উৎসব
সৈয়দ খুকুরানী
নদীকে ভালোবেসে নদীর
কিনারে যাসনা উৎসব ,
নদীর মধূর মোহ জড়ানো
সৌন্দর্য তোকে , বিভোর করে দেবে উৎসব।
নিয়ত টানবে তার না বলা
মৃদূ ঢেউ,টলমল কলকল উথাল পাতাল আহ্বান।
যাসনে তুই উৎসব,আর কখনো ঐ নলেপুরের ঘাটে,উদ্ধারন পুরের ঘাটে
কলেনপুরের ঘাটে ,,,,,,,,,
সাকাই ঘাটে।
ঐ ভেজা বালিতে তুই পা ফেলিস না উৎসব,
নদীকে ভালো বেসে মেঘের মতো খেলা খেলিস না উৎসব,
ওর কিনারে বসে যতো স্বপ্নের জাল বুনি স না।
ঔদেখ,কতো কচুরিপানা ভেসে যাচ্ছে ,সবুজ স্বপ্নে ভরা,সব ভেসে যাচ্ছে,
তুই যাসনা উৎসব ওই মোহময়ী রূপের জলে।
নানু মাঝি,ছিদাম মাঝি,হারান মাঝি ও দ্যাখ,
নদীর তীরে নৌকা বেঁধে রেখেছে।
আমি ছোটো বেলা য় চেপেছি ঐ নৌকায়,ডিঙগিতে।
ওরা কেউ আর তীর ছাড়তে পারেনি।
ভালো বাসা , ভালো বাসা উৎসব,মোহ,
বেদনা মধুর যন্ত্রনা।
তোকে খান খান , টুকরো টুকরো,করে নিশ্চিন্ন করে দেবে,
ভেঙ্গে দেবে এক সময় নদীর পাড় ভাঙ্গার মতো।
ঐ পাড়ের উপর কি সুন্দর লাল কৃষ্ণ চূড়া,সব টেনে নিবে স্রোতে,বড়ো ভয়ঙ্কর ভালো বাসা, ভালো বাসা খেলার টানে।
উৎসব সে শুধু ঐ পাড়কেই , তোকে ভাঙ্গবে না, ভাঙ্গবে ঐ পাড় জড়িয়ে ধরে যারা বসবাস করে,সে সব ছোট্ট ছোট্ট আশা,কুড়ে ঘর, বসতি, আমার কতো মধূর স্মৃতি সব ভেসে যায় উৎসব।
একসময় পায় ভাঙ্গে,হৃদয় ভাঙ্গে বন্যা আসে,
ভালো বাসার খেলায় শেষ করে দেয় কতো কিছু,
কতো ভালো লাগা স্বপ্ন, ধূলিসাৎ।
আমি নিজের চোখে দেখেছি উৎসব, আটাত্তরের বন্যা।
আমার জন্মভূমি , আমার গাঁ ভেসে যাওয়া।
নিজের চোখে দেখে ছি, সুন্দর বনের আয়লা ঝড়ের সে উচ্ছাস।
ঐ সর্ব নাশা টান, ভালো বাসা থেকে অনেক দূরে থাক উৎসব।
ভালোবাসা আগুন,
ভালো বাসা উচ্ছাস
ভালো বাসা মোহ
ছারখার করে জীবন
ভাঙ্গে ,গড়ে না ,,,,,,,,,,,,
বুকের ভেতর, পাঁজর কন্ঠা সব,
কঙ্কাল হয় দেহ, স্বপ্ন শূন্য হয়,
পাতা ঝরা গাছের মতো হু হু করবে পরান।
পোড় খাওয়া অন্তর ভেতর ভেতর দগ্ধ আগুন হয়ে ঝলসাবে।
উৎসব আজ ও ভালো বাসার নিদর্শন হয়ে বেঁচে আছে সাকাই ঘাট।
আমি নিজে দেখেছি দুলাল সাধুকে,
কাছে বসেছি,
শুনেছি লোকমুখে ভালোবাসার পুরষ্কার তাঁর সব কেড়ে নিয়ে ছে।
সাধূ হয়ে ঘুরেছেন দেশ,বিদেশে।
কোথায় তাঁর ভালোবাসা।
সেই ভাঙ্গা স্মৃতির পাড় , নদীর তীরে।
ভালো বাসা বড়ো কাঁদায় উৎসব, কীর্তন করে।
সন্যাসীরা কীর্তন গায়,খনজনী বাজায়,
প্রবল বিশ্বাসে একাগ্র চিত্তে বসে ধ্যান করে।মে বিশ্বাস মানুষ কে শূন্য করে ,খোল করতালের মতো।
উৎসব , ভালো বেসে সাধূ ,সন্যাসী হয়ে যাসনা।
সে যে বড়ো কষ্ট।
সাধনা করে উৎসব , সাধনা,
মানুষের জন্য কিছু করে তা,
করে তা কিছু নতুন সৃষ্টি।
গঙ্গার ঘাটে আরতীর মতো ,তোর সৃষ্টি তে উজ্জ্বল হোক বিশ্বজোড়া পাঠশালা।
স্মৃতি থাক , দুনিয়ার বুকে।
উচছরিত হোক আলো।