***** ফেলে রেখেছ অচ্ছুৎ করে ****
ইব্রাহিম সেখ, রাজারামপুর, মুর্শিদাবাদ ( পঃ ব)
**************************************
ফেলে রেখছ অচ্ছুৎ করে,ঢেলে দিয়েছ অবহেলা
অপেক্ষা করতে বলেছ,কিন্ত চলে যায় যে বেলা!
কুঁড়ি গুলি ফুল হয়ে ফুটল,আবার গেল ঝরে–
প্রজাপতি মৌমাছি–ব্যর্থ ফিরে গেল কোন নগরে!
পরিযায়ী পাখিরা কতবার এল,কতবার গেল
কতো শীত, কতো বসন্ত,ঘুরেফিরে এল!
পাতা ঝরল, ঝর্ণা ছুটল, নদী বয়ে গেল বাঁকে বাঁকে,
শরতের মেঘেদের সাথে বলাকা উড়ে গেল ঝাঁকে ঝাঁকে।
কতো কুমারীর হাতে মেহেন্দির আলপনা হলো আঁকা
তবুও হৃদয়ের বর্ণালি হলো ফিকে,চারিদিকে শুধু ফাঁকা!
প্রেম সাগরের তীরে কেবল নুড়ির সন্ধান পাওয়া —
ঝিনুকের বুকে মতিঝিল– সে কী ব্যর্থতার চাওয়া?
কতশত স্মৃতির শঙ্খ চিল উড়ে গেল সীমানার পারে
অর্বাচীন এখনো বসে,মনের গহীনে খুঁজছে তারে!
পূবালী যৌবনের তরতাজা রবি অস্তমিত প্রায়
উঁকি মেরে পথ চেয়ে দেখি,কেউ নাই কিছু নাই!
পাগলামি করে কেটে গেল অপেক্ষার বাহান্ন বসন্ত
দেখে যাবে না কী– আশার প্রদীপ কেমন নিভন্ত?
ফেলে রেখেছ অচ্ছুৎ করে, ঢেলে দিয়েছ অবহেলা —
অপেক্ষা করতে বলেছ, কিন্তু চলে যায় গো বেলা!!
রচনাকাল (১৭ ই আষাঢ় ১৪২৯ সাল)