ঝিলমের গল্প
মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাতাস শূন্য শব্দের স্রোত
স্পষ্ট ভাষায় বলে
হিন্দুকুশের সীমান্তে আজ
একি সুর ভেসে চলে!
তিনি পুরুরাজ, উন্নত শির
পঞ্চনদীর তীরে
কুস্তির তালে ভোর শুরু যার
গমকে থমকে মীড়ে।
স্পর্ধা যে তার এ মাটির বুকে
জনম নিয়েছে তাই
শত্রুর সাথে মল্লভূমিতে
কোনো ভয়ডর নাই।
শুক্লা তিথির স্নিগ্ধছায়া
বার্তা দিয়েছে এনে
গ্রীক বীর ওই করলো প্রবেশ
দারুন আঘাত হেনে।
মহাসমারোহে সৈন্য সাজায়
পৌরবরাজ পুরু
দেশপ্রেম যার পর্বত সম
আজ পরীক্ষা শুরু।
ভেসে আসে ঐ লড়াইয়ের সুর
ঝিলমের ঢেউ হতে
দিগ্বিজয়ের আশা খড়কুটো
চন্দ্রভাগার স্রোতে।
অবনত চোখ আলেকজান্দ্রা
বিস্ময়ে হতবাক
ভারত বর্ষ বীরশ্রেষ্ঠ
বলে গেছে চার্বাক।
ভগ্ন বীরের শৌর্য ডোবে
বিলোল অন্ধকারে
ম্যাসিডন রাজ দীর্ঘ শ্বাসে
ফিরছে আপন দ্বারে।
পুরুরাজ কহে ,” ওহে গ্রিকরাজা
আলিঙ্গনেতে এসো
সৌহার্দ্যৈর অভিবাদনে
ভারতেরে ভালোবেসো।“
ঠিকানা হারানো দেশ থেকে
গ্রীকবীর চেয়ে থাকে
হারেনি পুরু, ঝিলমের রাজা
চুপিসারে লিখে রাখে।
চক্রান্তের কলম যদিও
অন্য গল্প বলে
ইতিহাস তার মুখ ঢেকে নেয়
নিছক সুকৌশলে।।