প্রজন্ম
সুব্রত মিত্র
আমি কাউকে কারোর সাথে মেলাতে পারছিনা
আজকাল কেউ কারোর কথা শোনে না,
যে যার মত চলে ফেরে যেথা সেথা
ভেঙে যায় ক্রমন্বয় সম্পর্কের সমন্বয়
চেষ্টারা ব্যর্থ হয়ে আশ্রয় নেয় হীনমন্যতায়,
এখন আর রাগ হয় না এই সমাজের কারোর ওপর
শত ব্যঞ্জনা; প্রবঞ্চনার মত অজস্র ধান্দাবাজের অনায্য প্রলাপকেও হাসি মুখে মেনে নিতে হয়,
মেনে নিতে হয় মালা গাঁথার আগেই মালা ছিঁড়ে ফেলাকে
মেনে নিতে হয় হাতে হাত রেখে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখার আগেই বিচ্ছেদের দুঃস্বপ্নকে,
আদর্শ আছাড় খায় শৌখিনতায়
বাবা মায়ের প্রতি পুত্রের যত সম্মান;যত দায়বদ্ধতা
সব ভেসে যায় পুত্রবধূর ন্যাকা কান্নায়।
প্রজন্মের বিষ খেয়ে মরে যায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দল
নেই গুরুজন শব্দটির উপরে একটু ধৈর্যশীলতার প্রমাণ
বিস্ময়ের বিষয় একটাই। কেউ কারোর কথা শোনে না।
তাই মেনে নিতে হয়
গুরুজনদের সহিত ছেলে-ছোকড়াদের এই অভব্য আচরণকে,
আজকাল মুহূর্তের স্রোতের মতো বয়ে চলে মন গড়া কথার মাঝে মন ভাঙ্গা গল্প
যে যার মত চলে ফেরে
কেউ কারোর কথা শোনে না,
ছেলে কথা শোনে না বাবার
বাবা কথা শোনে না ছেলের,
ছাত্র কথা শোনেনা শিক্ষকের
শিক্ষক কথা শোনে না ছাত্রের,
গুরুজন বোঝেনা শিষ্যকে
শিষ্য বোঝেনা গুরুকে,
আমি কাউকে কারোর সাথে মেলাতেই পারছিনা।
কেউ কারোর কথা শোনে না,
আগামীকালের বাণী ভরা মালা খানি
পাবে না ঠাঁই কোন স্থানে জানি।
তব লীলায় ব্যক্ত করে যাই মনেরও কাব্যধারা
যদি লাগে ভালো কোন একদিন আমার এ কাব্য পড়িবে তারা।
******************************