নিঃলজ্জো কঙ্কাল।
আমি একা হেঁটে চলেছি
সাথী কেউ নেই, সবাই আমায় ছেড়ে চলে গেছে
জানি না সবটা জীবন থেকে অনেক দূরে চলে গেছে
আমি আমাকে ভুলে গেছি
আমার চলার পা খানাকে
কি হবে জীবন্ত জীবনের পারিজাত ভেঙে
নতুন করে কোনো গল্প হতে পারে না
ভেসে গেছে যে নদী পরোয়া করি না
জীবনের যন্ত্রণা ভেঙে জীবন কে নিয়ে কতো স্বপ্ন
আমার কাছে স্বপ্ন দিয়ে প্রেমের রূপ আঁকেছি
আজ বুঝেছি এ আমার নয়
চল্লিশটা বছর পার করে আজ বুঝেছি
কেউ কারো হয় না, সারাজীবন একসাথে সংসার করে ও
আমার পাশের জীবনকে নিচতে পারেনি
আজ সে নিজের টা খোঁজে
নিজেরটা নিজে বোঝে
আমি তো বুঝলাম না ; সারাটা জীবন বুঝতে পারলাম না
সকলকে আপন করে কাছে টেনে নিয়েছি
কেউ যে আপন হলো না
আজ আমি বড়ো একা, একা বড়ো একা
সবাই পর হয়ে গেছে
আমার বলে যা ছিল সব তো দিয়ে দিয়েছি
আমার বলে কিছুই নেই
শূন্য একান্ত ঘর
তাই বুঝি আমারে ছেড়ে সবাই গেছে চলে
আমি একা বসে আছি এ-ই পথের মাঝে
শূন্য বুকের দেওয়াল গুলি কে ভাঙে জীবনের গভীরে
কেমন করে তোমারে আঁকি
ও নদী পাড় ভাঙা এ-ই কুলে
নৌকা যে ওপাড়ে
ও মাঝি আমারে নিয়ে যা-ও তোমার ওপাড়ে
আমি যে একা কি হবে নীল ভাঙা এ আকাশ দেখে।
———————————————————–