কবি পরিচিতি : জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
____________________________
১) জন্ম : জুলাই ২৫,১৯৫৯ (শ্রাবণ ৮,১৩৬৬ বঙ্গাব্দ)।বাঁকুড়ার কুশমুড়ি গ্রামে।
২) পিতা: ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়
৩) মাতা : কুসুমকুমারী দেবী
৪) শিক্ষা : প্রাণীবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক, শিক্ষাবিজ্ঞান ও বাংলায় স্নাতকোত্তর, বি.এড.।
৫) কর্মজগৎ : গোসাবার শম্ভুনগর,দমদমের কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দির,নদিয়ার নগরউখড়া হাই স্কুলে শিক্ষকতা এবং জুজুড় হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন সম্পূর্ণ করেছেন। শিক্ষকতাকে তিনি নিছক পেশা না ভেবে অনেক বেশি কিছু ভাবতে ভালোবাসেন।
৬) প্রিয় বিষয় : কাজ, সাহিত্য, আড্ডা এবং প্রকৃতি ও জীবনকে নানান দৃষ্টিভঙ্গিতে খোঁজা।
৭) লেখালিখি : স্কুলজীবনে শুরু।অজস্র কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, আলেখ্য, সমালোচনামূলক লেখা, কয়েকটি নাটক এবং একটি অসম্পূর্ণ উপন্যাস।
তাঁর বেশিরভাগ লেখাই দেশ-বিদেশের অজস্র নামি ও অনামি পত্রিকায় প্রকাশিত।
৮) প্রকাশিত বই : কাব্যগ্রন্থ – অভীষ্ট শব্দের উজানে (২০১১), ত্রিভুজ সংক্রান্ত সমীকরণ (২০১৮) এবং অণুগল্প সংকলন — অণু অম্বুবান (২০১৮)। এছাড়া বেশ কয়েকটি যৌথ সাহিত্য সংকলনে লিখেছেন।
৯) সম্পাদিত পত্রিকা : তন্বী (১৮৭৭-৭৮), দোলা(১৯৭৭-৭৯), স্বচ্ছন্দ (১৯৭৮-৮০)।
১০) প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা : অনামী সংবর্ধনা ও পুরস্কার (২০১০), অণুগল্পের জন্য বর্ধমান জাগরণীর পুরস্কার (২০১১), অণুপত্রীর পুরস্কার (২০১১), সোপান সাহিত্য পুরস্কার (২০১৩), স্পর্শ সম্মাননা (২০১৩), ভোরাই সম্মাননাা (২০১৮), আলোর জোয়ার সম্মাননা ও পুরস্কার (২০১৯), বেলদা মহা সাহিত্য আড্ডা (সম্মেলন) -এর সাহিত্য রত্ন সম্মাননা — ২০১৮, লোককবি এনামুল আলি খান স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার — ২০১৯, তুলি কলমের আকাশ সম্মাননা — ২০২০ ইত্যাদি।
পায়ের দুপাশে গুল্মঝোপের সংসার
অবহেলা ঘৃণা সাম্যবাদী হাওয়া
কিছু অখ্যাত গন্ধে ভরে দেয় সুগন্ধিপথ
বিজাতি মিছিল চোখে যেমন আগুন
পেশিকলায় বিরক্তি ছন্দ অহংকারী নাক
স্পষ্টত বলে দেয় ঘৃণার সংজ্ঞা।
ওরা শুধু আগাছার মতো পায়ে দলা
ঘাসের মতো ছলনাতন্ত্রের ভিখিরির মতো
একদিন দামি হয়ে ওঠে,
ওরা কিছু অক্সিজেন ঢালে,
সূর্যের রোম থেকে রসায়ন খোঁজে
মৌলবাদ শেখেনি সবুজ
দাহন-উদাস ওই উদার আগাছা,
কারও দয়া চেয়ে বসে নেই কোন ছলে
কার সুখ ওরা বেশ জানে স্রোতে ভেসে
সুখ যায় অপাত্রের ঘরে।
ওরা যে দৈনন্দিন দুবেলা দাঁড়ায় দরজায়
মুছে নেয় বিরক্তিবিষাদ বিলাসের ক্লেদ
আর স্বেদ খেদ নেই,
অবজ্ঞায় বাতিল লোকজন হয়ে
রাজপথের দুপাশে অভঙ্গুর প্রত্যয়ে বাঁচে।
**************************