শিরোনাম-“পথে চলা প্রেম”
কলমে–বিমান প্রামানিক
মাড়গ্রাম-মুর্শিদাবাদ
এলো ঐ বর্ষা সাথে ঝিম ঝিমিয়ে বৃষ্টি
এটাই বুঝি বিধাতার এক সৃষ্টি!
পথের মাঝে প্রেমিক রয় প্রিয়তমার অপেক্ষায়,
হঠাৎ যখন বৃষ্টি আসে, প্রিয়তম হারিয়ে যায়।
গাছের তলায় বাইকখানি একলা পড়ে রয়
প্রেমিক তবে কোথায় যেন লুকিয়ে যায়।
প্রিয়তমা তবুও থাকে অপেক্ষায়
বৃষ্টি থামে প্রেমিক তবুও আসে নাই।
তবে কি বিরহ?
নাকি পুরুষ মনে কলহ?
দূর থেকে ঐ ডাক শোনা যায় প্রিয়তম হাসির সুরে
ডাক দিয়েছে প্রিয়তমার সুমিষ্ট নামটি ধরে।
তখনই আবার মেঘ গর্জায় এলোমেলো বাতাসে
হলুদ আঁচলে মুখটি ঢেকে প্রিয়তমা ওঠে হেসে।
দুজন সাথে বাইক নিয়ে চলেছে আবার অজানা পথে
নেই বৃষ্টি, তবুও মেঘ যেন গর্জে উঠে।
চলেছে তারা অজানা পথে, পথের নেই শেষ
বৃষ্টির পরে এমনই হয় ভালোবাসার দেশ।
ফুরফুরে বইছে বাতাস কালো মেঘের নিচে
চলেছে দুজন স্বজন সাথী কেউ নেই আর পিছে।
আবার আসে বৃষ্টি, তবে হালকা যে তার সুর
প্রেমের টানে চঞ্চল হয়ে মন, পথ যে তবু দূর।
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে চলেছে, সাথে তার সখী
আনন্দেতে উতলা তারা, চক্ষু মেলে দেখি।
এলিয়ে পড়া চুল হতে পড়ে দুফোঁটা যেই বৃষ্টি!
প্রিয়তম হেসে ওঠে, হাসিও তার মিষ্টি।
হঠাৎ গভীর গর্জায় মেঘ, পথে যেন যায় থেমে
ছোট্ট এক দোচালায় ক্ষনেক আশ্রয় নেয় নেমে।
প্রিয়তমের ঠোঁটের থেকে টুপিয়ে পড়ে বৃষ্টির জল
প্রিয়তমা মুছিয়ে দেয় নিয়ে শাড়ির আঁচল।