স্বামীজির ভক্ত হয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
স্বামীজির “বর্তমান ভারত” গ্রন্থ, “সমাজতন্ত্র” প্রবন্ধ ইত্যাদির মূল সুর ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা ও আর্থসামাজিক সাম্য।
স্বামীজির অনূজ ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত জমিপ্রথা উচ্ছেদের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির পতাকার তলায়
আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্বামীজি যে রামকৃষ্ণ মিশন গড়ে তূলে ছিলেন তার উদ্দেশ্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আর্থসামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মদত করা, সাধারণ খেটে মানুষের রক্ত শোষণ কারী কিছু ধনীর ডোল নিয়ে “সমাজের গলগ্রহ” কিছু নিষ্কর্মা” সন্ন্যাসী” তৈরী করা নয়।আমরা, সাধারণ মানুষ ও মিশনের সঙ্গে জড়িত সকল স্বামীজি ভক্ত কে এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
দুটি খুবই বিপদজনক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।(১) জয় সিয়ারাম জয় ঝুটারামের চেলাচেলীরা রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠান গুলিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে হিন্দু ত্ববাদীদের সংগঠনে পরিণত করার চেষ্টায় আছে।অপ্রিয় হলেও একথা সত্য যে বেশ কিছু প্রভাবশালী রামকৃষ্ণ মিশনের প্রভাবশালী মহারাজ এই দলে ভিঁড়েছেন। রামকৃষ্ণ মিশন যে হিন্দু সংগঠন নয়,একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন এটি, ক্ষমাহীন ভাবে এই ছোট্ট একটি কথা তাঁদের কে ভাষার চাবুক মেরে খেয়াল করিয়ে দিতে হবে।
সবশেষে,আজ স্বামীজির জন্ম দিন।আজ মহাবিপ্লবী সূর্য সেনের ফাঁসির দড়িতে আত্মবলিদানের দিন।
বীর সন্ন্যসী স্বামী বিবেকানন্দের অগ্নিমন্ত্র
তাঁকে ও তাঁর মতো শতশহীদককে এই আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করে ছিল,এটা যেন আমরা মনে রাখি।এটাই সময়ের চাহিদা।
https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-2139129812952104 (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিবেকানদ ও আজকের আমরা — নিবন্ধে খাগেন্দ্র নাথ অধিকারী খুব সাহসী কলম ধরেছেন, যদিও এ নিয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে, পরে জানাবো, কিন্তু তাঁর লেখা সাহসী প্রকৃতি!