জঙ্গলের ভয়
🌱 🌱 🌱 🌱
🌱 🌱 🌱 🌱
দীপঙ্কর দাস
🌱 🌱 🌱 🌱
ও শহরের বাবু তূরা ইদিক পানে চা
আজ শ্যামলী তুদের তরে বলছে একলা
চিকচিকার ওই থলে খানি খুব ভালো যে লয়
মোদের গ্ৰামের মাষ্টারনী সেই কথা যে কয়
ওই থলে যে মাটির সনে মিশায় না কখনো
একদিন উটা বসূমাতার বিষ যে হয় জেনো
হাজার বছর ধরে উঠা মাটির ভিতর থাকে
জলে বাতাসেও মিশায় লাকো মিশায় লাকো পাকে
বরং উঠা চাষের জমি অনাবাদি করে
তাই তো উটা ছাড়ি দিব মোদের ভালোর তরে
আমার ঝড়ায় দেখে যা তুরা অনেক থলে আছে
বাজার করবি মাছ কিনবি রাখবি কাছে কাছে
ঘরে গিয়া জমায়েত রাখবি ঘরের একটি কোনে
সন্ধাবেলায় নিঞা জ্বেলে সে৺কবি তার সনে
ইটা আমার শালপাতায় মোড়া
পি৺চ দিয়ে আটকানো
বিনপুরের জঙ্গল থেকে
নিয়ে এসেছি জেনো
ওই পাতা আর কাঠে তরে
মোরা মরদটা যে গেছে
সবাই বলে তারে নাকি
ভাগেই খেয়ে দিছে
সেদিন আমার মনে আছে
খুব ভোরের বেলাতে
শুধায় মোরে ও বাবুর মা
মুড়ি পাটালী বে৺ধেদে একটু খামছাতে
ভোরের বেলা কচকচানি
আমার সয় লাখো
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলি পরে
দিন সারা আকোপাকো
মিণসে বূড়া যাবার সময়
বিটিটারে বলে
কাল রাতিরে পাটালী আনিছি
রেখেছি খাটের তলে
বাবলি তারে গূসা করে
শুধায় বারে বারে
তুর চোখে কি ছানী আছে
লজর পড়ে ধারে
মোরা জামাটা ছি৺ড়ি গিছে
বুকের উপরটা তে
পাড়ার ওই চ্যাঙ্গনা গুলা
লজর দিছে তাতে
সকাল বেলায় মিয়ার কথায়
মরদের মটকা গরম হয়
যাবার সময় খাবার থলে
তেমনে পড়ে রয়
দিনের শেষে যেমন করে
মৌল হাড়িয়া খেতো
নিশা রাতে ঝিমঝিমায়ে
আমার চাটায় শুনতো
সে রাতিতে মিনসে আমার
আর চাটায় আসে নিকো
বাবলি শুধায় বারে বারে
বাপটা আমার গূসা করে নিতো
দিন যে গেছে মাস যে গেছে
বছর টাও গেলো
তাকায়ে থাকি শা৺খার দিকে
সিন্দুরটার কি হল
আজ ও মোরা পেটের তরে
মনটারে যূঝি
চিতার থাবা বাঘের কামড়
আর মাওদের বুঝি
দেশ যে জানে নেতাও জানে
জঙ্গলে কতো ভয়
তার থেকেও অধিক লাগে
যখন বাবলি ভাতের কথা কয়
🌱 🌱 🌱 🌱
ও শহরের বাবু তূরা ইদিক পানে চা
আজ শ্যামলী তুদের তরে বলছে একলা
চিকচিকার ওই থলে খানি খুব ভালো যে লয়
মোদের গ্ৰামের মাষ্টারনী সেই কথা যে কয়
ওই থলে যে মাটির সনে মিশায় না কখনো
একদিন উটা বসূমাতার বিষ যে হয় জেনো
হাজার বছর ধরে উঠা মাটির ভিতর থাকে
জলে বাতাসেও মিশায় লাকো মিশায় লাকো পাকে
বরং উঠা চাষের জমি অনাবাদি করে
তাই তো উটা ছাড়ি দিব মোদের ভালোর তরে
আমার ঝড়ায় দেখে যা তুরা অনেক থলে আছে
বাজার করবি মাছ কিনবি রাখবি কাছে কাছে
ঘরে গিয়া জমায়েত রাখবি ঘরের একটি কোনে
সন্ধাবেলায় নিঞা জ্বেলে সে৺কবি তার সনে
ইটা আমার শালপাতায় মোড়া
পি৺চ দিয়ে আটকানো
বিনপুরের জঙ্গল থেকে
নিয়ে এসেছি জেনো
ওই পাতা আর কাঠে তরে
মোরা মরদটা যে গেছে
সবাই বলে তারে নাকি
ভাগেই খেয়ে দিছে
সেদিন আমার মনে আছে
খুব ভোরের বেলাতে
শুধায় মোরে ও বাবুর মা
মুড়ি পাটালী বে৺ধেদে একটু খামছাতে
ভোরের বেলা কচকচানি
আমার সয় লাখো
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলি পরে
দিন সারা আকোপাকো
মিণসে বূড়া যাবার সময়
বিটিটারে বলে
কাল রাতিরে পাটালী আনিছি
রেখেছি খাটের তলে
বাবলি তারে গূসা করে
শুধায় বারে বারে
তুর চোখে কি ছানী আছে
লজর পড়ে ধারে
মোরা জামাটা ছি৺ড়ি গিছে
বুকের উপরটা তে
পাড়ার ওই চ্যাঙ্গনা গুলা
লজর দিছে তাতে
সকাল বেলায় মিয়ার কথায়
মরদের মটকা গরম হয়
যাবার সময় খাবার থলে
তেমনে পড়ে রয়
দিনের শেষে যেমন করে
মৌল হাড়িয়া খেতো
নিশা রাতে ঝিমঝিমায়ে
আমার চাটায় শুনতো
সে রাতিতে মিনসে আমার
আর চাটায় আসে নিকো
বাবলি শুধায় বারে বারে
বাপটা আমার গূসা করে নিতো
দিন যে গেছে মাস যে গেছে
বছর টাও গেলো
তাকায়ে থাকি শা৺খার দিকে
সিন্দুরটার কি হল
আজ ও মোরা পেটের তরে
মনটারে যূঝি
চিতার থাবা বাঘের কামড়
আর মাওদের বুঝি
দেশ যে জানে নেতাও জানে
জঙ্গলে কতো ভয়
তার থেকেও অধিক লাগে
যখন বাবলি ভাতের কথা কয়
জঙ্গলের ভয়।