। দায়ী।
কবি আর্যতীর্থ
আমরা যারা শান্ত থাকি গর্জে ওঠার স্বপ্ন গিলে,
আমরা যারা রাগ ঢেলেছি সুবোধ সুশীল মোম-মিছিলে,
আমরা যারা চামড়া মোটায় সহ্য করি তাবত স্খালন,
তারাই করি স্বদেশখেকো ভয়াল বিষের লালনপালন।
ক্ষমতাকে রাখতে হাতে যুদ্ধবাজই দলে ভারী
এই কথাটা না বোঝে যে হিস্ট্রিতে সে খুব আনাড়ি,
যতই কেন শান্তি মহান শিখিয়ে চলুন সব অবতার,
ওসব কথায় কান না দেওয়া রোগ পুরনো মানবতার।
মানুষ শুরুর পরের থেকেই বোধহয় চালু আমরা ওরা,
একটা কারো থাকবে দাবী, ‘ এখান থেকে যা না তোরা!’
একটি দলের ধ্যান ধারণায় থাকবে তারাই মূলনিবাসী,
বাদবাকিদের তাড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে হবে খুনপিয়াসী।
আমরা ওরা’র মাঝখানে ঠিক দাঁড়িয়ে থাকে ব্যক্তি ক’জন
যাদের মুখে স্থির এক দাবী, ‘ বিপক্ষ নয়, সবাই স্বজন’
তারাই বলে ভুল এ বিবাদ, আগুন অমন লাগলে প্রবল,
সব মানুষের ঘর জ্বালাবে হিংসাভরা শিখার ছোবল ।
আমরা কেমন ঝিমিয়ে গিয়ে আর বলি না সেসব কথা,
সে দেশ কি আর বাঁচতে পারে, নীরবতাই যখন প্রথা?
ঘরের ভেতর গর্জে মৃদু, বাইরে সবাই সাজছি বোবা,
গান্ধী সুভাষ ইত্যাদি নাম, বইয়ের পাতায় বাড়ায় শোভা।
আমরা যারা শান্ত খুবই, ঝুটঝামেলা এড়িয়ে চলি,
লাশের দিকে পেছন ফিরে প্রেমের গানের ভাঁজছি কলি,
আমরা যারা নি-শিরদাঁড়া, চোখ বুজে নিই আগুন দেখে,
দেখতে থাকি দেশ-কাটা লোক নিচ্ছে তাতেই রুটি সেঁকে,
খাচ্ছি তারাই ভাতের গ্রাসে মনিপুরের রক্ত মেখে।
আর্যতীর্থ