☀️খোঁজ☀️
✍️চন্দন চক্রবর্তী ✍️
***********
গ্রামের শেষে মাঠের ধারে
একটা চালাঘর
ভাব খানা এই পড়ে বুঝি
এলে বোশেখী ঝড় !
একটা চালাঘর
ভাব খানা এই পড়ে বুঝি
এলে বোশেখী ঝড় !
সেই ঘরেতে একলা একা
থাকতো কোন বুড়ি
বয়সটা তার কেউ জানে না
চার কি পাঁচ কুরি ।
থাকতো কোন বুড়ি
বয়সটা তার কেউ জানে না
চার কি পাঁচ কুরি ।
তিন কালে তার কেউ ছিলনা
ছিল শুধু এক কুকুর
ত্রিসীমানায় পা বাড়ালে
ছিল না কোন কুসুর !
ছিল শুধু এক কুকুর
ত্রিসীমানায় পা বাড়ালে
ছিল না কোন কুসুর !
কুকুরটাও এক সকালে
চলে গেল ছেড়ে
বুড়ি তখন গুনগুনিয়ে
কাঁদছে উঠোন পরে ।।
চলে গেল ছেড়ে
বুড়ি তখন গুনগুনিয়ে
কাঁদছে উঠোন পরে ।।
কান্না দেখে এগিয়ে গিয়ে
যেই দাঁড়ালাম পাশে
হাত বাড়িয়ে বললো আমায়,
তুই আমার গোপাল না রে !
যেই দাঁড়ালাম পাশে
হাত বাড়িয়ে বললো আমায়,
তুই আমার গোপাল না রে !
মধুমাখা তার সে ডাকে
কি জানি কি ছিল !
রোজ বিকেলে যেতাম সেথা
শুনতে কথাগুলো !
কি জানি কি ছিল !
রোজ বিকেলে যেতাম সেথা
শুনতে কথাগুলো !
নাড়ু মোয়াতে হাত ভরাতো
বলতো কত গাথা
মাঝে মাঝেই সরু হাতটা দিয়ে
বুলিয়ে দিত মাথা ।।
বলতো কত গাথা
মাঝে মাঝেই সরু হাতটা দিয়ে
বুলিয়ে দিত মাথা ।।
কালের স্রোতে হারিয়েছে মাঠ
হারিয়েছে সে ঘরবাড়ি
মধু মাখা সেই মুখের কথা
তবু কেন খুঁজে ফিরি !
হারিয়েছে সে ঘরবাড়ি
মধু মাখা সেই মুখের কথা
তবু কেন খুঁজে ফিরি !
হঠাৎ দেখি ভারতমাতা
বলছে আমায় ডেকে,
পাবি কোথা সেই বুড়িকে !
আমিই হারিয়েছি নিজে ?
বলছে আমায় ডেকে,
পাবি কোথা সেই বুড়িকে !
আমিই হারিয়েছি নিজে ?