কবিতা: বাবর
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
[ A Bengali poem “Babur”, written on Emperor Bahur. Written by Ridendick Mitro. Babur was born in Uzbekistan in 1483, was a noted poet, but was an expert fighter, warriors’ trainer, invaded India in 1526, 29 April defeated powerful Emperor of then India, Ibrahim Lodi. This poem says that a poet neither mean a man of less direction, nor a begger to others for earning faiths and fame. A poet means an expert warrior and by fighting the battle became an emperor of a big problematic country India, where many languages and beliefs with huge population laid answerless. Babur controlled everything with his individual creadits. May be some of those creadits were debatable or not supportable. But, thus he achieved it that time. He was an invader in true argument, but further eyes explored other things. This poem reveals it.
In this semblances we can discover that Lord Krishna was a great poet composed ” The Gita”. He tackled the Kurukshetra war, also he was a King seperately. Also may be said about Sir Alfred Nobel, was a poet, but as the advice of his father he studied science to manage their family business needed scientific needs and subjects. Poet Alfred Nobel became a famous businessman and scientist, invented many things. And started Nobel Prize, that hold the Earth with proper development of thinking and advancements. Rabindranath Tagore was also an example in his kind and in varieties he was a successful achiever with his poet identity. No one is comparable to anyone else.]
——————————–
কবিতা : বাবর
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
ঘুমানো সময় জেগে উঠে সূর্যে,
জাগলো দু চোখ দূর দিগন্ত উর্ধে,
জানলাটা দিয়ে সেই আলো দেখে —
উঠে এসে খুলি দোর,
এমনি আলোর উদ্দাম —
সম্রাট কবি বাবর।
নতুন দিস্তা সাদা কাগজের
গন্ধের মত তাজা—
জীবনের কিছু-কিছু
আনন্দের উপদ্রব,
গ্রাম্য খালের উপরে
সরু বাঁশের সাঁকো পেরোনোর মত
নিজেকে সংকীর্ণ স্বচ্ছতায়
পের করার অনুভব,
এভাবেই তোমাকে ভালোবেসেছি ইতিহাস।
কবি মানে নয় কারো ক্ষমতার দাস,
কবি মানে নয় সমাজের উপহাস,
কবি মানে নয় নেশায় মত্ত বিলাস,
কবি মানে হলো যাকে দেখে হবে
দূর দূরান্তে আতংকে তোড়জোড়,
এমনি উদাহরন —
সম্রাট কবি বাবর।
দূর উজুবেকিস্তান,
সেখান থেকে অজানা তরুন কবি
হাজার-হাজার মাইল অতিক্রম করে —
দিশাহারা হয়ে করেছ জয়ের সন্ধান,
সাথে ছিল কিছু সৈনিক,
ছিলনা বাঁচার পন্থা,
বুদ্ধি খাটিয়ে ভারতে এসেই
বাড়ালে সেনার সংখ্যা,
নিজের বুদ্ধি আর সাহসে
এগুলে জয়ের ঝড়,
পৃথিবীতে তুমি প্রথম
কবি হয়েও যুদ্ধ করে
অচেনা বিরাট দেশে হলে সম্রাট,
একমাত্র তুমিই, কবি বাবর।
কবি মানে নয় বিনয়ের কাপুরুষ,
কবি মানে নয় জ্ঞান নিয়ে দিশেহারা,
কবি মানে নয় হাতে ভিক্ষের ঝুলি,
কবি মানে নয় দু চোখে জলের ধারা,
কবি মানে নয় প্রতারিত অসহায়,
কবি মানে নয় পরিবারে এক বোঝা,
কবি মানে নয় বিরক্তিকর স্বজনে,
কবি মানে নয় ভিক্ষায় প্রেম খোঁজা,
কবি মানে হল কখনো কলম ধরা,
কখনো আবার হাতে অস্ত্রের তোড়,
পৃথিবীতে তুমি প্রথম,
সম্রাট কবি বাবর।
কবির পুরস্কার কবি পাবে কার দয়ায়?
যোদ্ধা কখনো দানে সম্মান চায়!
ভারতের মত এত বড় দেশে ঢুকে —
তোলপাড় করে যুদ্ধে চলেছ ছুটে,
একে-একে সব রাজা, সম্রাটে
করেছ দ্বিগবিজয়,
কাহিনীটা সোজা নয়,
কতখানি মেধা, সুক্ষ্মতা আর বুদ্ধি,
বিরাট জয়ের তেপান্তর,
সারা পৃথিবীতে কবিদের মাঝে
তুমি শুধু একা বাবর।
তুমি ধর্মের হয়ে নয়,
কবিরা কবির ধর্ম,
সেই ধর্মটা সাহসীকতা ও যোদ্ধার,
মানুষের পরিচয়ে তুমি অনন্য,
এ উদাহারণ আর কারো নয়,
নিঃস্ব বিদেশি যোদ্ধা করলো
ভারতবর্ষ জয়,
তুমি সেই কবি বাবর।
প্রেমহীন এ-জীবনে,
দয়াহীন সংসারে,
বিপন্নতার জ্বালায় —
স্বাস রোধ বারেবারে,
তখনি তোমাকে ভেবে —
জেগে ওঠে দেহ মন দূর প্রান্তর,
আমি যদি কবি হই,
তবে তো আমিও হতে পারি
রণসজ্জায় যুদ্ধ ঘোড়ায় উঠে —
ঢাল, বর্শা, চকচকে তরবারি–
দুর্ধর্ষ বাবর।
সরবত ভেবে তোমায় করেছি পান,
সমুদ্র ভেবে তোমাতে করেছি স্নান,
সব বাধা ভেঙে উড়িয়ে তুড়িয়ে
অশ্বের পিঠে বসে সাথে নিয়ে
বর্শা ও ঢাল, তরবারি,
দেখো কত দূর আমি যেতে পারি,
ছুটেই চলেছি এক-এক দিগন্ত পরপর,
আমি যদি কবি,
আমিও এক বাবর।
——————————————–
( সকাল ৬:১৮, ১৮ জুলাই ২০২৪)
বি-দ্র ঃ ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro ) পেশায় ইংরেজি ও বাংলাভাষায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিস্ট। স্প্যানিস ভাষায় শিক্ষনে থেকে এই ভাষাতেও সাহিত্য লেখার জন্য সচেষ্ট।
————————————
“বাবর” কবিতাটি লেখা হয়েছে, বাবর একজন কবি ছিলেন। একজন কবি হয়েও নিজে ছিলেন যোদ্ধা। সুদূর উজুবেকিস্তান থেকে এসে ভারতে ঢুকে নানা বুদ্ধি, দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতায় সম্রাট ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে সম্রাট হন ও মুঘল বংশের সুচনা করেন। জন্ম ১৪৮৩ সাল, আদিজান, উজুবেকিস্তান। ২৯ শে এপ্রিল ১৫২৬, পানিপথের যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ভারতের সম্রাট ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত করেন। ইব্রাহিম লোদীর সৈনিক ছিল অনেক বেশি, তবু অল্প সৈন্য নিয়ে দক্ষতার সাথে যুদ্ধ করে ও পাশাপাশি কামান ব্যাবহার করে তিনি জয়ী হন। তিনি ছিলেন দক্ষ সৈনিক trainer. তিনি সমস্ত কবি ও সব রকম জ্ঞানী গুণীদের কাছে এই কারণে আদর্শ যে তিনি সম্ভবত বিশ্বে প্রথম দেখিয়েছিলেন যে একজন কবি মানে জীবন ও পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে অসচেতন নাগরিক নয়। একজন কবি মানে আক্ষরিক অর্থেই যোদ্ধা। একজন কবি হয়ে এত বড় যোদ্ধা হয়ে উঠে ইব্রাহিম লোদির মত বীর ও দক্ষ যোদ্ধার বিরাট সেনাবাহিনীকে হারিয়ে ভারতের মত এত বড় দেশ দখল করে সম্রাট হন। এবং দক্ষতার সাথে শাসন পরিচালনা করেন সম্পুর্ণ একটা নতুন দেশে, বহু জাতি ধর্ম ও সংস্কারের দেশে। এই গুণ কবিদের ও সব রকম স্রষ্টা ও পন্ডিতদের থাকা দরকার। নইলে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বা প্রতিষ্ঠার জন্য নানা পরিস্থিতির দাসত্ব করতে হবে, সমাজ ও পরিবারের কাছে ও প্রেমের কাছে অসহায় হতে হবে। অবস্যই কোনো নোংরা রেসারেসির যুদ্ধ এখানে গ্রাহ্য হয়। এখানে যুদ্ধ মানে জীবনে বিস্তৃত পটভূমির যুদ্ধ। ভারতীয় স্বদেশী বিচারে তাঁকে আক্রমণকারী হিসেবে দেখা হতে পারে। কিন্তু, তার বাইরে তাঁর বিশেষ গুণের জন্য শ্রদ্ধা জানাতেই হয়। আরো একটা কথা, এখানে তাঁকে আনা হয়নি ধর্মের পরিচয়ে, তাঁকে আনা হয়েছে তাঁর নিজস্ব মানসিক বৈশিষ্টে। আমি এখানে কখোনই বলিনা যে কবি বা কোনো স্রষ্টা হলে তাঁকে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসতে হবে। বরং আমি রাষ্ট্র ক্ষমতার নামে তথাকথিত রাজনীতির পার্শ্ব জীবন হতে দুঃখ পাই, কিন্তু কবি বা স্রষ্টা চরিত্র হোক সদা সতর্ক, সুক্ষ্ম বোধ সম্পন্ন, পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে সচেতন, সৎ সাহসী ও যুদ্ধ দক্ষ। বেহুঁস, আবেগী, হিসেবহীন, অসতর্ক ও নেশাগ্রস্থ নয়। কবিতায় এটাই বুঝাতে চেয়েছি। আরেকটি কথা, সঠিক উপায়ে রাষ্ট্র চালনা করাও মহাসৃষ্টি। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রনায়ককে কবি হতে হবে এমন কথা নেই। কিন্তু আমি এখানে অন্য ভাবনায় কবিতায় বুঝাতে চেয়েছি।
এইক্ষেত্রে আর দুটো উদাহারণ দিচ্ছি, কৃষ্ণ ছিলেন বড় কবি ও বিশ্বের সেরা বড় যুদ্ধের পরিচালক ও জয়ী। একই সাথে নিজে একজন দক্ষ শাশক। স্যার আলফ্রেড নোবেল অনেক আবিস্কারের আবিস্কারক, প্রথম জীবনে ছিলেন কবি। কিন্তু বাড়ির কারখানা পরিচালনা করার জন্য তাঁকে পিতা বিজ্ঞান পড়তে পাঠান বাইরে। বিরাট কারখানা দেখার চাপে ও অনেক কিছু আবিস্কার করার ব্যাস্ততায় তিনি কবিতা লিখায় মন দিতে পারেননি পরে। কিন্তু তাঁর কবি মেধাই হয়েছিল বিশ্বের সেরা ব্যাবসায়ী ও অনেক আবিস্কারের বিজ্ঞানী। যাঁরা বলেন কবি বা Arts Subjects মানে দুর্বল, আর বিজ্ঞান মানে কঠিন। তাঁরা জানেন না যে কবি মেধাই বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, সেরা সমাজসেবী, সেরা যোদ্ধা, সেরা শাসক হয়েছিলেন। এই রকম অনেক উদাহারণ আছে ইতিহাসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আরেক রকম উদাহরন, বিশ্বকবি হয়েও সফল জমিদার, ব্যাবসায়ী, শিক্ষাবিদ, কোনটা নন। এগুলি কয়েকটি দিলাম প্রসঙ্গক্রমে। এটা জ্ঞানের কাজ নিলে অন্য অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না, তাই জ্ঞানের কাজ এত দুরুহতায় ভরা ও সেটায় সফলতা পাওয়া খুব নিখুঁত নির্নয়ে বিচার হয়। কিন্তু, এর মানে এই নয় একজন জ্ঞানীর সামগ্রিক বিচক্ষণতা থাকবে না, এবং তিনি থাকবেন অজ্ঞানী বা জ্ঞানপাপীদের অধীনে পুতুল। তাই সেইটা যাতে না হয়, সেজন্য চাই, বাবর, কৃষ্ণ, আল্ফ্রেড নোবেল, রবিঠাকুর এর মত বহু দিকদর্শী সাহসী চরিত্র হয়ে ওঠা। কেউ কারোর সাথে তুলনীয় নয়।
——————————-
ভালো লাগল কবিতা।তবে তৃপ্তি বিঘ্নতার কারণ ঘটেছে বেশ কিছু শব্দে।
যেমন – উর্ধে, উদাহারণ, উদাহরন,স্বাস,
শাশক।
ধন্যবাদ, আব্দুল বাসার খান,
আপনি আমার কবিতা পড়ে অন্তর থেকে মতামত দিয়েছেন। আমার “বাবর” কবিতা পড়ে আপনি তৃপ্ত, কিন্তু কিছু শব্দের বানানে আপনি অসুখি। আসলে বানান নিয়ে নব্য পন্ডিতদের মাঝে এত রকম মতানৈক্য ও যে যার মতন বানান তৈরি করে চলেন, সেক্ষেত্রে বানানের শুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে। ফলে আমরাও বিভ্রান্ত হই, কোন বানান কখন নেব। এবং বানানের সঠিক, বেঠিক ভুলে গেছি। বেঠিক বলে কিছু নেই। তাই আপনার শুদ্ধ বানান প্রিয়তা আমার মনে শ্রদ্ধা জাগালো। আপাতত কাউকে পেলাম যিনি আমার চিন্তার সাথে মিশতে চেয়েছেন আগের বানানের প্রতি বিশ্বাসে। আচ্ছা, আমি চেষ্টা করবো আগের বানানে কাজ করতে। ভাবতে পারেন, বাঙলা একাডেমিতে বই জমা দিতে হলে পুরস্কারের জন্য, তাহলে তাঁদের বানান দিয়ে বই লিখতে হবে, পশ্চিমবঙ্গে, ভারতে। জানিনা বাংলাদেশে আবার কী আইন বানান নিয়ে। আপনি বাংলাদেশ থেকে বা ভারত থেকে জানিনা, কিন্তু সর্বত্র এই দুর্দশা চলছে। বাধ্য করছে আগের সঠিক বানান সরিয়ে কাজ করতে। চীন একটি দেশ, “ী” মানায়, কারণ এটি বড় ও প্রাচীন দেশ। সেখানে “চিনি” এর “চি” দিয়ে “চিন” মানায় না। মহাত্মা গান্ধী। এখানে “গান্ধী” একটা ভারি ব্যাক্তিত্ব নিয়ে আসে। সেটা করা হয়েছে “গাঁধি”। “কৃষ্ণ” বানানে “ষ্ণ” এর রূপ বদলে করেছে “ষ” এর নিচে “ণ”। এতে “কৃষ্ণ” প্রাচীনতার সৌন্দর্য অপমানিত হয়। “ইস্কুল” করা হল “ইস্ কুল”। আজব যুক্তি দেখিয়ে এইভাবে বাংলা বানানে অনেক অযৌক্তিক অদলবদল করে মানুষের মেধার সুক্ষ্মতাকে নষ্ট করা হচ্ছে। আর সেটাকে সায় দিচ্ছেন পুরস্কার ও পদ লোভি এক শ্রেনীর চাটুকার কবি, সাহিত্যিক, সমালোচক, গবেষক। জানিনা, এর ফলে কি তাঁদের ক্ষতি হচ্ছে না? আসলে তাঁদেরকেও চাটুকার বলতে পারিনা। আসলে তাঁরাও অবস্থার কাছে অসহায়।
— ঋদেনদিক মিত্রো
(Ridendick Mitro)
ভারত।
Hello, my dear companion. It brings me joy to see your smile.
Seems like a fabulous fit for your website Aluminium scrap grading
Adios, and may joy light up your days