কবিতা : ছেলেটা
কলমে: মৌসুমী মন্ডল
******************
ভীষণ ভয়ে কাঁপে যখন বুক করে থরথর
মেজ দাদাটা বড্ড গোঁয়ার মারল যে থাপ্পড়।
সেই ছেলেটার নেই কোনো দোষ, প্রতিবাদের ভাষা।
সেই ছেলেটা বেঁচে থাকার করে শুধু প্রত্যাশা।
দক্ষিণ দ্বারে বসে বসে ভাবে কত কথা।
কে আছে আর বুঝবে যে তার মনের হাজার ব্যাথা।
হৃদয়খানি পুড়ল কেন বোঝেনি তো কেউ।
তার জীবনে হঠাৎ এল কাল সুনামির ঢেউ।
সেই ছেলেটা একলা ভীষণ পায়নি কোনো স্নেহ।
সেই ছেলেটার পাগল বলে করছে মানুষ হেয়।
সেই ছেলেটা বড্ড জেদী, পড়াশোনায় সেরা।
অন্ধ কারার জীবন যে তার হয়নি আলোয় ফেরা।
বাবা কবেই ছেড়ে গেছে আসবেনা আর ফিরে।
কে-ই বা তাকে শান্তি দেবে এই দুঃখের নীড়ে?
ঠাকুর – দালান শূন্য থাকে পড়লে যে তার ছায়া।
ভয় পেয়ে সব দূরেই থাকে করেনাকো মায়া।
একবেলা তার খাওয়া জোটে পরের কাছে রোজ।
নষ্ট মানুষের জলখাবারে নষ্ট হবে ভোজ?
আরেক সুযোগ পায় যদি সে জন্ম নেবে আবার।
ডাক্তারী সে করবে যেনো গর্ব হবে বাবার।
সেই ছেলেটার মনমাঝে অদৃশ্য মায়ার বাঁধন,
তাকে কি কেউ কখনো করতে পারে আপন?
যখনই সে বাবা হল দেখল এক স্বপন।
রাতের ধ্রুবতারা তখন উত্তর ঊর্ধ্ব গগন।
যতটুকু দুঃখগাথা সে করেছিল বপন-
সব ভুলিয়ে সুখ আনবে আশার কন্যে – রতন।
সেই ছেলেটা রোজ শিয়রে ডাকে – ‘মামনি’।
সেই ছেলেটার সাথে আমার হয়না বনাবনি।
***************** ******
লেখক পরিচিতি :
কবির নাম – মৌসুমী মন্ডল।
ঠিকানা – দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত মোহনপুর গ্রাম। ডায়মন্ড হারবারের ফকির চাঁদ কলেজ থেকে বাংলা বিষয়ে এম. এ করা হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখির চর্চা করা হয়। দু- একটা পত্রিকাতে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।