দইয়ে মারে নেপোয়
🧜♂️🧜♂️🧜♂️🧜♂️🧜♂️🧜♂️🧜♂️
মুস্তারী বেগম
*************
নেপো সেভেন ফেল আর নেপোর বৌ নাইন।কোন যোগ্যতা না থাকলেও নেপো দলবাজি ও তোলা বাজি তে সিদ্ধ হস্ত।একদিন নেপো হলো এলাকার নেতা।স্বামী স্ত্রী স্বপ্ন দেখলো এবার তারা বড় লোক হবে কি করে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ।নেপো তার সব বোধ বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বড়লোক হয়ে গেলো।বড় বাড়ি,দামি গাড়ি, পিস্তল সব আছে তার।
।রাজা প্রচণ্ড গরমে জনগনের জন্য দই বরাদ্দ করলেন।আসবে নেপোর অফিসে।নেপো ও তার ষণ্ডাগন্ডা ভাইদের হাত ধরে দই বিলি হলো।রাতে নেপোর বৌ বললো হ্যাগো এক হাতা রেখে দিলে হয় না? তোমার বাবা বড় খেতে ভালো বাসেন।নেপো বললো হাতা কি গো বালতি ভরে রেখো।পাগলী কোথাকার!
দইয়ে ছয়লাপ হলো নেপোর ভাঁড়ার।বৌ ভাবলো বাপের বাড়ি এক ঘড়া পাঠালে হয়।ভাইদের খবর পাঠানো হলো।দই নেপোর শ্বশুরবাড়ি গেলো।পিপাসিত জণগনের পেটেও বাটি ভোর দই পড়লো।হাত চাটচে চাটতে গায়েন ঠাকুর কি প্রসংসিই না কল্লেন।
যাইহোক এতো বিলি বাটরার মধ্যেও একহাড়ি দৈ বেড়ে গেলো।বৌ ভাবলো ফ্রিজে তো আর তিল ধারনের জায়গা নেই ।এককাজ করি গোটা গায়ে মেখে চান করি।শুনেছি নাকি দৈ চামড়ার জৌলুস ফেরায়।যেই বলা সেই কাজ।
স্নানের ঘর।মার্বেল বসানো চকচকে।বাথটবে শুয়ে গড়া গড়ি দিতে লাগলো নেপোগিন্নী পকু বাউড়ি।এককালে মাটির দাওয়ায় ভাঙা আয়নায় চুল বাঁধা কিশোরী আজ ডাকসাইটে নেপোবাবুর বৌ হয়ে “কি সুকটাই না পাচ্চে।”
হঠাৎ মেঘ কালো হয়ে উঠলো।গুমট গরম।সাওয়ারের জলে স্নান সারবে বলে উঠতে গিয়েই বিপদ ! দইয়ের জমা বালতি থেকে একটি কাল কেউটে! সাপ বলে চিৎকার করতেই নেপো ছুটে এসে এক লাথি দামি দরজার পাল্লায়।বৌ ছুটে বেড়িয়ে উঠোনে অজ্ঞান।তখনো গোটা শরীরে দৈ।নেপোর হাতে লাঠি যত সাপটাকে মারতে যায় তত পিছলে পড়ে দৈয়ের উপর।অবশেষে শরীরের নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে পা পিছলে পড়ে মেঝেই।অমনি সাপের ছোবল।
লকডাউনে অনেক বিপত্তি পেড়িয়ে পরের দিন নেপোর লাশ আসে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে আকাশের বুক।পাপ ধুয়ে যায়।নেপোর একছত্র সাম্রাজ্যের পতন হয়।
কে না চিনতো তাকে।এলাকার ডন।মান সম্মান প্রতিপত্তি তে তার জীবন লাটসাহেব হয়ে উঠেছিলো।
আজ নেপোয় দই নয় দইয়ে মারলো নেপোয়।
কল্প গল্প
মুস্তারী বেগম
২৮/৬/২০