(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
🌱সবুজ বরণ কন্যা🌱
✍️দীপঙ্কর বর্মন✍️
(এক সময় ছদ্ম বেশে ভগবান শ্রীহরি সমগ্র পৃৃথিবীর রূপ দর্শন মর্তে অবতীর্ণ হন, ভ্রমন করতে করতে এক সময় একটা দেশে উপনীত হলেন,অন্য দিকে নারদ ছদ্ম বেশ ধারন করে আশে পাশেই ভ্রমন করতে লাগলেন—)
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নর রূপে হরি নিজ বাটি ছাড়ি
পাহাড় সাগর পেরিয়ে,
খুঁজে চলে তিনি চকিত নয়নে
তবুও চলেন এগিয়ে।
বহু দেশ ঘুরে হতাশায় ক্রমে
সব কিছু রাখে বাঁয়েতে;
হাঁপ ছাড়ি হরি শ্রমেতে ক্রমেতে
এসে পড়ে ভিন গাঁয়েতে।
দেখা পলো কাছে হাঁটি হাঁটি পায়ে
আসা এক বুড়ো পথিকের,
অজানা যা কিছু জেনে নিলো সব-ই
ডেকে হেঁকে তাকে এদিকের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পথিক বলেগো “কোথা যেতে চাহ
কিবা হেতু এলে তুমি হে?
সঠিক দাও হে তোমা পরিচয়,
তবে ছাড়ে বাছা আমি-এ।”
বচনে জানালো রসময়ী আর
রসিক হিয়ার রসেতে-
“কেমনে পরাবো সাতনরী হার
প্রেমিক প্রিয়ার গলেতে?”
গণে হাঁ-হুঁ মনে কি জানি প্রকাশে
বুঝে নিলো ভাল প্রভেদে,
বলে কা-কূ জ্ঞানে “সজনি সকাশে
মিলে যাবে কাল অভেদে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জানে অবিকৃত আগত বাছাকে
নায়িকার খোঁজে এসেছে,
মানে যে প্রকৃত অভূত নায়কে
কায়দা কানুনে বুঝেছে।
“বলো মনঃপ্রাণে অনূপ রতন
রমনি কেমনি খুঁজিছো?
মম মধুবনে রূপসী অমন
তেমনি কোথা কি দেখিছো?”
ভাষা না যে পায় বোঝাবে সে তারে
উছল থাকে যে ভাবেতে,
আশা তবু তায় সিমিত বাহারে
উজল দেখি দু-চোখেতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
“কোথা যে আমারি প্রেমেরি সে নারী
কেমনি বদনি দেখিতে?
কোথা যে সবারি সাধেরি আ-মরি
রূপসী ধরনী ভূমিতে?
কত শত ছা-র গরিমা বুকেতে
বিভেদ কারো যে রাখেনা
যত মত আর মহিমা সবেতে
প্রভেদ তার-ও যে রাখেনা।
মনেতে হবেগা সরলা সারদা
কোমল রিদয় দরদে,
গুণেতে সধবা সবলা বরদা
শ্যামল যে রয় শারদে।
আলুথালু বূশী পলকে যে নারী
অবুজ নয়নে চায়গো,
ঘন ঘন আসি অলখে আমারি
সবুজ বরণে ভায়গো।”
যত বলে বুলি মধুর বচনে
অনভূতি জাগে মনেতে,
যত দেখে তারি সুঁদর গঠণে
মহামতি লাগে ক্ষণেতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
“চলে যাবে ছাড়ি যত দেশ ধনী
যাবেগো অপার পারেতে,
রহিয়াছে সাজি তব প্রিয়া ধনি
পাবেগো তাঁহার দ্বারেতে।”
হেন সে সহসা দরিয়া দুখিনী
রহিছে বসিয়া স্ব-মানে,
যেনরে বরষা লাগিয়া শিখিনী
দেখিছে চাহিয়া শ্রীমানে।
ভূবন ভুলিল সুধার ধারাতে
নিথরে রহিলো সৃজনী,
জীবন জুড়িল রূপের ছটাতে
সাদরে কহিলো “জননী।”
অদূরে দাঁড়ায়ে দেখিলো যাহাতে
হৃদয়ে জাগিলো ভকতি,
দু-করে লুটায়ে রহিল দোঁহাতে
গরবে করিলো প্রণতি।
-*-
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});