কবিতা : অনন্ত যৌবন
রচনা : সুনীল চক্রবর্ত্তী
কোটি কোটি বছর ধরে পথ চলছি , আমি ক্লান্ত সবাই কি আমাকে আপন করে নিয়েছিল, না নেয়নি , নিলে আমি ক্লান্ত হতাম না।
যুগ যুগ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমার বয়স একটুও বাড়েনি। আমি দেখলাম আদম-ইভের প্রেমালাপ দেখলাম মানুষের ক্রমবিবর্তন , সৃষ্টি থেকে আজ পর্যন্ত কত বিবর্তন , মানুষের সভ্য হয়ে ওঠা, মানুষের হাঁটতে শেখা ,এক যোগে দলবদ্ধ হয়ে পশু শিকার,চাকার আবিষ্কার , লিপির আবিষ্কার, গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজ , রাজতন্ত্র , ধর্মীয় ভাবাবেগ , শিল্প- বাণিজ্য বিপ্লব, সাহিত্যের বিবর্তন , অনন্তকাল ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমার পথ চলা বয়স সেই সৃষ্টির আদি কাল থেকে একই রয়ে গেল , কত তন্ত্র গেল কত তন্ত্র এল , আমি সেই একই রয়ে গেলাম ,সূর্যের রশ্মি নিয়ে আমি একেশ্বরবাদ যৌবন ,ক্ষয় হীন ক্লান্তি হীন যৌবন। আমি মৃত্যুঞ্জয় ।
যেন এই অনন্তকাল ধরে পথ চলাতেই আনন্দ
আমি অবিনাশী অক্ষয় , মুক্ত আকাশের লুব্ধক তেজপুঞ্জে ভরপুর মহানন্দ যৌবন , আমি মহারুদ্র, মহাকাল ধূমকেতু , মহাকাব্যের মহানায়ক, ইতিহাসের পাতায় চিরসবুজ বৃক্ষ যৌবন , চিরবসন্তের প্রতীক অজরা অমরা মহাশক্তি, সমুদ্র মন্থনে ওঠা অমৃত সুধা , যুব মনের মনে চঞ্চল হরিনীর পদসঞ্চালন ।
কোটি কোটি বছর ধরে হাঁটতে থাকি দুস্তর পারাবার পার হই অবহেলায় , আমি অক্ষয় প্রাণ চঞ্চল দ্রঘিমা,
আমার আমিত্ব নিয়ে গর্বিত আমি ।
জীবকুল আমার তপস্যায় ধ্যানমগ্ন ,আমি দুর্লভ , জীবাত্মা পরমাত্মার সম্মিলন, অনু পরমানুতে আমার
পদসঞ্চালন, ধ্যানমগ্ন ঋষিদের অভিলাষ ,শিল্প ও সাহিত্যের মেরুদন্ড , সো অহম্ , যাকে পেতে সকলে ব্যাকুল , ব্যাকুলতার মাঝে আমি জীব জগতের ও প্রাণ কুলের আরাধ্য ।
আমি যৌবন। আমি অবিনশ্বর অবিনাশী, আমাকে একটু আলিঙ্গন করতে কেও কেও আশার ছলনে ভোলে , আমি কারো না কেও আমার নয়, আমি নীল অতলান্ত রঙিন নীল ঢেউ। এক বিমূর্ত প্রতীক !
আমি তারুন্যের অগ্রদূত,