একএিতো হও
মোহাম্মাদ আবুহোসেন সেখ
একই রকম দেখতে আমগাছে দুরকম ফল হয়। একটি ফল টক আর একটি ফল মিষ্টি, কিন্তু ফল যতই ভিন্ন স্বাদের হোকনা কেন সেটা ফলই তো, সেটা কেউ বুঝতে চাই না। এই না বোঝার দরুন সমাজে আজ অশান্তি, রক্তপাত, নিজেদের মধ্যে হানাহানি, বিরোধীতা হিংসা আর কুসংস্কারাচ্ছন্নেই ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যেতে এর প্রভাব আরো বাড়তে থাকবে। ততক্ষণ বাড়তে থাকবে যতক্ষণ না পযর্ন্ত সমস্ত মানবজাতির মনে মনুষ্যত্ববোধ বিবেক জাগ্রত হচ্ছে।
মানবজাতির মাঝে এই র্ধমবিরোধীতাকে রুখতে পারে একমাত্র ছাএসমাজ তথা যুবসমাজ। কারন চার দেওয়ালের মাঝে যখন শিক্ষা দেওয়া হয় -----সেখানে জাতি, ধর্ম-বর্ণ, নির্বীশেষে সমস্ত জাতির মানব একএিত থাকে। তখন তো এই বিরোধীতা দেখা যায় না। তাহলে,পরবর্তী একটা সময়ে এসে এরা নিজেদের মধ্যে কেনো জাতপাতের ভাগাভাগির দাবি তোলে এবং শান্তির জায়গায় অশান্তিকে টেনে আনে।সমস্ত মানবজাতির কাছে এখন প্রশ্ন হলো আমার এটাই? ওই চারদেওয়ালের মাঝে এই শিক্ষা তো দেওয়া হয়না। আমার মতে এই শিক্ষা পাওয়া যায় সমাজের কিছু অসাধু মুর্খামী মানুষের কাছে। যদি তাই হয় তাহলে তোমার কাছে কি! ওই চার-দেওয়ালের শিক্ষার কোনো গুরুত্ব নাই? জিজ্ঞাসা করো নিজের মনকে, জিজ্ঞাসা করো নিজের বিবেককে, জাগ্রত করো নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা মনুষ্যত্ববোধকে।নইলে এই দ্বায়বদ্বতার ভার নিতে হবে একমাত্র ছাএসমাজ তথা যুবসমাজকে।যে ভুল করে এবং যে দেখে চুপ থাকে তারা একই অপরাধের অপরাধি তা আমার সবাই জানি।তাই ক্ষতিকারক সেই বিরাট বড়ো বটগাছের শিকড়কে উফড়ে দিয়ে,উপকারিতা ছোট্ট নিমগাছের চারা বসানো হলো আমাদের কতর্ব্য।কিন্তু আমরা এই কাজ ক'জন করি বা করছি সেটাই হলো এখন প্রশ্ন? আমি যথাসম্ভব জানি যে,এই বাংলার মাটিতে একসময় ছাত্রসমাজ তথা যুবসমাজ আলোর দিশা দেখাতো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো।সমাজ ক্ষতিকারক জীবগুলোকে বিন্যাস ঘটিয়ে সমাজকে শক্তিশালী বানাতো।এমনকি সমাজের কুসংস্কার দূর করতে পথমিছিল থেকে শুরু করে হর্তাল পযর্ন্ত করতো।কিন্তু আজ যখন সারা ভারতবর্ষে জাতপাতের ভাগাভাগির দ্বন্দ,অসামাজিক অত্যাচার চলছে,তখন এই ছাএসমাজ তথা যুবসমাজ কেন? নিজেদের চোখে কালো কাপড় বেঁধে অন্ধের মতো ঘোরাঘুরি করছে। এদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সেই তীব্র নেশা,জলন্ত অংগার কেন?তারা ধীরে ধীরে নিভিয়ে দিচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ তথা যুবসমাজ তোমরা কি দেখতে পাচ্ছো না!কত হিন্দু ঘরের,কত মুসলিম ঘরের মা,বাবা,ভাই ও বোন প্রান হারাচ্ছে।কত নিশপাপ শিশু ও প্রান হারাচ্ছে যারা এই সমাজে একদিন বড়ো কিছু হয়ে উঠতো। তারা আজ এই যুদ্ধের কারনে সংঘর্ষের তান্ডবে বিলুপ্ত হচ্ছে।এই ছাত্রসমাজ তথা যুব সমাজ তোমরা কি পারবে ফিরিয়ে আনতে যে মায়ের হূদয় ভেঙ্গে নদী থেকে জল বেরিয়ে গেছে সেই জলকে ফিরিয়ে আনতে,পারবে না।কিন্তু এটা করতে পারবে যে,ওই নদী থেকে যাতে জল না বের হয় তার জন্য মজবুত পাড় দিতে।আর যদি সেটাও না করতে পারি তাহলে আমাদের মতো অভাগা এই পৃথিবীতে জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরণ ঢেড় ভালো।। এখানে একটা ব্যাপার জলের মতো পরিষ্কার যে আজ ছাএসমাজ তথা যুব সমাজ যদি আগিয়ে না আসে।তাহলে এই দেশ একদিন হবে অসাধু মূর্খ্যদের সামরাজ্য।
আর সেদিন এই দেশে রক্তের হুলিখেলায় মেতে উঠবে সারা দেশ তথা স্বপ্নের মাতৃভূমি।চারিদিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যাবে শুধুই বোমার ধোঁয়ায় সব সাদা ধোঁয়াসা।মন্দিরে পূজাদেবার লোক থাকবেনা,মসজিদে আজান দেবার ও লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।শুধুই দেখতে পাওয়া যাবে কতগুলো লাশ।আর দেখতে পাওয়া যাবে জীবন্ত অবস্থায় চোখের সম্মুখে জালিম অত্যাচারিত নীপিড়ীত সন্ত্রাসবাদ বোম মেসিন নিয়ে রক্ত চোসার জন্য ঘোরাঘুরি করছে।আর তখনই আমার মনে হয় ছাএসমাজ তথা যুবসমাজ এবং সমস্ত মানবজাতির মনে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠবে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।কিন্তু সবাই জেনে রাখো সেদিন আর এই বিদ্রোহের আগুন জ্বালাতে পারবেনা আর না পারবে বাইরে জ্বলতে থাকা আগনকে নেভাতে।আর সেদিন নিজে নিজের উপর ধিক্কার দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া পথ থাকবে না তোমার সম্মুখে।তাই সেদিন এই চরম পরিস্থিতির জন্য দ্বায়ি কারা তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছো।
তাই ছাত্রসমাজ তথা যুবসমাজের কাছে আমার বার্তাটা এমনটাই যে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ রেখে এই সুন্দর সমাজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা নোংরা আর্বজনা,কুসংস্কারাচ্ছন্নোকে দূর করতে নিজেদের মেলে ধরো।