আমি নারী বলছি
———————-
সুপর্ণা বোস
ছোট্ট -ছোট্ট পায়ে যখন
যৌবনের সিড়ি বেয়ে
স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল মেয়েটা—
ভেবেছিল কি,
কোনটা বাস্তব আর
কোনটা ভবিতব্য !!
নারী!
তুই পরজীবী হয়ে
কেন রয়ে গেলি না?
যা খুশি ভাবতে পারে!
সেকি !! সে যে অবাঞ্ছিত নারী।
সংসারের জাঁতাকলে পিষেও
এটা ঠিক বুঝতে পারে।
কেন নারী আকাশ ছোঁয়ার
স্বপ্ন দেখে ?
সে যে জল স্বরূপ–
যে কোন আকার
ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।
উত্তপ্ত সড়কে একলা হাঁটে
আবেগের বাসনায় ,
জ্যোৎস্নার আলোয়
হারবে একাকিত্ব–
শিখবে জীবনের কামনায়।
পূব আকাশের আলোর কাছে
ক্লান্ত প্রতীক্ষা —
অনুভূতিগুলো উড়ছে বাতাসে,
শুধু একটু স্বাধীনতার অপেক্ষা।
এবার নারী নিজের মতো
একলা চলে দেখ্ —
এই তো আছে মেঘের বাড়ি,
আকাশ জোড়া আলোর সারি-
এইটুকু তো চাওয়া তোর —
বাঁচার মতো বাঁচতে এবার শেখ্।।।
*********************
সুপর্ণা বোস, কবি, পেইন্টার, ক্রাফ্ট আর্টিস্ট, বাচিক শিল্পী, আরও অনেক কাজের মধ্যে নিয়োজিত। পিতা :: স্বর্গীয় কবি সুধীন পাল। মাতা :: স্বর্গীয় দীপিকা পাল। কলকাতা :700074, 24 পরগনা(উঃ), পশিমবঙ্গ, ভারত। শিক্ষা :: পলিটিক্যাল সাইন্স নিয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট এবং কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা।পেশা :: পেশা বলতে প্রথমতই হল লেখা ( কবিতা, অনুগল্প, নিবন্ধ ইত্যাদি), ছবি আঁকা, আবৃত্তি করা, ক্রাফ্ট এর কাজ, বুটিক এর সেলাইয়ের কাজ ইত্যাদি। দশ বছর বয়েস থেকে আঁকা শেখা শুরু। তারপর বহুদিন আঁকার স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।১৯৯০ সালে একাডেমিতে ছবির প্রদর্শনী হয়। নানা কাজের ব্যস্ততায় আর হয়ে ওঠে নি। আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রথম বই ::শঙ্খচিলের ডানায় -২০২২ সালে।
দ্বিতীয় বই ::জীবনের জলছবি-২০২৩ সালে। “বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা” থেকে অতিথি সম্মাননা গ্রহণ, সুদেব সরকার স্মৃতি স্মারক গ্রহণ , গ্রন্থসাথী ও অর্পণ পত্রিকার সম্মাননা গ্রহণ, সম্প্রতি বিকল্প নির্মাণ পত্রিকার স্মারকও পান। আরও কিছু অতিরিক্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন।”সারমেয়”নামের সমাজসেবী সংস্হার সাথে
যুক্ত আছেন। না-মানুষ মানে পথ পশু ,পাখি,ও অন্য জীবদের জন্য কাজ করেন সামর্থ্য মতো। চিন্তার জগৎ অনেক প্রসারিত, এগুলো তা প্রমাণ করে।
——————————–