কলমশ্রমিকের বিষন্নতা
¥¥ রবি প্রয়ানে
✍️কনককান্তি মজুমদার
২২শে শ্রাবণ ১৪৩০
এমনই বরষা ছিল সেদিন। শমন এসেছিল নিয়ে যেতে সেই অন্তিম যাত্রার দিন। কাটা ছেঁড়া করতে তিনি মানা করেছিলেন। শোনেনি না ডাক্তারেরা না অন্য কেউ। অস্ত্রোপচারের পর নিস্তেজ অবসন্ন বেহুশ কবির শরীর। শেষ হয়েছিল মুখে মুখে রচিত শেষ কবিতার পাঠ। শেষ হয়ে এসেছিল জীবনের শেষ বিচ্ছুরণ। অন্তিম গমন আসন্ন। জোড়াসাঁকর বাইরে ছিল অগণিত গুণগ্রাহির ভীড়। কবির প্রিয় নজরুল কন্ঠের তৎক্ষণাৎ গান….ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে/ জাগাওনা জাগাওনা…..
কবির সুসজ্জিত শ্মশান যাত্রার শবাধার ঠাকুর বাড়ির গেটের বাহিরে আসা মাত্র উন্মত্ত জনতা ছো মেরে কেড়ে নিয়ে নিলো। তারপর বাহিত হতে লাগল হাত হাতে। চরম বিশৃঙ্খলতায় কবিপুত্র
হারিয়ে গেলেন। কেউ টেনে ছিঁড়ে নিচ্ছে দাড়ি
কেউবা চুল চূড়ান্ত পাগলামতায় দেহ এলো শ্মশানে। নশ্বর দেহ পঞ্চভুতে বিলীন হলো রাজাধিরাজ চলে গেলেন।