ফেসবুক অন করেই থমকে বসে পরলো শ্বেতা। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না সে। বিহ্বল হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর চটপট হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ফেলল, সেখানে রিনির মেসেজ দেখে নিজের অজান্তেই চোখ বেয়ে নেমে এল অজস্র অশ্রুকণা।
শ্বেতা একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সেই সুবাদে স্কুলের কিছু প্রাক্তন ছাত্রীদের সাথে তার যোগাযোগ আছে। রিনি ও সেইরকম মাঝে মধ্যে মেসেজ করে খোঁজখবর নিত শ্বেতার। কাল রাতে ও মেসেজ করেছিল রিনি তাকে কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তার কোন উত্তর দেওয়া হয়ে ওঠেনি।
আজ সকালে ফেসবুকে রিনির মৃত্যু সংবাদ দেখে ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে যায় শ্বেতার। সেখান থেকেই সে আরও জানতে পারে রিনির ক্যান্সার ধরা পরেছিল বছর কয়েক আগে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় গতকাল সকালে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। সেখানেই মাঝ রাতে মৃত্যু হয় তার।
অর্থাৎ রিনি গতকাল হাসপাতাল থেকেই মেসেজ করেছিল। কথাটা মনে হতেই তীব্র কষ্টে চোখ বুজে আসে শ্বেতার।
এতদিন কথাবার্তা হলেও এসব কোন খবরই জানতো না শ্বেতা। রিনিও কখনো এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি।
রিনির পাঠানো শেষ মেসেজ দেখে তার মনে হতে থাকে যোগাযোগের বিভিন্ন সহজ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার হয়ত মানুষকে অজান্তেই একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।