দুটি কবিতা
রথীন পার্থ মন্ডল
১. নাইটিঙ্গেল
একটা নাইটিঙ্গেল উঠে আসে, মাঝরাতে
শরীর জড়ের মতো সংজ্ঞায়িত ।
শরীর জড়ের মতো সংজ্ঞায়িত ।
আত্মা উঠে দাঁড়ায়
নদীমাতৃক দেশের নামে অক্ষর সাজায়
চামচিকেরা উড়ে যায় ভয় পেয়ে
মহাসাগরের ওপার থেকে সুর নামে
গান লিখিত গাছটি ডানা মেলতেই
জেগে ওঠে নাইটিঙ্গেলের ভাষা।
নদীমাতৃক দেশের নামে অক্ষর সাজায়
চামচিকেরা উড়ে যায় ভয় পেয়ে
মহাসাগরের ওপার থেকে সুর নামে
গান লিখিত গাছটি ডানা মেলতেই
জেগে ওঠে নাইটিঙ্গেলের ভাষা।
পাশা খেলায় হেরে
আত্মা অজ্ঞাতবাসে যায়
শ্বাস জাগে জড় শরীরে
আত্মা অজ্ঞাতবাসে যায়
শ্বাস জাগে জড় শরীরে
প্রশ্বাসে ভেসে যায়
আকাশগঙ্গার কলরব।
আকাশগঙ্গার কলরব।
২. জলখেলা
বারবার পড়ন্ত বিকেলবেলা পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্য
আর নারীর কনে দেখা আলোয় গোধূলি লগন আসে
আর নারীর কনে দেখা আলোয় গোধূলি লগন আসে
যতনে সাজিয়ে রাখা শাড়ি খুলে রোদে মেলে ধরা
নিজস্ব উচ্ছ্বাস। আমার সম্মুখে শুধু ধুলো ও বাতাস
নিজস্ব উচ্ছ্বাস। আমার সম্মুখে শুধু ধুলো ও বাতাস
উষ্ণ আপ্যায়নের আড়ালে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কৃতকৌশল
অনন্তকালের যত ধূসর পান্ডুলিপির যেন কবে উন্মোচন
অনন্তকালের যত ধূসর পান্ডুলিপির যেন কবে উন্মোচন
গোবেচারা রাখালের শেষ বাঁশি বেজে গেছে কবে ?
এবার তোমার পালা এভাবেই জলখেলার
দিন শেষ হবে।
এবার তোমার পালা এভাবেই জলখেলার
দিন শেষ হবে।
নিরন্ন জটিল অঙ্কে ভরপেট কেন সুখী নয়
এ হিসাব মেলাতে বসে শুধু দেখি বিস্ময়।
এ হিসাব মেলাতে বসে শুধু দেখি বিস্ময়।