আমার দূগ্গা কাঠ কুঢ়ানী বন বাদাড়েই থাকে,
ভিজা কাঠ আর অদা চুলহায় গোবর ঘুঁইঠ্যা সেঁকে,
দুটা হাত আর কামের বড়াই সব্যৈ একলা করে-
মাটির দূগ্গা দশটা হাতে যেমন অসুর মারে!
আমার দুগ্গা মাড়ভাত খায় লঙ্কাপড়া দিঁয়ে,
লুনের দাম বড়ৈ চঢ়া ভাত সানে ঘাম নিঁয়ে,
উদের পাড়ার দুগ্গা দালান পাথর ঘঁসা শানে;
মানুষ দুগ্গা পায়না শুত্যেই ঘৈল্টে মাটির টানে-
আশ্বিন মাসে শুক্লা তিথি মাটির দুগ্গা পূজা,
মানুষ দুগ্গা ভুখা পেটে জনমের পায় সাজা!
ঠাকুর দালান রঙ ঝকমক কতো আলর মেলা,
আদর সুহাগ ধুরে থাকে সহে পায়ের ঠেলা-
আমার দুগ্গা একলা পথে পন্য হয়ে চলে,
রঙ তামাশার পুতুল হঁয়ে ভাঁসে চৈখ্যের জলে,
মাটির দুগ্গা পাচ্ছ্যে পুজা মিষ্টি ফল আর ফুলে-
মানুষ দুগ্গা অবহেলায় ভাঁইসছে অথৈ জলে-
কেমন দুগ্গা কৈরছে পুজা সাজাঁয় গুজাঁয় কৈরে যতন,
হাজার হাজার মানুষ দুগ্গা ঝৈরছে ফুলের মতন!
আইসছ্যে সময় পুব আকাশে উইঠবে রবির ঢেউ,
সবার ঘরেই মালুষ দুগ্গা পার পাবেক লা কেউ-
লিজের মাথায় পৈড়বে যেদিন আকাশ ভাঙা বাজ,
সেদিন বুইঝবে মনে মনে কনটা আসল কাজ!
মাটির দুগ্গা পুরাকালে কৈরলো অসুর বধ,
মানুষ দুগ্গা উঠে ডাঁঢ়ালে সবৈ হবেক রদ।
খুব খুশি হোলাম