কবিতা : আবু সাঈদ ও পৃথিবীর বাংলাদেশ
—————————-
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
|| এই ইংরেজি ব্যাখ্যার নিচে কবিতা ||
[ A Bengali poem like “Abu Sayed-o-Prithibir Bangladesh”, exposes the bravery of the Bengali Students including the actual glories of Bangladesh. Abu Sayed died 26 July 2024, was a Bangladesi Student activist shoot died by the Bangladesh police in the 2024 Bangladesh quota reform movement. Many students and general people died and fel in death kissed injury in the serious movement by shoot dead and in some cases by further attempts. Government claims it was accidental and mostly done to control the extraordinary presure that this movement was guided by some bad sources later, to disorder the situation of the country. It is a cause of debates in them, but the poet as Indian, better to say a citizen of the Earth saw it in the light of free thought. And he revealed that Bengalis are victimised by some clever sources. So, everything is happening like this, is not normal. But it is true, the knowledge and power of the Students of Bangladesh are the forerunner of the civilization to be true, decleated modestly. Also with that knowledge and power it added the merit, responsibility and energies of general people, that are ideal no doubt. Politics of politics and politics of religion are another thing, but it’s true Bangladesh is Bangladesh in true value, always awakening and surprising. In this regard poet Ridendick Mitro wrote this poem to glorify all the Bangladesh lineage without any difference. He has been writing lots of poems on Bangladesh during the years in Bengali and English. ]
|| মুক্ত ঘুর্ণন ছন্দে অন্তমিল, সেই সিড়ি ধরে তাল বুঝে পায়ে চলার ছন্দে পড়তে হবে। কবিতার মাঝে-মাঝে বিজ্ঞাপন আসতে পারে, পুরো কবিতার নিচ অবধি টেনে পড়ুন। সব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের এই ব্যাপারটা বুঝে পুরো লেখা পড়বেন, সব লেখকের ক্ষেত্রে। ||
———————————-
আবু সাঈদ ও পৃথিবীর বাংলাদেশ
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
সারাটা পৃথিবী জুড়ে মহাকাব্যের মত
সাহসী, গভীর, আর সুক্ষ্ম সতর্ক সৎ,
সে তুমি বাঙালী জাতি,
দূরে গাছের ছায়ায় সামনে পুকুর,
অনাড়ম্বর একটি ঝুলি নামিয়ে বসেছ,
তুমি সেই অস্পষ্ট ইতিহাসের মত
সুখ বিষন্ন পরিব্রাজক।
অন্ধকারে নীরবতা ঘুমানোর মতো
প্রাণের ভিতর থাকে সাহস অসংযত,
মাতৃ-স্তনে উল্লসিত
শিশুর হাসিরা যেভাবে —
কখনো বা নাচে, কখোনো বা কাঁদে,
মাটির ঘরেতে খড়ের চাউনির বাঁশে
অন্যমনস্কভাবে গুঁজা দড়ি,
দেয়াল থেকে ঘন্টা দেয় অনেক বছর
আনমনে পুরানো দেওয়াল ঘড়ি,
কিংবা কোনো মহাপুরুষের পুরানো ছবি
কাচ ও কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো,
তিনটে পেরেকে আছে দাঁড়িয়ে,
মস্তি আরাম দিয়ে ছিল সাজানো,
সে-ছবির দড়িটা হয়েছে গোলমাল,
পুরানো হয়েও ঝুল কালো হয়ে গেছে সেটা,
কিংবা ডায়েরিটা ঐ পড়ে আছে
পুরানো টেবিলে,
তাতে আছে কিছু কাটাকুটি লেখা,
এরকমই চলমান এক একটা ইতিহাস
ও তার শেষের অশেষ,
তুমি সেই ইতিহাস সুখ, আবু সাঈদ আর
এই পৃথিবীর বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ মানে শুধু একটা দেশ নয়,
এরও বাইরে আছে হাজারটা অনুভব,
কড়ায় গরম বালিতে খই ফোটার মত
আনন্দের উপদ্রব,
কখনো বা কুলায়
খুঁদ চাল পাছড়ানোর ঘ্রান,
মা, মাসি ও দিদার হাতে হলুদের গন্ধ
আর ছোপছোপ দাগে
সে-রূপকে দেখার আরাম,
পড়া করা বা না করে ইস্কুলে গিয়ে
শিক্ষকের হাতে কানমলা,
স্কুল ছুটি হলে আনন্দে দৌড়ে চলা,
এসবের মাঝে লুকিয়ে থাকে
কত আবু সাঈদের স্বপ্ন আবেশ,
প্রতিটি ছাত্রছাত্রীতে আছে সেই দূরবীন,
তুমি সেই বাংলাদেশ।
বাঙালী কোনো জাত নয়, ধর্ম নয়,
বাঙালী মানে সারা পৃথিবীর জয়,
সে বহন করে আদরের মুর্ছনা,
হাওয়ায় গাছের ডাল
যেভাবে দোলে দেখো না,
কখনো সে হয়ে ওঠে
ভয়ংকর উচ্ছসিত রূপ,
বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বলে
আমাকে মারবে মারো, প্রস্তুত,
তারপর একটি শব্দ আর রক্তের শ্রোত,
হাজার-হাজার ছাত্রছাত্রীর
ভিজে যায় চোখ,
অভিভাবকেরাও হয়ে ওঠেন ছাত্রছাত্রী,
মুহুর্তে তাঁরা হয়ে যান বার্ধক্য শুন্য,
সারা পৃথিবীর বার্ধক্যর বিপর্যয়কে
যারা ঘুরিয়ে দিয়ে আনে তারুন্য,
সে আর কোন্ ধারা,
সইতে পারে কঠোর কঠিন ক্লেশ,
সে তুমি শুধু, পৃথিবীর বাংলাদেশ।
প্রতিটি শিশু এখানে মাতৃকোলে ঘুমায়
স্নেহ-সুস্থ কাপড়ের ভিতর,
কত প্রবাদ আর রূপকথা
ধরা দেয় পরে-পরে
যেন কল্পনার অন্ধকার শিকড়।
কখনো আসে সাপুড়ে, বাজায় তার বীন,
এর সৌন্দর্য লক্ষ্য করে শিশু চোখ
কত নিখুঁত সৌখিন,
কখনো আসে মাথায় সাজানো ঝুড়ি,
ফিতে, টিপ, খেলনা, সিন্দুর, চুড়ি,
নেলপলিস, লাটিম, ঘুনসি সহ
কত কী নিয়ে সেই চুড়িওয়ালি,
দুপুর ভেদন করা কী নম্র ডাক,
ঝুড়িটা নামাতে গিয়ে
কোমরে দিল সে কী সুন্দর পাক,
নিচেতে রাখল সে সাজানো ডালি,
কখনো বা আসে বাউল,
কখনো বা আইস্ক্রিম দোকানি,
কখোনো আসে আচারের দোকান,
দুপুর গভীর হয়,
কানে এলে সেই ডাক, একটু থামি,
বিছানা ও চেয়ারে বইয়ের পাতা খোলা,
হাওয়া আর জানলা ফাঁকা রোদ ছায়ায়
কত কী লেখা আর লেখকদিগের ছবি,
এসব কি যায় ভোলা,
আসে পাশে গুড়ের পাত্রে চলাফেরা করা
পিঁপড়ে দলের মত নৈঃশব্ধের মাঝে
কত অব্যাক্ত কথোপকথন রেশ,
এ ছবি আর কার,
ঘরে-ঘরে লুকানো সৎ সাহসীকতার
প্রিয় বাংলাদেশ।
গ্রাম আর শহরের আছে কিছু ব্যাবধান,
ফড়িং, প্রজাপতি, মৌমাছি, বোলতা
সর্ব্বত্র তারা নয় হয় তো বা স্বাধীন সমান,
রাত্তিরে শহরে তো নেই
পুকুরে তাল পড়ার শব্দ,
গাছের তলায় রাতে ভূত নেই শহরে,
নেই গা ছমছম অনবদ্য,
পার্থক্য আছে বেশ বাড়ি ঘর আর আসবাবে,
কিন্তু শাক চচ্চড়ি ও
পান্তার হাপুস হুপুস শব্দ
গ্রাম হতে শহরে
সূর্যোদয়ে গাছের পাতার মত
ঝিলমিল হয়ে যেন জাগে,
গুরুজনদের মুখে শোনা কত গল্প,
কত কী অভিজ্ঞতা,
মাঝরাতে বাসায় পাখির
পাখার ডানা ঝাপ্টানো মৃদু শব্দের মত,
এত কিছু নিয়ে তুমি
খেয়াল ও অখেয়ালের কত সংশ্লেষ,
তুমি আর কেউ নয়,
আমার নিরীহ বিনয়,
কখনো বা ঝড় বিদ্যুতের বিজয়,
পৃথিবীর চোখের আড়ালে থাকা
যেভাবে বিকেলে ফেরা সমৃদ্ধ বলাকা,
আমার, আমার বাংলাদেশ।
———————————
( ১৩ আগষ্ট ২০২৪, মাঝরাত ২:২১)
কবি পরিচিতি : ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro), পেশায় আলাদা করে দুটি ভাষায় বাংলা ও ইংরেজিভাষায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-কলামিস্ট। অনেক দিন স্প্যানিস ভাষার শিক্ষনে থেকে এই ভাষাতেও সাহিত্য লেখার জন্য প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে কবির লিখিত ইংরেজি ও বাংলা গান থিম সঙ হিসেবে গ্রিহীত হয়ে নিয়মিত ব্যাবহার করা হয়। অনেক বছর আগে থেকেই বাংলাদেশের মুদ্রিত ও ওয়েবসাইটে লেখা বেরিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। বাংলাদেশের উপরে ও বাংলাভাষার উপরে আছে অনেক কবিতা ও সঙ্গীত। সেগুলি অনেক প্রকাশিত, অনেক অপ্রকাশিত। সেগুলি নিয়ে একক গ্রন্থ হিসেবেও প্রকাশিত হবে।
২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় গ্রন্থ সংখ্যা ২১-২২টি। রাষ্ট্রসংঘ নিয়ে অনেক ইংরেজি বই লিখেছেন। (১) Anthem-poem on all the independent nations, (2):Anthem-poem on all the independent days. (3) All poems on the life of the Secretary-Generals of the United Nations. (4) A book of poems on Russia.(5) Anthems and poems on all the United Nations Organizations. (6) Costa Rica, My Darling, (7) Asgardians poems, story & Laika. Etc. এগুলি অবস্যই সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত।
আরো অন্যান্য বইগুলিও আছে।আরো অনেক গ্রন্থ পান্ডুলিপি প্রস্তুত। পরপর বেরুবে একইভাবে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে।
ভারতে মুর্শিদাবাদে নবাব সিরাজউদ্দৌলা সহ তাঁর ইতিহাস রক্ষার আন্দোলন ও অনেক রকম প্রকল্প, হীরাঝিল বাঁচাও আন্দোলন, খোসবাগ যত্ন করার আন্দোলন, “নবাব সিরাজউদ্দৌলা মুক্ত বিদ্যালয় খোসবাগ” সহ অনেক মুখি প্রকল্প, এই সমগ্র বিষয়ের উপরে দশ হাজার পংক্তির মহাকাব্যের প্রুফ দেখা চলছে। দীর্ঘ কাজ বলে অনেকবার দেখা, কিছু অদলবদল করা ও প্রুফ দেখার জন্য সময় যাচ্ছে। ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস রক্ষার আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ইতিহাসের উপরে কাজ করা শুরু বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়। “নবাব সিরাজউদ্দৌলা মুক্ত বিদ্যালয় খোসবাগ” নামের সব বয়সের জন্য বহু রকম শিক্ষার শিক্ষাকেন্দ্রতে ২০২১ সালে কবির লেখা “নবাব সিরাজউদ্দৌলা মুক্ত বিদ্যালয় খোসবাগ / আমাদের তুমি গর্ব, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব…”, এই বারো পংক্তির সঙ্গীতটি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা-প্রধান সমর্পিতার সুরে গীত ও স্কুলে ব্যাবহৃত হয়, প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে। এই সঙ্গীত উদবোধন হয়েছিল ২০২১ সালে মুর্শিদাবাদ, খোসবাগে নবাবের কবরে স্নান করিয়ে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তারপর ঐ স্কুলের ছাত্রছাত্রী ( নাইটস্, Knights বলা হয়।) ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল।
এই ইতিহাস রক্ষার আন্দোলন নিয়ে অনেক সফল লেখা লিখবার জন্য এখান থেকে ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক “সবুজ সম্মান – ২০২৩” প্রাপ্তি। সৌজন্যে : নবাব সিরাজউদ্দৌলা স্মৃতি সুরক্ষা ট্রাস্ট। এই পুরস্কার এই বছর প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশের বিখ্যাত ইউটুবার সালাহুদ্দিন সুমন, ভারতের এক সমাজসেবি মল্লিকা খাতুন, হীরাঝিলে থাকা নবাব সিরাজের প্রাসাদের জমি যে পরিবারগুলির নামে রেকর্ড ছিল — তাঁদের মধ্যে একটি পরিবারের সদস্য উজ্জ্বল সরকার। এই পরিবার নিজেদের নামে থাকা নবাবের প্রাসাদের অংশে বিরাট জমির অংশ এই ট্রাস্টকে আইদান করে এই আন্দোলনকে সুস্থিরতায় চলতে সহায়তা করে। উজ্জ্বল একই সাথে দিনরাত এই আন্দোলনকে নানাভাবে সহায়তাও করেছিলেন ও করেন। ২০২২ সালে হীরাঝিলে নবাব প্রাসাদের স্থানে শহীদবেদী উদ্বোধন হয়, ২৩ জুন পলাসীর যুদ্ধ দিবসে।
তখন এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে নবাব সিরাজের নবম বংশধর সৈয়দা মেহমুদা, ভারত সরকার দ্বারা “নবাব অব মুর্শিদাবাদ” উপাধীতে সম্মানিত থাকা নবাব মিরজাফরের পরিবারের ছোটে নবাব রেজা আলী মির্জা। সমর্পিতা তাঁর বন্ধুদের নিয়ে ঐ সঙ্গীতটি ওখানে গাইবার সময়ে দুই নবাব পরিবারের ঐ দুই প্রতিনিধি নিজেদের আগ্রহে এসে সকলের সাথে দাঁড়িয়ে ঐ সংগীত গেয়েছিলেন। ইতিহাস নিয়ে কাজ করা এই সমর্পিতা কলকাতা থেকে আসা একজন অভিনেত্রী, কলকাতা দূরদর্শন এর একজন সংবাদ পাঠিকা, লেখিকা, গীতিকার, সুরকার, ডাইরেক্টর, শিক্ষাবীদ, গবেষক। এই সমর্পিতা “নবাব সিরাজউদ্দৌলা স্মৃতি সুরক্ষা ট্রাস্টের সভাপতি। অবস্য কবির এই সব কাজের ইচ্ছের সাথে ২০২১ সালে ঘটনাক্রমে প্রথম সংযোগ ঘটিয়েছিলেন ও নানা ভাবে উৎসাহিত করেছিলেন সাংবাদিক ইউটুবার “Manas Bangla” এর মানস সিনহা। এরপর কবি এই আন্দোলনে সহায়তা করা আরো বিভিন্ন সাংবাদিকদের সহায়তা লাভ করেন। এই বিষয়ের উপরে প্রায় হাজার বা দেড় হাজার পৃষ্টার মত কবিতা, মহাকাব্য, নিবন্ধ, উপন্যাস লিখেছেন এই কবি।
নবাবের হীরাঝিলে এই ট্রাস্ট্রির তরফে ও অনেকের আর্থিক সহায়তায় হয়েছে “সিরাজ উদ্যান”। এই হীরাঝিলে হচ্ছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রকল্পের শহীদ মিনার সহ সংযুক্ত কাজগুলি। খোসবাগেও নানা প্রকল্প রূপায়নের চেষ্টা চলছে। এঁরা সমাজের আরো কিছু দিকে সম্ভাব্য মতো কাজ করেন। এইভাবে রয়েছে আরো অনেক প্রকল্প, আর্থিক সহায়তা অনুযায়ী সেগুলি চলবে পরপর। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে সংযুক্ত প্রথম ইতিহাসের সাথে যুক্ত এই আন্দোলন ও প্রকল্পের অবস্থানে, দুই নবাব পরিবারের সমর্থনের অবস্থানে, এখান থেকেই এই কবি “আন্দোলন কবি” হিসেবে নির্বাচিত হয়ে “সবুজ সেনা সম্মান-২০২৩” লাভ করেন।
এই ইতিহাস রক্ষার অবস্থানে হয় এই ইতিহাস কেন্দ্রিক অনেক সাহিত্য সৃষ্টি, চিত্রকলা ও ভাস্কর্য। রাজ্য সরকার, ভারত সরকার, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, সকলের সম্মতিতে এই ইতিহাস রক্ষার দাবী ও প্রকল্প সমর্থিত। এঁরা বছরে তিনটি দিবস পালন করেন। যে কোনো এক দিন নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক সবুজ সেনা সম্মান দেওয়া হয় ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে নবাবের প্রাসাদ স্মৃতি স্থান হীরাঝিল উদ্যানে অনুষ্ঠানে। প্রশংঙ্গত উল্লেখ্য, ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ে হাজার দুয়ারি নবাব সিরাজের প্রাসাদ নয়। এটা অনেকে জানতেন না। ২৩শে জুন পালিত হয় একই স্থানে পলাসির যুদ্ধ দিবস। ৩রা জুলাই পালিত হয় নবাবের মৃত্যু দিবস প্রাসাদ স্থান হীরাঝিলে বা কবর স্থান খোসবাগে, পরিস্থিতি অনুযায়ী একটা জায়গা বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন গুণী, ব্যাবসায়ী, আইনজীবি, সাংবাদিক ও আরো নানা পেশার মানুষ এই আন্দোলনে ও প্রকল্পে সহায়তা করেন ও যোগদান করেন।
অন্যদিকে, কবি পেয়েছেন “Gem of the Earth Award” – ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক “Art Mother Earth Foundation ” থেকে, ১৫ জানুয়ারীতে। এই ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার-ডিরেক্টার নিউজিল্যান্ড নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাইকেল তরুন।শান্তির উপরে সময়ানুযায়ী নতুন ধরনের কাজ করার জন্য এই ফাউন্ডেশন পেয়েছেন অস্ট্রিলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা সরকার থেকে লিখিত সমর্থন। অনেক সংস্থা, গুণীজন, শিক্ষাবীদ, কলকাতা মেয়র, নোবেল পুরস্কার জয়ী His Holiness দলাই লামা, এবং রাষ্ট্রসংঘ থেকেও পেয়েছেন লিখিত সমর্থন ও আশির্বাদ। এই কোম্পানি এই কবির লেখা একটি বিশ্বজাতিয় সঙ্গীত “An world anthem — We are the citizen of the Earth” গ্রহণ করে সেটি সঙ্গীতে রূপান্তরিত করে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছেন ও সেটি একটি জনপ্রিয় সংগীত। বিভিন্ন টিভি মাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। এদের থেকে হয় প্রতি বছর ১৫ই জানুয়ারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীর জন্মদিন উপলক্ষে “পৃথিবী ও কলাবিপ্লব দিবস” বা “Earth & Art Revolution Day”। স্থায়ী বিশ্বশান্তির উপরে এদের হয় নানা গবেষনা, সাহিত্য, শিল্প ও নানা দিক উদঘাটন। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদিক সংস্থাও এই দিবস পালন করেন।
মৌ আচার্য, শর্মী চক্রবর্তী সহ অনেকের পাশাপাশি ফিল্ম গায়িকা শুভলক্ষী দেও কবির বিভিন্ন ইংরেজি গান গেয়েছেন। এছাড়া অনেক সংস্থা তাঁদের সংস্থার নামে কবির লেখা থিম সঙ নিয়ে ব্যবহার করেন বিভিন্ন সভায়।
এছাড়াও পেয়েছেন কলকাতার “Rural Urban Development Foundation” থেকে “সুর-অঙ্গন” সম্মান, এই বছর সহযোগী প্রাপক ছিলেন নাট্য ব্যাক্তিত্ব বিভাষ চক্রবর্তী, সাহিত্যিক সুকুমার রুজ, কবি কৃষ্ণা বসু। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০। কয়েক বছর আগে হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে “সৈয়দ আহসান আলী পুরস্কার” প্রাপ্তি, নদীয়ার “প্রশান্ত চন্দ্র ঘোষ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন” থেকে সম্মান। রয়েছে অনেক সম্মাননা। এই লেখকের বিভিন্ন গ্রন্থ উদ্বোধন করেছেন গুয়েতামালার রাষ্ট্রদূত, কোষ্টারিকার প্রধান প্রতিনিধি, এই রকম অনেকেই। সারা বিশ্বের লাখ-লাখ নেটিজেন ও সিটিজেন, এই সব বিষয়ে অনুভূতির সংবেদনশীলতায় রয়েছেন।
———————————-